আজারবাইজান শহীদ মাদানী বিশ্ববিদ্যালয়
دانشگاه شهید مدنی آذربایجان | |
প্রাক্তন নাম | তারবিয়াত মোয়াল্লেম তাবরিজ বিশ্ববিদ্যালয়, তারবিয়াত মোয়াল্লেম আজারবাইজান বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
ধরন | পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৯৮৭ |
আচার্য | হাসান ভালিযাদেহ |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ২৩৭ |
শিক্ষার্থী | ৭৫০০ |
ঠিকানা | তাবরিজ-আজারশহর সড়ক , , , ৩৭°৪৮′৪৪.৪৬″ উত্তর ৪৫°৫৬′৫৬.১৯″ পূর্ব / ৩৭.৮১২৩৫০০° উত্তর ৪৫.৯৪৮৯৪১৭° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহরতলী, নগর |
পোশাকের রঙ | নীল |
ওয়েবসাইট | en2 |
আজারবাইজান শহীদ মাদানী বিশ্ববিদ্যালয় (ফার্সি: دانشگاه شهید مدنی آذربایجان) সাধারণত আজারবাইজান বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত, একটি রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের তাবরিজ শহরের নিকটে অবস্থিত। ১৯৮৭ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রকৌশল, প্রাথমিক বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং ধর্মতত্ত্ব সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ৭,৫০০ জন শিক্ষার্থী স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর নিয়ে পড়াশোনা করে থাকে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, বিশ্ববিদ্যালয়টি ৬১টি প্রকাশনা থেকে গবেষণা গেটের মোট পয়েন্ট পেয়েছে ১৭১৬.৪৭।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৮৭ সালে তাবরিজ শহরের নিকটে তেহরানের তারবিয়াত মুয়াল্লিম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাখা হিসাবে আজারবাইজান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ইরান সরকারের শিক্ষাগত উন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল উচ্চ বিদ্যালয় এবং কারিগরি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদাণ করা। ১৯৮৮ সালে আজারবাইজান বিশ্ববিদ্যালয় তারবিয়ত মুয়াল্লিমের তাবরিজ বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে। ২০১২ সালে, ইরানের শিক্ষানীতি পরিবর্তন হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি আজারবাইজান শহীদ মাদানী বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
"শহীদ মাদানী" নামটি এক ইরানি আলেমের নাম থেকে এসেছে যিনি ইরানি বিপ্লবের সময়কালীন শহীদ হয়েছিলেন।
সম্প্রতি, বিশ্ববিদ্যালয়টি দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং এটি ইরানের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র হওয়ার পরিকল্পনা করে এগুচ্ছে। নতুন অনুষদ ভবন খোলা হচ্ছে। নতুন তরুণ একাডেমিক কর্মী নিযুক্ত করা হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়টিকে উত্তর-পশ্চিম ইরানের অন্যতম উন্নয়নশীল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
অনুষদ
[সম্পাদনা]- প্রকৌশল
- বিজ্ঞান
- সাহিত্য ও মানব বিজ্ঞান
- ধর্মতত্ত্ব এবং ইসলামিক বিজ্ঞান
- তথ্য-প্রযুক্তি
- মনোবিজ্ঞান এবং শিক্ষা বিজ্ঞান
- কৃষি
ক্যাম্পাস
[সম্পাদনা]আজারবাইজান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে:
- প্রধান ক্যাম্পাস: তাবরিজ শহর থেকে ৩৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে তাবরিজ-মারাগেহ হাইওয়ের পাশে আজারশহর এবং মামাকানের নিকটে অবস্থিত । প্রশাসনিক ভবন, অনুষদ ভবন, শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ ছাত্রাবাস, পরীক্ষাগার, কর্মশালা এবং অ্যাম্পিথিয়েটারগুলি প্রধান ক্যাম্পাসে অবস্থিত। ক্যাম্পাসে একটি ট্রেন স্টেশন, ৩টি রেস্তোঁরা, বেকারি, একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং একটি শপিং সেন্টার রয়েছে।
