বিষয়বস্তুতে চলুন

অ্যাসের

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যাসের
শেরবোর্নের বিশপ
দেখুনশেরবর্ন
নিযুক্তআনুমানিক ৮৯৫
মেয়াদ শেষআনুমানিক ৯০৯
পূর্ববর্তীউলফসিগ
পরবর্তীএথেলওয়ার্ড
আদেশ
পবিত্রকরণআনুমানিক ৮৯৫
ব্যক্তিগত বিবরণ
মৃত্যুআনুমানিক ৯০৯
গোষ্ঠীনামখ্রিস্টান

অ্যাসের (টেমপ্লেট:IPA-cy; মৃত্যু: আনুমানিক ৯০৯; জন অ্যাসের বা অ্যাসেরিয়াস মেনেভেনসিস নামেও পরিচিত[]) ছিলেন ডাইফেডের সেন্ট ডেভিড’সের[] এক ওয়েলশ সন্ন্যাসী। তিনি ৮৯০-এর দশকে শেরবোর্নের বিশপ হয়েছিলেন।[] ৮৮৫ সাল নাগাদ মহান অ্যালফ্রেড তাঁকে সেন্ট ডেভিড’স ত্যাগ করে যে বিদ্বজ্জন চক্র অ্যালফ্রেড তাঁর রাজদরবারে সমবেত করেছিলেন তারই মধ্যে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।[] অসুস্থতার জন্য এক বছর সেরওয়েন্টে অতিবাহিত করে অ্যাসের অ্যালফ্রেডের অনুরোধ স্বীকার করে নেন।[][]

৮৯৩ সালে অ্যাসের লাইফ অফ কিং অ্যালফ্রেড নামে অ্যালফ্রেডের একটি জীবনী রচনা করেন।[] পাণ্ডুলিপিটির একটি মাত্র অনুলিপিই বর্তমানে পাওয়া যায়, যা কটন লাইব্রেরির অংশ ছিল। মূল অনুলিপিটি ১৭৩১ সালে একটি অগ্নিকাণ্ডে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।[] কিন্তু তার আগেই সেটির একাধিক অনুলিপি করে নেওয়া হয়েছিল। অন্যান্য প্রাচীন লেখকদের দ্বারা গৃহীত অ্যাসেরের রচনাকর্মের উপাদানের সঙ্গে মিলিয়ে গ্রন্থটিকে পুনর্নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে।[] এই জীবনীটিই অ্যালফ্রেডের জীবন-সংক্রান্ত তথ্যের প্রধান উৎস। অন্য কোনও আদি ইংরেজ শাসক সম্পর্কে এত তথ্য পাওয়া যায় না, যতটা এই গ্রন্থের দৌলতে অ্যালফ্রেড সম্পর্কে জানা যায়। মহান গ্রেগরির প্যাস্টোরাল কেয়ার অনুবাদ ও সম্ভবত অন্যান্য রচনার কাজেও অ্যাসের অ্যালফ্রেডকে সহায়তা করেছিলেন।[]

অ্যালফ্রেড অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন বলে যে কিংবদন্তিটি প্রচলিত ছিল, কখনও কখনও অ্যাসেরকে সেই কিংবদন্তির একটি উৎসসূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অ্যালফ্রেড কর্তৃক অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ধারণাটি বর্তমানে ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই দাবি উত্থাপনকারী একটি ক্ষুদ্র রচনাংশ উইলিয়াম ক্যামডেন তাঁর সম্পাদিত অ্যাসেরের লাইফ অফ কিং অ্যালফ্রেড গ্রন্থের ১৬০৩ সংস্করণে প্রক্ষেপণ করেছিলেন।[][] লাইফ অফ কিং অ্যালফ্রেড গ্রন্থটি জালিয়াতি কিনা অর্থাৎ অল্পকাল পরের কোনও লেখকের লেখা কিনা সেই নিয়ে পর্যায়ক্রমিকভাবে সংশয় উত্থাপিত হলেও[][] বর্তমানে এটিকে প্রায় বিশ্বজনীনভাবেই অকৃত্রিম বলে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।[][][১০]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1.  A'Becket, John Joseph (১৯০৭)। "John Asser"। ক্যাথলিক বিশ্বকোষ1। নিউ ইয়র্ক: রবার্ট অ্যাপলটন কোম্পানি। 
  2. Simon Keynes and Michael Lapidge, Alfred the Great, pp. 48–58, 93–96, and 220–221.
  3. Fryde, et al. Handbook of British Chronology, p. 222
  4. Asser tells the story of his recruitment in chapter 79 of his Life of King Alfred (Keynes & Lapidge, Alfred the Great, pp. 93–94).
  5. Keynes and Lapidge, Alfred the Great, pp. 223–227.
  6. Abels, Alfred the Great, p. 11.
  7. "Oxford Figures – About: The Mathematical Institute, University of Oxford"। ৯ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০০৯ 
  8. See for example The Cambridge History of English and American Literature in 18 Volumes (1907–21): Volume I. From the Beginnings to the Cycles of Romance. Chapter VI: Alfred and the Old English Prose of his Reign, § 1: Asser's Life of Alfred is online at "§1. Asser's "Life of Alfred". VI. Alfred and the Old English Prose of his Reign. Vol. 1. From the Beginnings to the Cycles of Romance."। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০০৭ 
  9. See "On the Authenticity of Asser's Life of King Alfred" in Abels, Alfred the Great, pp. 321–324. Pages 319–321 review Galbraith's argument, and the academic response; 321–324 cover Smyth.
  10. Smyth, Alfred P. (২০০২)। The Medieval Life of King Alfred the Great। Palgrave Macmillan। আইএসবিএন 978-0-333-69917-1  Smyth's book is also available online.

উল্লেখপঞ্জি

[সম্পাদনা]
  • Abels, Richard (২০০৫)। Alfred the Great: War, Kingship and Culture in Anglo-Saxon England। New York: Longman। আইএসবিএন 978-0-582-04047-2 
  • Brandon, Peter, সম্পাদক (১৯৭৮)। The South Saxons। Chichester: Phillimore। আইএসবিএন 978-0-85033-240-7 
  • Campbell, James (২০০০)। The Anglo-Saxon State। Hambledon and London। পৃষ্ঠা 142আইএসবিএন 978-1-85285-176-7 
  • Fryde, E. B.; Greenway, D. E.; Porter, S.; Roy, I. (১৯৯৬)। Handbook of British Chronology (Third revised সংস্করণ)। Cambridge: Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-56350-5 
  • Keynes, Simon; Lapidge, Michael (২০০৪)। Alfred the Great: Asser's Life of King Alfred and other contemporary sources। New York: Penguin Classics। আইএসবিএন 978-0-14-044409-4 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
Christian titles
পূর্বসূরী
Wulfsige
Bishop of Sherborne
আনু. 895–c. 909
উত্তরসূরী
Æthelweard

টেমপ্লেট:Bishops of Sherborne (ancient)