অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
![]() | |
প্রাক্তন নাম | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
নীতিবাক্য | মহাকাশ ও তা পেরিয়ে |
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |
বাজেট | ৳৪৩.৩৪ কোটি (২০২৪-২৫)[১] |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
উপাচার্য | এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম মনিরুল বাহার |
শিক্ষার্থী | ৩৩০ |
স্নাতক | ২৭০ |
স্নাতকোত্তর | ৬০ |
ঠিকানা | লালমনিরহাট বিমানবন্দর, মহেন্দ্রনগর , , ৫৫০০ , ২৫°৫৩′২৫.৮″ উত্তর ৮৯°২৬′০৮.২″ পূর্ব / ২৫.৮৯০৫০০° উত্তর ৮৯.৪৩৫৬১১° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | বিমানবন্দর এলাকা, ১,১১৭ একর (৪৫২ হেক্টর) |
ভাষা | বাংলা |
স্বীকৃতি | ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ |
পোশাকের রঙ | ধাতব স্বর্ণালী এবং মধ্যরাতের নীলাভ |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন |
ওয়েবসাইট | www |
![]() |
অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন সংক্রান্ত বাংলাদেশের একমাত্র বিশেষায়িত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এর পূর্ব নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ৪৬ তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নির্মিত হয়। এটি আকাশ বিজ্ঞান প্রকৌশল সম্পর্কিত বাংলাদেশের প্রথম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।[২] বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকার আশকোনায় ১১ একর জমির উপর অস্থায়ী ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপর এই অস্থায়ী ক্যাম্পাসটি পুরাতন তেজগাঁও বিমানবন্দরের পাশে স্থানান্তরিত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস লালমনিরহাট জেলার বিমানবন্দরের (রানওয়ে) দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। বিগত ২৬ জুন ২০২২ হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালমনিরহাট ক্যাম্পাসে সকল স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রাম সমূহের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।[৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]২০১৮ সালের ১১ জুলাই অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ইউজিসি খসড়া আইন তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে বিএসএমআরএএইউ প্রতিষ্ঠার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, একই দিনে আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় নীতিগত অনুমোদন পায়। ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে একটি বিল পাশ হয়।[৪] বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত পুরাতন বিমানবন্দরে অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ৬ মে এয়ার ভাইস মার্শাল এএইচএম ফজলুল হককে উপাচার্য (ভাইস চ্যান্সেলর) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।প[৫] রাজধানীর তেজগাঁওয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পুরোনো ভবনের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০[৬]। গত ১লা মার্চ ২০২৩ বিএসএমআরএএইউ- এর ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী [৭] উদযাপন অনুষ্ঠানে মাননীয় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, বিবিপি, বিইউপি, এনএসডব্লিউসি, এফএডব্লিউসি, পিএসসি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যরোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবর্তন করে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ নামকরণ করে।[৮][৯]
একাডেমিক কার্যক্রম
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উড়োজাহাজ নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এগিয়ে চলছে স্যাটেলাইট তৈরির কাজও। এর অন্যতম গবেষণা প্রজেক্ট ‘পিকো-স্যাটেলাইট ফর বাংলাদেশ’। পিকো-স্যাটেলাইট দিয়ে বাংলাদেশেই তাৎক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি বা ট্রাফিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে বলে জানান এ প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর ও ইনভেস্টিগেটর, স্পেস কমিউনিকেশন অ্যান্ড নেভিগেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক মো. সামিন রহমান। প্রজেক্টের প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটর ও সুপারভাইজার অধ্যাপক ড. নাজমুল উলার তত্ত্বাবধানে ৩২ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন একটি আশা নিয়ে, একদিন এ গ্রাউন্ড স্টেশনেই, নিজেদের তৈরি স্যাটেলাইটের বিভিন্ন ছবি সংরক্ষিত হবে।[১০]
স্নাতক (সম্মান)
[সম্পাদনা]- বিএসসি ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যারোস্পেস)
- বিএসসি ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যাভিওনিক্স)
- বিএসসি ইন এয়ারক্রাফ্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (এয়ারফ্রেম অ্যান্ড পাওয়ার প্লান্ট)
- বিএসসি ইন এয়ারক্রাফ্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যাভিওনিক্স)
স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স)
[সম্পাদনা]- এমবিএ ইন অ্যাভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট
- এমএসসি ইন অ্যাভিয়েশন সেফটি অ্যান্ড অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন
- এলএলএম ইন ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস ‘ল
- এমএসসি ইন স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
- এমএসসি ইন স্পেস সিস্টেমস্ ইঞ্জিনিয়ারিং
- এমএসসি ইন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং
- এমএসসি ইন অ্যাভিওনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং
- এমএসসি ইন অটোনোমাস সিস্টেমস্ ইঞ্জিনিয়ারিং
অনুষদসমূহ
[সম্পাদনা]- অ্যাভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি
- অ্যারোস্পেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ
- অ্যারোস্পেস স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, রেগুলেশন অ্যান্ড সেফটি
- হিউম্যানিটিস অ্যন্ড সোশ্যাল সায়েন্স
বিভাগসমূহ
[সম্পাদনা]- অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
- অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং
- অ্যাভিওনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং
- এয়ারক্রাফ্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং
- অ্যাভিয়েশন সেফটি অ্যান্ড অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন
- অ্যাভিয়েশন অপারেশন ম্যানেজমেন্ট
- অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড স্পেস ‘ল’
- স্পেস সিস্টেমস্ ইঞ্জিনিয়ারিং
- স্পেস কমিউনিকেশন অ্যান্ড নেভিগেশন টেকনোলজি
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কে কত বাজেট পাচ্ছে"। thedailycampus.com। ২০২৪-০৬-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১৪।
- ↑ "অনুমোদন পাচ্ছে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেসসহ ৪ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়"। নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৯।
- ↑ "Bangabandhu aviation university in Lalmonirhat soon: Nuruzzaman"। Bangladesh Sangbad Sangstha। সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৯, ২০১৯।
- ↑ "এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়সহ তিনটি বিল পাস"। প্রথম আলো। ২০১৯-১১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৬।
- ↑ "Country's first aviation univ will be in Lalmonirhat"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৮-২৬। ২০১৯-১০-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৯।
- ↑ নিউজ, সময়। "Somoy Tv News"। Somoy News। ২০২৩-০১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৯।
- ↑ "'BSMRAAU's 4th Raising Day celebrated'"। bsmraau.edu.bd। ২০২৩-০৩-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-০১।
- ↑ "১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশ জারি"। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "পরিবর্তন হলো শেখ পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১৬।
- ↑ BonikBarta। "এভিয়েশনে উচ্চশিক্ষার নতুন দিগন্ত"। এভিয়েশনে উচ্চশিক্ষার নতুন দিগন্ত (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৯।