বিষয়বস্তুতে চলুন

আছিয়া খাতুন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আছিয়া খাতুন
কমিশনার
দুর্নীতি দমন কমিশন
কাজের মেয়াদ
২ জুলাই ২০২৩  ২৯ অক্টোবর ২০২৪
নিয়োগদাতাবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতিমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
পূর্বসূরীমোজাম্মেল হক খান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1963-01-02) ২ জানুয়ারি ১৯৬৩ (বয়স ৬২)
চুয়াডাঙ্গা জেলা, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
দাম্পত্য সঙ্গীমোঃ মোকাম্মেল হোসেন
সন্তান
প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর
জীবিকাসরকারি কর্মকর্তা, প্রাক্তন সচিব

আছিয়া খাতুন, যিনি মোসাম্মাত আছিয়া খাতুন নামেও পরিচিত, একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব এবং সর্বশেষ দুর্নীতি দমন কমিশন-এর কমিশনার ছিলেন।[][][] তিনি দুদক-এর প্রথম নারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত।[][]

প্রাথমিক জীবন

[সম্পাদনা]

খাতুন ১৯৬৩ সালে অবিভক্ত কুষ্টিয়া জেলার চুয়াডাঙ্গা মহকুমার দর্শনায় জন্মগ্রহণ করেন।[] তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন।[] তিনি আন্তর্জাতিক সামাজিক গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে নারী ও লিঙ্গ অধ্যয়নে মাস্টার্স ডিগ্রি নেন।[] তিনি সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক পলিসিতে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।[] তিনি নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

২৬ জানুয়ারি ১৯৯১ সালে আছিয়া খাতুন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন।[]

আছিয়া খাতুন নোয়াখালী জেলায় সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[] তিনি খুলনা জেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।[] তিনি জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটে কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করেছেন।[]

আতিয়া খাতুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, এবং ভূমি মন্ত্রণালয়-এ সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[] তিনি জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক ছিলেন।[] তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমিতে সদস্য পরিচালনা স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন।[] তিনি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।[]

৩ জানুয়ারি ২০২২ সালে আছিয়া খাতুন সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।[]

২০২৩ সালের জুন মাসে আছিয়া খাতুন উচ্চ আদালত বিভাগ-এর বিচারকের সমমর্যাদায় দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান।[] তিনি কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহার অধীনে যোগদান করেন এবং মোজাম্মেল হক খান-কে প্রতিস্থাপন করেন।[][] নিয়োগের পর তিনি রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তার পরামর্শ নেন, কারণ তিনিও একসময় দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ছিলেন।[১০]

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

আছিয়া খাতুনের স্বামী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়র সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন[১১]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ"দৈনিক প্রথম আলো। ২৯ অক্টোবর ২০২৪।
  2. "দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ জুলাই ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  3. "নতুন দুদক কমিশনার আছিয়া খাতুন"ইউএনবি। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  4. 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 "দুদকে যোগ দিলেন কমিশনার আছিয়া খাতুন"দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  5. "দুদকের প্রথম নারী কমিশনার আছিয়া খাতুন"ডেইলি বাংলাদেশ (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: মূল ইউআরএলের অবস্থা অজানা (লিঙ্ক)
  6. 1 2 3 "দুদকের নতুন কমিশনার আছিয়া খাতুনের যোগদান"দেশ রূপান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  7. "Asia Khatun appointed ACC commissioner"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ জুন ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  8. Biswas, P. R.। "Asia Khatun joins ACC as Commissioner | The Asian Age Online, Bangladesh"The Asian Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  9. "দুদকে নিয়োগ পেলেন পিএসসি'র সাবেক সচিব আছিয়া খাতুন"thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  10. "Build social movement against corruption: President Shahabuddin tells ACC | Daily Sun |"daily sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  11. "ACC slow in investigating case of embezzling Tk 118 crore"The Daily Messenger (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