- তাবরিজ ক্যাম্পাস: [২] যা তাবরিজের দাম্পিজেস্কিতে অবস্থিত। এখানে তাত্ত্বিক প্রকৌশল ও বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ স্নাতক অধ্যয়নকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাবরিজ ক্যাম্পাসের প্রোগ্রামগুলির মধ্যে মাস্টার অব সাইন্স প্রোগ্রাম রয়েছে: বিশ্লেষণাত্মক রসায়ন, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বৈদ্যুতিক শক্তি প্রকৌশল, ফলিত গণিত। পিএইচডি ডিগ্রি প্রোগ্রামসমূহ হলো: বিশ্লেষণী রসায়ন, পারমাণবিক এবং মলিকুলার পদার্থবিজ্ঞান। তাবরিজ ক্যাম্পাস বিশ্ববিদ্যালয়ে "ভার্চুয়াল এবং দূরত্ব শিক্ষণ কেন্দ্র" রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন শর্ট কোর্সগুলিও এই ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
[সম্পাদনা]আজারবাইজান শহীদ মাদানী বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটের সাথে সহযোগিতা ও পারস্পরিক বিনিময় কার্যক্রম রয়েছে। তাদের কয়েকটি নিম্নরূপ:
- জাপানের কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় [৩]
- আজারবাইজানের খাজার বিশ্ববিদ্যালয় [৪]
- তুরস্কের গ্যাবে বিশ্ববিদ্যালয় [৫]
- তুরস্কের সীরট বিশ্ববিদ্যালয় [৬]
- তুরস্কের ইয়েজানসি ইল বিশ্ববিদ্যালয় [৭]
- ইতালির বিবিসিএ ইনস্টিটিউট [৮]
ছাত্র সম্প্রদায়
[সম্পাদনা]এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন একাডেমিক, অ্যাথলেটিক বা শৈল্পিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ছাত্র সংঘঠন এবং সমিতি রয়েছে:
- উপকরণ ছাত্র সমিতি
- কবিতা ও সাহিত্য সমিতি
- সংগীত সমিতি
- ফটোগ্রাফি এবং ফিল্মিং সমিতি
- রেড ক্রিসেন্ট সমিতি
- দাতব্য সংঘ
- ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমিক কমিউনিটিস
- সাহিত্য একাডেমিক কমিউনিটিস
- বেসিক সাইন্স একাডেমিক কমিউনিটিস
- মনোবিজ্ঞান একাডেমিক কমিউনিটি
- উদ্ভিদ একাডেমিক কমিউনিটি
বিশেষ ট্রেন
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্য দিয়েই তেহরান-তাবরিজ রেলপথ রয়েছে। আজরবাইজান বিশ্ববিদ্যালয় ইরানের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যার ভিতরে একটি রেলস্টেশন এবং নিজস্ব "রেল বাস" রয়েছে। যা প্রতি কর্ম দিবসে তাবারিজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পরিবহণ করা হয়। শিক্ষার্থী বৃদ্ধির কারণে, ২০১৬ সালের এপ্রিলে একটি নতুন রেল বাস যুক্ত করা হয়। নতুন রেল বাসটি কেবল সকাল এবং বিকেলে পরিবহন কাজে ব্যবহার হয়।
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Log in"। ResearchGate। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২০।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১০ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৯ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ http://www.gtu.edu.tr/Files/UserFiles/98/anlasmalar/Protokol/Azarbaijan_Shahid_Madani_University.pdf
- ↑ http://iro.siirt.edu.tr/sayfa/iran-tebriz/49970435.html
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩১ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ http://www.bbcaonlus.org/#!/Travels?art=9
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- আজারবাইজান শহীদ মাদানী বিশ্ববিদ্যালয় ভার্চুয়াল ভ্রমণ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ আগস্ট ২০২০ তারিখে