বিষয়বস্তুতে চলুন

অ্যালেন জোন্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যালেন জোন্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
অ্যালেন জোন্স
জন্ম (1938-11-04) ৪ নভেম্বর ১৯৩৮ (বয়স ৮৬)
ভেলিন্দ্রে, গ্ল্যামারগন, ওয়েলস
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাউদ্বোধনী ব্যাটসম্যান
সম্পর্কএইফিয়ন জোন্স (ভ্রাতা)
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৫৭–১৯৮৩গ্ল্যামারগন
এফসি অভিষেক৩১ জুলাই ১৯৫৭ গ্ল্যামারগন বনাম গ্লুচেস্টারশায়ার
শেষএফসি১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ গ্ল্যামারগন বনাম হ্যাম্পশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৬৪৫ ২৮৮
রানের সংখ্যা ৩৬০৪৯ ৭১৫৭
ব্যাটিং গড় ৩২.৮৯ ২৭.২১
১০০/৫০ ৫৬/১৯৪ ২/৪২
সর্বোচ্চ রান ২০৪* ১২৪*
বল করেছে ৫৯৪ ৩৩
উইকেট
বোলিং গড় ১১১.০০ ৯.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২৪ ৩/২১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৮৮/– ৭৬/–
উৎস: ক্রিকইনফো.কম, ৫ জানুয়ারি ২০১৯

অ্যালেন জোন্স (ইংরেজি: Alan Jones; জন্ম: ৪ নভেম্বর, ১৯৩৮) ওয়েলসের গ্ল্যামারগনের ভেলিন্দ্রে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেট তারকা। প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্ল্যামারগনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৫৭ থেকে ১৯৮৩ সময়কালে গ্ল্যামারগনের পক্ষে প্রায় তিন দশককাল প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন অ্যালেন জোন্স। এছাড়াও, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, নাটাল ও নর্দার্ন ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। তবে, টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটেনি তার। টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ বাদে সর্বাধিকসংখ্যক প্রথম-শ্রেণীর রান সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছেন তিনি।[] ৩১ জুলাই, ১৯৫৭ তারিখে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।

সোয়ানসি থেকে আগত স্থানীয় ক্রিকেটার অ্যালেন জোন্স ১৯৫৭ সালে প্রথমবারের মতো গ্ল্যামারগনের পক্ষে খেলেন। দুই বছর জাতীয় সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার পর ১৯৬০ সাল থেকে কাউন্টি দলের নিয়মিত সদস্য হিসেবে খেলতে থাকেন। ১৯৬১ সালে প্রথমবারের মতো সহস্রাধিক রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে সক্ষম হন। ১৯৬২ সালে কাউন্টি ক্যাপ লাভ করেন। এরপর থেকে ১৯৮৩ মৌসুম শেষে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিলেন তিনি।

ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের ফলাফল হিসেবে ১৯৬৯ সালের চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা লাভ করে গ্ল্যামারগন দল। তবে, ১৯৭০-এর দশকে খুব কমই দলকে সহায়তা করতে পেরেছেন অ্যালেন জোন্স।

১৯৭৭ ও ১৯৭৮ সালে গ্ল্যামারগনের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন অ্যালেন জোন্স। পূর্ববর্তী মৌসুমে কাউন্টি দলকে প্রথমবারের মতো লিস্ট এ ক্রিকেটের জিলেট কাপ প্রতিযোগিতায় শিরোপা লাভের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৮ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।

বহিঃবিশ্ব একাদশ

[সম্পাদনা]

এক পর্যায়ে অ্যালেন জোন্স টেস্ট ক্যাপ পরিধানের উপযোগী হন ও তা পরিধানও করেন। ১৯৭০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ইংল্যান্ড সফর বাতিল হলে বহিঃবিশ্ব একাদশের সদস্যরূপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম খেলায় সতীর্থ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লাকহার্স্টের সাথে মাঠে নামেন। তিনি মাত্র পাঁচ ও শূন্য রান করে উভয় ইনিংসেই মাইক প্রোক্টরের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। শুরুতে খেলাটিকে টেস্টের মর্যাদা দেয়া হলেও পরবর্তীতে তা বাদ দেয়া হয়। ঐ সিরিজে অংশগ্রহণকারী অন্য খেলোয়াড়েরা পরবর্তীতে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

অর্জনসমূহ

[সম্পাদনা]

অ্যালেন জোন্স ধারাবাহিকভাবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ চিত্তে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে মাঠে নামতেন। ১৯৬১ থেকে ১৯৮৩ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত প্রত্যেক ইংরেজ মৌসুমেই সহস্রাধিক প্রথম-শ্রেণীর রান সংগ্রাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন।[] তন্মধ্যে, ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ সময়কালে ছয় মৌসুমের পাঁচটিতেই ১,৮০০-এর অধিক রান তুলতে পেরেছেন। অধিকাংশ মৌসুমেই ৩০-এর মাঝামাঝি গড়ে রান সংগ্রহ করেছেন।[]

২৩ মৌসুমে সহস্রাধিক রান তুলেন। এ রেকর্ডের চেয়ে মাত্র ১০জন ক্রিকেটার তার তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৩৬,০৪৯ রান তুলে সর্বকালের অধিক রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় ৩৫তম স্থান দখল করে আছেন। এরফলে যে-কোন ক্রিকেটারের তুলনায় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করা সত্ত্বেও টেস্ট খেলাবিহীন খেলোয়াড়ের মর্যাদা পাচ্ছেন তিনি। একইভাবে গ্ল্যামারগনের দলীয় সঙ্গী ডন শেফার্ডও সর্বাধিকসংখ্যক প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করা সত্ত্বেও টেস্ট খেলাবিহীন অবস্থায় রেকর্ড গড়েছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বমোট ৫৬টি সেঞ্চুরি করেছেন অ্যালেন জোন্স। টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণবিহীন জন ল্যাংগ্রিজই কেবল তার চেয়ে বেশি করেছেন। এছাড়াও লিস্ট এ ক্রিকেটে সাত সহস্রাধিক রান তুলেছেন। রান সংগ্রহের দিক দিয়ে তিনি গ্ল্যামারগনের সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন। সেঞ্চুরির দিক দিয়ে হিউ মরিসের সাথে যৌথভাবে রয়েছেন।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর বিশ্বমানের কোচের মর্যাদা পান। পিটার ডেভিসকে সহকারী হিসেবে নিয়ে ওয়েলস অনূর্ধ্ব-১১ ক্রিকেট দলকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। তার ভাই এইফিয়ন জোন্সও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। গ্ল্যামারগনের উইকেট-রক্ষক এইফিয়ন গ্লাভস হাতে ও তিনি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে অংশ নিতেন। অন্যদিকে, তার সন্তান অ্যান্ড্রু জোন্স লিস্ট এ ক্রিকেটে গ্ল্যামারগনের পক্ষে একটি খেলায় অংশ নিয়েছেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Golden gloves"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. "Player Profile: Alan Jones"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১০ 
  3. "First-class Batting and Fielding in Each Season by Alan Jones"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১০(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]