আইএনএস কিলতান (পি৩০)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্টেথ্ল করভেট গোত্রের যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস কিলতান
ইতিহাস
নাম: আইএনএস কিলতান
নামকরণ: কিলতান দ্বীপ
নির্মাতা: গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড
নির্মাণের সময়: ১০ আগস্ট ২০১০
অভিষেক: ২৬ মার্চ ২০১৩
কমিশন লাভ: ১৬ অক্টোবর ২০১৭
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: কামোর্তা-শ্রেণির ডুবোজাহাজ-বিধ্বংসী করভেট
ওজন: ৩,০০০ টন (৩,৩০৭ শর্ট টন)
দৈর্ঘ্য: ১০৯ মি (৩৫৮ ফু)
প্রস্থ: ১২.৮ মি (৪২ ফু)
প্রচালনশক্তি: ৪টি ডিজেল ইঞ্জিন
গতিবেগ: ২৫ নট (৪৬ কিমি/ঘ)
সীমা: ৩,৪৫০ মা (৫,৫৫০ কিমি) at ১৮ নট (৩৩ কিমি/ঘ)
লোকবল: ১২৩ (সঙ্গে ১৭ জন অফিসার)
সেন্সর এবং
কার্যপদ্ধতি:
  • রেভাটি কেন্দ্রীয় অধিগ্রহণ রাডার
  • এল.এল / এম -২২২১ এসআরজিআর ফায়ার কন্ট্রোল রডর
  • বেল শেখারী
  • বেল রাউল ০২ (সংকেত LW08) অ্যান্টেনা যোগাযোগের গ্রিড - গিগাবিট ইথারনেট ভিত্তিক ইন্টিগ্রেশন এশিয়াল ডেড নেটওয়ার্ক, যা ফাইবার অপটিক তারের ব্যাটারির মাধ্যমে চলতে থাকে।
  • হুমসা (হুল মাউন্ট সোনার আরে)
  • বোমার ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার (ইডব্লিউ) SUITES - বি এল অজন্ত
যান্ত্রিক যুদ্ধাস্ত্র
ও ফাঁদ:
DESEAVER MK
রণসজ্জা:
  • এন্টি-এয়ার মিসাইল:
    • সাবমেরিন রকেট লঞ্চার
    • ১৬x বারক স্যাম
    • ২x৩ টর্পেডো টিউব[১]

আইএনএস কিলতান (পি৩০) [২] প্রকল্প ২৮-এর অধীনে নির্মিত ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি এন্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার কেরোভেট। এটি ভারতীয় নৌবাহিনীর সাথে আধিপত্যের বিভিন্ন পর্যায়ে চারটি কমোন্টা-শ্রেণী কেরোভেট গুলির তৃতীয় জাহাজ। জাহাজটি কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং ২৬ শে মার্চ ২০১৩ তারিখে চালু করা হয়েছিল। কিলতান স্থানীয়করণের নৌযানের প্রচেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এবং ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি যন্ত্রাংশ থেকে জাহাজের ৯০% নির্মান করা হয়েছে। [৩][৪] আইএনএস কিলতানের কমিশন হয় ১৬ অক্টোবর ২০১৭ সালে। [৫]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০১০ সালের আগস্টে কিলতান জাহাজের কেল্লাটি রাখা হয়েছিল এবং এটি ২৬ মার্চ ২০১৩ সালে নৌবাহিনীর স্টাফদের প্রধান অ্যাডমিরাল ডি কে জোশির স্ত্রী চিত্রা জোশি দ্বারা কলকাতায় চালু করা হয়েছিল। জাহাজটি আনুমানিক ₹ ১,৭০০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মান করা হয়েছে। [৬][৭] জাহাজটির নাম কিলতান দ্বীপের নামে রাখা হয়েছে, এটি একটি প্রবাল দ্বীপ, যা ভারতের আঞ্চলিক কেন্দ্রীয় রাজ্য লাক্ষাদ্বীপের অংশ। [৮] এটি ছিল আইএনএস কিলতান-এর উত্তরাধিকার জাহাজ, যা ছিল একটি অর্নালা-শ্রেণির কলোভট যা অপারেশন ট্রাইডেন্টে অংশগ্রহণ করেছিল এবং পরে ১৯৮৭ সালে এটি ডিকমিশন (নিষিদ্ধ) করা ছিল। [৯]

নকশা[সম্পাদনা]

