আখতার সাদমানী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আখতার সাদমানী
জন্ম(১৯৩৪-০১-০২)২ জানুয়ারি ১৯৩৪
মৃত্যু৩০ ডিসেম্বর ২০০৩(2003-12-30) (বয়স ৬৯)
ধরনহিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত
পেশাগায়ক, সঙ্গীত পরিচালক
বাদ্যযন্ত্রভোকাল
কার্যকাল১৯৬১–২০০৩

আখতার সাদমানী (২ জানুয়ারি ১৯৩৪ - ৩০ ডিসেম্বর ২০০৩) ছিলেন একজন বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী এবং সঙ্গীত পরিচালক। তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী। সঙ্গীতে তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১১ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।[১]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

সাদমানী ১৯৩৪ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তবে তিনি বেড়ে ওঠেন কলকাতায়। তার পিতা আকবর আলী তাকে সঙ্গীতের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। দশ বছর বয়সে তিনি ববি দানিয়েলের কাছে সঙ্গীতের তালিম নেন। ১৯৫৫ সালে ববি দানিয়েল তাকে সঙ্গীতজ্ঞ ওমর খানের কাছে নিয়ে যান। পরে তিনি ওমর খানের কাছে সঙ্গীতের তালিম নেন।[২]

১৯৫৭ সালে ওমর খান তাকে ইন্দো ঘরানার সঙ্গীতজ্ঞ আমির খাঁর কাছে নিয়ে যান। তার পর থেকে তিনি আমির খাঁর কাছে সঙ্গীতের তালিম ও উপদেশ নিতে থাকেন। তিনি আমানত আলী, ফতেহ আলী, মঞ্জুর হুসেন খান এবং ফয়েজ মোহাম্মদের কাছ থেকে খেয়াল এবং জহিরুদ্দিন দগর ও ফয়েজুদ্দিন দগরের কাছ থেকে ধ্রুপদ গানের তালিম নেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৬১ সালে সাদমানী পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসেন এবং ঢাকার পাকিস্তান বেতারে নিজস্ব শিল্পী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৬ সালে তিনি বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গীত পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৮০ সালে তিনি "সুর রং একাডেমি অব ক্লাসিক্যাল মিউজিক" প্রতিষ্ঠা করেন। এই একাডেমিটি বাংলাদেশে হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রথম একাডেমি।[২]

ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু[সম্পাদনা]

সাদমানীর এক পুত্র আসিফ আখতার এবং এক কন্যা মিলি আখতার সাদমানী। সাদমানী ২০০৩ সালে ৩০ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

সম্মাননা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "13 named for Ekushey Padak"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭ 
  2. Shadma Malik (৩০ ডিসদিসেম্বর২০১৩)। "Marking Ustad Akhtar Sadmani's death anniversary"ঢাকা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  3. "একুশ আমাদের মাথা নত না করার শিক্ষা দেয়: প্রধানমন্ত্রী"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