অ্যালেন হিল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যালেন হিল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামঅ্যালেন হিল
জন্ম(১৮৪৩-১১-১৪)১৪ নভেম্বর ১৮৪৩
কির্কহিটন, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২৮ আগস্ট ১৯১০(1910-08-28) (বয়স ৬৬)
লেল্যান্ড, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট (রাউন্ডআর্ম)
ভূমিকাবোলার, আম্পায়ার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ )
১৫ মার্চ ১৮৭৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট৪ এপ্রিল ১৮৭৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৭১ - ১৮৮২ইয়র্কশায়ার
আম্পায়ারিং তথ্য
টেস্ট আম্পায়ার১ (১৮৯০)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৯৩
রানের সংখ্যা ১০১ ২,৪৭৮
ব্যাটিং গড় ৫০.৫০ ৮.৯৪
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৪৯ ৪৯
বল করেছে ৩৪০ ৩০,০৩২
উইকেট ৭৪৯
বোলিং গড় ১৮.৫৭ ১৪.২৬
ইনিংসে ৫ উইকেট ৫৭
ম্যাচে ১০ উইকেট ১০
সেরা বোলিং ৪/২৭ ৮/৪৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ১৪২/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১ এপ্রিল ২০১৭

অ্যালেন হিল (ইংরেজি: Allen Hill; জন্ম: ১৪ নভেম্বর, ১৮৪৩ - মৃত্যু: ২৮ আগস্ট, ১৯১০) হাডার্সফিল্ডের কির্কহিটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের উদ্বোধনী খেলায় অংশ নেন ও প্রথম উইকেট লাভের বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন। এছাড়াও, লর্ডসে ১৮৯০ সালে একটিমাত্র টেস্টে আম্পায়ারিত্ব করেন তিনি।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

ফ্রান্সিস (ফ্রাঙ্ক) হিল ও এলিজাবেথ থর্নটনের সন্তান তিনি। ১৮৫১ সালে তার পিতা-মাতা কির্কহিটনের শ ক্রস এলাকায় বসবাস করতেন। ১৮৬১ সালে অ্যালেনের বয়স ১৭ থাকাকালে চিজবোরা ফোল্ডে স্থানান্তরিত হন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

লাসেলস হল ও কির্কহিটন ক্লাবের মাধ্যমে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে। ১৮৬৩ সালে ডিউসবারি ও স্যাভিলে পেশাদারী পর্যায়ে খেলেন। ১৮৭১ সালে বার্নলে খেলেন ও প্রথমবারের মতো কাউন্টি দলে অংশগ্রহণ করেন। ১৮৭১ থেকে ১৮৮২ সময়কালে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে ১৩৯ খেলায় অংশ নেন। ১৮৭৬ সালে শেফিল্ডের ব্রামল লেনে অনুষ্ঠিত খেলায় মিডলসেক্সের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ ৪৯ রান তুলেন। ১৮৭৯ সালে হালের আর্জিল স্ট্রিটে সারের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করার ৭/১৪। ১৮৭৪ থেকে ১৮৮২ সময়কালে জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের খেলায় অংশ নেন।

ইতিহাসের প্রথম টেস্ট[সম্পাদনা]

১৮৭৬-৭৭ মৌসুমে লিলিহোয়াইটের নেতৃত্বাধীন দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ৫ মার্চ, ১৮৭৭ তারিখে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অ্যালেন হিল মাঠে নামেন যা প্রথম আন্তর্জাতিক দল হিসেবে ইংল্যান্ড ফিল্ডিং ও বোলিং করার সুযোগ পায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম রান দেন তিনি। চতুর্থ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার ২নং ব্যাটসম্যান ন্যাট টমসনকে বোল্ড করেন।[১] এরফলে ১ম টেস্ট বোলার হিসেবে উইকেট পান ও ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করার গৌরব অর্জন করেন। অ্যালেন হিল ও ন্যাট টমসন টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বোলার/ব্যাটসম্যানের জুটি গড়েন। ঐদিনই তিনি জেমস সাউদার্টনকে পাশ কাটিয়ে দ্বিতীয় উইকেট তুলেন। এছাড়াও তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক ফিল্ডার হিসেবে ক্যাচ নেন। অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৪০/১ থাকাবস্থায় আলফ্রেড শয়ের বল সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে না পারায় তৃতীয় ব্যাটসম্যান টম হোরানের ক্যাচ নেন তিনি।

১৮৭৭ সালে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী টেস্ট খেলায় অ্যালেন হিল প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। পাশাপাশি একই খেলায় বোলিং উদ্বোধনেও নেতৃত্ব দেন।[২]

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও তার অংশগ্রহণ ছিল। দ্বিতীয় দিনে ১৬২/৬ থাকাবস্থায় টম এমেটের সাথে যোগ দেন। এরপর টম আর্মিটেজঅধিনায়ক জেমস লিলিহোয়াইট, জুনিয়রের সাথে জুটি গড়ে দলকে ২৫৯/৮-এ নিয়ে যান। ৪৯ রান তুল রান-আউটের শিকার হন তিনি। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৮০-এর অধিক রান তুলেন ও তার সংগৃহীত ৮৪ রান ঐ সময়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল।

১৮৮৩ সালে খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টানেন। বুকের হাঁড় ভেঙ্গে যাওয়ায় পরবর্তীতে আম্পায়ারিত্বের দিকে ঝুঁকে পড়েন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

১৮৬৮ সালে এলেন জেসপ নাম্নী এক রমণীকে বিয়ে করেন। ১৮৭১ সালে লেপ্টনের কমন এন্ডে নিবাশ গড়েন। ১৮৬৯ সালে ফ্রাঙ্ক নামীয় এক সন্তান জন্মগ্রহণ করলেও ১৮৭৬ সালে ৭ বছর বয়সে তার মৃত্যু ঘটে। ১৮৯১ সালে লেল্যান্ডের ৩ স্ট্যানলি স্ট্রিটে চলে যান। ঐ সময়কার আদমশুমারীতে তিনি বিপত্নীক হিসেবে আখ্যায়িত হন ও ১৮৮৯ সালে তার স্ত্রীর দেহাবসান ঘটে। তখন তাকে পেশাদার ক্রিকেটাররূপে পরিগণিত করা হয়। অ্যালাইস, ক্যাথলিন মেরি, গারট্রুড ও মাবেল নাম্নী চার কন্যার পিতা ছিলেন।

২৮ আগস্ট, ১৯১০ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের লেল্যান্ড এলাকায় অ্যালেন হিলের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Australia v England, 1876-77 (First Test)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৫ 
  2. "Records | Test matches | All-round records | Opening the batting and bowling in the same match | ESPN Cricinfo"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৩ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]