আছিয়া খাতুন
আছিয়া খাতুন | |
|---|---|
| কমিশনার দুর্নীতি দমন কমিশন | |
| কাজের মেয়াদ ২ জুলাই ২০২৩ – ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | |
| নিয়োগদাতা | বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি |
| রাষ্ট্রপতি | মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
| পূর্বসূরী | মোজাম্মেল হক খান |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ২ জানুয়ারি ১৯৬৩ চুয়াডাঙ্গা জেলা, বাংলাদেশ |
| জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
| দাম্পত্য সঙ্গী | মোঃ মোকাম্মেল হোসেন |
| সন্তান | ১ |
| প্রাক্তন শিক্ষার্থী | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর |
| জীবিকা | সরকারি কর্মকর্তা, প্রাক্তন সচিব |
আছিয়া খাতুন, যিনি মোসাম্মাত আছিয়া খাতুন নামেও পরিচিত, একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব এবং সর্বশেষ দুর্নীতি দমন কমিশন-এর কমিশনার ছিলেন।[১][২][৩] তিনি দুদক-এর প্রথম নারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত।[৪][৫]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]খাতুন ১৯৬৩ সালে অবিভক্ত কুষ্টিয়া জেলার চুয়াডাঙ্গা মহকুমার দর্শনায় জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন।[৪] তিনি আন্তর্জাতিক সামাজিক গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে নারী ও লিঙ্গ অধ্যয়নে মাস্টার্স ডিগ্রি নেন।[৬] তিনি সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক পলিসিতে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।[৬] তিনি নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।[৬]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]২৬ জানুয়ারি ১৯৯১ সালে আছিয়া খাতুন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন।[৪]
আছিয়া খাতুন নোয়াখালী জেলায় সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪] তিনি খুলনা জেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।[৪] তিনি জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটে কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করেছেন।[৪]
আতিয়া খাতুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, এবং ভূমি মন্ত্রণালয়-এ সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[৪] তিনি জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক ছিলেন।[৪] তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমিতে সদস্য পরিচালনা স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন।[৪] তিনি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।[৪]
৩ জানুয়ারি ২০২২ সালে আছিয়া খাতুন সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।[৪]
২০২৩ সালের জুন মাসে আছিয়া খাতুন উচ্চ আদালত বিভাগ-এর বিচারকের সমমর্যাদায় দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান।[৭] তিনি কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহার অধীনে যোগদান করেন এবং মোজাম্মেল হক খান-কে প্রতিস্থাপন করেন।[৮][৯] নিয়োগের পর তিনি রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তার পরামর্শ নেন, কারণ তিনিও একসময় দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ছিলেন।[১০]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]আছিয়া খাতুনের স্বামী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়র সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন।[১১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ"। দৈনিক প্রথম আলো। ২৯ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ জুলাই ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "নতুন দুদক কমিশনার আছিয়া খাতুন"। ইউএনবি। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 "দুদকে যোগ দিলেন কমিশনার আছিয়া খাতুন"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "দুদকের প্রথম নারী কমিশনার আছিয়া খাতুন"। ডেইলি বাংলাদেশ (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: মূল ইউআরএলের অবস্থা অজানা (লিঙ্ক) - 1 2 3 "দুদকের নতুন কমিশনার আছিয়া খাতুনের যোগদান"। দেশ রূপান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "Asia Khatun appointed ACC commissioner"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ জুন ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ Biswas, P. R.। "Asia Khatun joins ACC as Commissioner | The Asian Age Online, Bangladesh"। The Asian Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "দুদকে নিয়োগ পেলেন পিএসসি'র সাবেক সচিব আছিয়া খাতুন"। thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "Build social movement against corruption: President Shahabuddin tells ACC | Daily Sun |"। daily sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "ACC slow in investigating case of embezzling Tk 118 crore"। The Daily Messenger (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩।