আজভ সাগর

স্থানাঙ্ক: ৪৬° উত্তর ৩৭° পূর্ব / ৪৬° উত্তর ৩৭° পূর্ব / 46; 37
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আজভ সাগর
আজভ সাগর
স্থানাঙ্ক৪৬° উত্তর ৩৭° পূর্ব / ৪৬° উত্তর ৩৭° পূর্ব / 46; 37
ধরনসাগর
প্রাথমিক অন্তর্প্রবাহDon and Kuban
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য৩৬০ কিমি (২২০ মা)
সর্বাধিক প্রস্থ১৮০ কিমি (১১০ মা)
পৃষ্ঠতল অঞ্চল৩৯,০০০ কিমি (১৫,০০০ মা)
গড় গভীরতা৭ মিটার (২৩ ফু)
সর্বাধিক গভীরতা১৪ মি (৪৬ ফু)
পানির আয়তন২৯০ কিমি (২৪০×১০^ acre·ft)
আজভ সাগরের উপগ্রহ চিত্র (ডিসেম্বর ২০০২); নিচে বামে কৃষ্ণ সাগরের নীলচে-কালো পানি থেকে ছাই-সবুজ রঙের আজভ সাগরকে সহজেই আলাদা করা যায়।

আজভ সাগর ([Sea of Azov; রুশ ভাষায়: Азо́вское мо́ре আযোভ়্‌স্কোয়ে মোরে; ইউক্রেনীয় ভাষায়: Азо́вське мо́ре আযোভ়্‌স্ক্যে মোরে; ক্রিমীয় তাতার ভাষায়: Azaq deñizi] ত্রুটি: {{Lang-xx}}: text has italic markup (সাহায্য)) ইউক্রেনরাশিয়ার দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত একটি প্রায়-স্থলবেষ্টিত সাগর। এটি দক্ষিণে কের্চ প্রণালীর মাধ্যমে কৃষ্ণ সাগরের সাথে সংযুক্ত।[১][২] আজভ সাগর উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ৩৪০ কিমি দীর্ঘ এবং পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ১৩৫ কিমি প্রশস্ত। এর আয়তন প্রায় ৩৭,৬০০ বর্গকিমি। দোন ও কুবান নামের বড় দুইটি নদী আজভ সাগরে পতিত হয়েছে। এছাড়াও মিউস, বের্দা, ওবিতোচনায়া এবং ইয়েয়া নদীগুলিও এখানে পতিত হয়েছে। আজভ সাগরের পশ্চিম প্রান্তে আরাবাত নামের একটি ৭০ মাইল দীর্ঘ প্রাকৃতিক বালুবাঁধ সাগরটিকে সিভাশ নামের জলা এলাকা থেকে পৃথক করেছে। সিভাশ ইউক্রেনীয় মূল ভূখণ্ড থেকে ক্রিমেয়া উপদ্বীপকে আলাদা করেছে। আজভ সাগরের গড় গভীরতা মাত্র ১৩ মিটার (৪৩ ফুট)।[৩][৪][৫][৬] এটি তাই বিশ্বের সবচেয়ে অগভীর সাগর। দোন ও কুবান নদীর বয়ে আনা পলি নদীগুলির মোহনায় তাগানরোগ উপসাগরে জমা হওয়ায় সেখানে আজভ সাগরের গভীরতা মাত্র তিন ফুট বা তারও কম।

আজভ সাগরের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব উপকূল পলিমাটিসমৃদ্ধ নিম্নভূমি। এগুলিতে বহু অগভীর উপসাগর ও লেগুন ও দীর্ঘ বালিয়াড়ি দেখতে পাওয়া যায়। সাগরের দক্ষিণ উপকূল তুলনামূলকভাবে উচ্চ এবং অমসৃণ। সমুদ্রের তলদেশ মূলত সমতল। আজভ সাগরের জলবায়ু মহাদেশীয় ও মৃদু প্রকৃতির। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে বরফ পড়ে এবং গভীরতা ও লবণাক্ততা কম বলে সাগরের উত্তরাংশ মাঝে মাঝে জমে যায়। সাগরের পানি উপকূল ধরে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘোরে। জোয়ারের উচ্চতা ১৮ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। বড় নদীগুলির মোহনায় পানি মিষ্টি। নদীর বয়ে আনা পুষ্টিকর জলজ খাদ্য সাগরটিকে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের এক বিরাট সমারোহে পরিণত করেছে। এখানে ৩০০রও বেশি জাতের অমেরুদণ্ডী প্রাণী এবং ৮০রও বেশি প্রজাতির মাছ বাস করে।

মারিওপোল, ইয়েইস্ক ও বের্দিয়ান্স্‌ক এখানকার প্রধান বন্দর।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Sea of Azov"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২৬ 
  2. "Map of Sea of Azov"। worldatlas.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২৬ 
  3. The New Encyclopædia Britannica1। ২০০৫। পৃষ্ঠা 758। আইএসবিএন 1-59339-236-2With a maximum depth of only about ৪৬ ফুট (১৪ মি), the Azov is the world's shallowest sea 
  4. Academic American encyclopedia1। Grolier। ১৯৯৬। পৃষ্ঠা 388। আইএসবিএন 0-7172-2064-8The Azov is the world's shallowest sea, with depths ranging from ০.৯ থেকে ১৪ মি (৩.০ থেকে ৪৫.৯ ফু) 
  5. "National Geographic"185National Geographic Society। ১৯৯৪: 138। 
  6. "Earth from space"। NASA। ১০ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৭