কমোর্ত-শ্রেণীটি প্রকল্প ২৮-এর অংশ হিসেবে নৌবাহিনীর অধিনায়ক দ্বারা নকশা (ডিজাইন) করা হয়েছে। [৩] এটি পারমাণবিক, জৈবিক ও রাসায়নিক পরিবেশের অধীনে যুদ্ধ করতে সক্ষম। এটি উন্নত দ্রুতগতির বৈশিষ্ট্য যুক্ত এবং ভারতীয বিরোধী সাবমেরিন যুদ্ধবিষয়ক ক্ষমতা বাড়ানো একটি রাডারের ধরা না পড়া (নিম্ন রাডার স্বাক্ষর সঙ্গে) ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি ফ্রন্টলাইন যুদ্ধ জাহাজ। জাহাজটির মধ্যে ১৭ জন অফিসার এবং ১০৬ নাবিক থাকবে। [৬]

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

কার্বন ফাইবার কম্পোজিট উপাদানটির উপর ভিত্তি করে নির্মিত কিলতান হল ভারতের প্রথম জাহাজ যা তার প্রধান হুলের সাথে সমন্বিত করা হয়েছে যার ফলে জাহাজের ওজন ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমেছে এবং উন্নত চটপটে বৈশিষ্ট্যগুলি যুক্ত হয়েছে। [১০] জাহাজটি ১০৯ মিটার (৩৫৮ ফুট) লম্বা এবং ১২.৮ মিটার (৪২ ফুট) প্রশস্ত এবং ২৫ নট (৪৬ কিমি / ঘণ্টা, ২৯ মাইল প্রশস্ততা) শীর্ষ গতিতে সর্বোচ্চ মানানসই।[৩] এটি ৩,৫০০ টন (ওজন) একটি স্থানচ্যুতি এবং ১৮ নট (৩৩ কিলোমিটার / ঘণ্টা, ২১ মাইল/ঘণ্টা) গতিতে জাহাজটি ৩,৩৪৫০ নটিক্যাল মাইল (৬,৩৯০ কিলোমিটারে ৩,৯৭০ মাইল/ঘণ্টা) চলতে পাড়বে। জাহাজটি ৪ ডিজেল ইঞ্জিন দ্বারা চালিত যা ৩,০০০ কিলোওয়াট (৪,০০০ এইচপি) সংযুক্ত শক্তি উৎপন্ন করে এবং ৩,৮৮৮ কিলোওয়াট (৫,২১৪ এইচপি) ডিজেল ইঞ্জিনের প্রধান ইউনিট দ্বারা ১,০৫০ টি আরপিএইচ চালিত। [৬][১১]

কিলতান যুদ্ধ জাহাজটিকে ভারতের একটি আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং সেন্সর দিয়ে সশস্ত্র করা হবে। জাহাজটিতে থাকবে- "একটি মাঝারি পরিসীমা বন্দুক, টর্পেডো টিউব লঞ্চার, রকেট লঞ্চার এবং একটি ঘনিষ্ঠ অস্ত্র সিস্টেম"। [৩] জাহাজে একটি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং একটি ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম থাকবে। [১১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Stealth ASW Corvette INS Kiltan launched in Kolkata"। PakistanDefence (web: defence.pk)। ২৬ মার্চ ২০১৩। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭ 
  2. "চিনা দাপটকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে নৌসেনায় সামিল আরও এক স্টেল্থ করভেট"। আনন্দবাজার প্রত্রিকা। ১৬ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭ 
  3. "Third anti-submarine warfare corvette launched in Kolkata"The Hindu। ২৭ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭ 
  4. "India needs vibrant warship building industry"The Statesman। ২৬ মার্চ ২০১৩। ১৩ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭ 
  5. "নৌবাহিনীতে যুক্ত হল আইএনএস কিলতান"। উত্তরবঙ্গ সংবাদ। ১৬ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "Anti-submarine warfare ship launched"The Deccan Herald। ২ নভেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭ 
  7. "INS Kiltan launched"Times of India। ২৭ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭ 
  8. "Anti-submarine warfare corvette INS Kiltan"Economic Times। ৩১ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭ 
  9. "INS Kiltan reborn"Times of India। ২৭ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭ 
  10. "শক্তি বাড়লো ভারতীয় নৌবাহিনীর : এলো নতুন যুদ্ধজাহাজ"। নয়া দিগন্ত। ১৬ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  11. "Anti Submarine Warfare Corvette"। Garden Reach Shipbuilders and Engineers। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]