অ্যাপোক্রাইন ঘর্মগ্রন্থি
| অ্যাপোক্রাইন ঘর্মগ্রন্থি | |
|---|---|
এক্রিন ঘর্মগ্রন্থি ও অ্যাপোক্রাইন ঘর্মগ্রন্থির ডার্মিস স্তরে অবস্থানের অণুবীক্ষণিক চিত্র। | |
| বিস্তারিত | |
| পূর্বভ্রূণ | প্রাথমিক এপিথেলিয়াল জার্ম[১] |
| তন্ত্র | ত্বকীয় ব্যবস্থা[২] |
| স্নায়ু | অ্যাড্রিনার্জিক স্নায়ু তন্তু[৩] |
| শনাক্তকারী | |
| লাতিন | glandula sudorifera apocrina[৪] |
| মে-এসএইচ | D001050 |
| টিএইচ | H3.12.00.3.03002 |
| এফএমএ | FMA:59155 |
| শারীরস্থান পরিভাষা | |
অ্যাপোক্রাইন ঘর্মগ্রন্থি (/ˈæpəkrən,
অধিকাংশ নন-প্রাইমেট স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে অ্যাপোক্রাইন ঘর্মগ্রন্থি ব্যাপকভাবে বিদ্যমান।[৮] কুকুর ও বিড়ালের মতো গৃহপালিত প্রাণীদের প্রতিটি চুলের ফলিকলে অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি থাকে, এমনকি তাদের মূত্রনালীতেও। তবে এক্রিন গ্রন্থি শুধুমাত্র পায়ের তলায় ও থুতনিতে থাকে। মানুষের মতো এদের অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থিও গন্ধহীন, তৈলাক্ত, অস্বচ্ছ নিঃসরণ উৎপন্ন করে[১০] যা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ভেঙে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গন্ধ তৈরি হয়।[১১] বিপদ থেকে পালানোর সময় পায়ের তলার এক্রিন গ্রন্থি ঘর্ষণ বাড়ায় ও পিছলে যাওয়া রোধ করে।[১২]
গঠন
[সম্পাদনা]অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি গ্লোমেরুলাসের ন্যায় নিঃসরণশীল নালিকাগুচ্ছ ও একটি নির্গমন নালি নিয়ে গঠিত, যা চুলের ফলিকলে উন্মুক্ত হয়।[১৩] কখনও কখনও নির্গমন নালি সরাসরি ত্বকের পৃষ্ঠে চুলের পাশে উন্মুক্ত হয়।[১৪] এই গ্রন্থিটি বড় ও স্পঞ্জের মতো, ত্বকের নিচের চর্বি স্তরে ডার্মিসের গভীরে অবস্থিত,[৯][১৫] এবং এক্রিন ঘর্মগ্রন্থির তুলনায় বৃহত্তর গঠন ও লুমেন ব্যাস বিশিষ্ট।[১৬][৮] অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থির নিঃসরণ নালিকাগুলি একক স্তরবিশিষ্ট, তবে এক্রিন নিঃসরণ নালিকার বিপরীতে এতে শুধুমাত্র এক ধরনের নালিকাস্থ এপিথেলিয়াল কোষ থাকে।[১৭] নালিকাগুলি মায়োএপিথেলিয়াল কোষ দ্বারা আবৃত, যা এক্রিন গ্রন্থির তুলনায় বেশি বিকশিত।[১৮][১৯]
ঘর্মনিঃসরণ
[সম্পাদনা]খুরযুক্ত প্রাণী ও মার্সুপিয়ালদের দেহে অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি প্রধান তাপনিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে, জলীয় ঘর্ম নিঃসরণ করে।[৯] তবে অধিকাংশ স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রে অ্যাপোক্রাইন ঘর্মগ্রন্থি থেকে তৈলাক্ত (ও পরিশেষে দুর্গন্ধযুক্ত) যৌগ নিঃসৃত হয় যা ফেরোমোন, অঞ্চল চিহ্নিতকরণ ও সতর্কতা সংকেত হিসেবে কাজ করে।[১০][২০][২১] অ্যাড্রিনালিনের প্রতি সংবেদনশীল হওয়ায় মানবদেহে অ্যাপোক্রাইন ঘর্মগ্রন্থি আবেগজনিত ঘর্মনিঃসরণে (উদ্বেগ, চাপ, ভয়, যৌন উদ্দীপনা ও ব্যথা দ্বারা সৃষ্ট) জড়িত।[২০]
গর্ভস্থ মানব ভ্রূণের পাঁচ মাস বয়সে অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি সমগ্র দেহে বিন্যস্ত থাকে; কয়েক সপ্তাহ পরে এগুলি শুধুমাত্র সীমিত অঞ্চলে বিদ্যমান থাকে,[৯] যেমন বগল ও বাহ্য জননাঙ্গে।[৮] বয়ঃসন্ধির হরমোনীয় পরিবর্তন দ্বারা উদ্দীপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এগুলি নিষ্ক্রিয় থাকে।[২০]
কর্মপদ্ধতি
[সম্পাদনা]অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি প্রোটিন ও লিপিডযুক্ত তৈলাক্ত তরল নিঃসরণ করে যা ব্যাকটেরিয়ার ক্রিয়ার পূর্বে গন্ধহীন। এটি সেবামের সাথে মিশে ত্বকের পৃষ্ঠে প্রকাশিত হয়, কারণ সেবাসিয়াস গ্রন্থি একই চুলের ফলিকলে উন্মুক্ত হয়।[২২] এক্রিন ঘর্মগ্রন্থির মতো ধারাবাহিকভাবে নিঃসরণ না করে, অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি পর্যায়ক্রমে স্পন্দিতভাবে নিঃসরণ করে।[২৩]
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হত অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি শুধুমাত্র অ্যাপোক্রাইন নিঃসরণ পদ্ধতি ব্যবহার করে: ভেসিকেল বিচ্ছিন্ন হয়ে নিঃসরণ লুমেনে ভেঙে যায় এবং তাদের উপাদান মুক্ত করে।[২৪] তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় মেরোক্রাইন নিঃসরণের অস্তিত্বও প্রমাণিত হয়েছে।[২৫]
মায়োএপিথেলিয়াল কোষগুলি নিঃসরণশীল কোষের চারপাশে একটি মসৃণ পেশীস্তর গঠন করে; পেশী সংকুচিত হলে এগুলি নিঃসরণ নালিকাগুলিকে চাপ দেয় এবং জমে থাকা তরল চুলের ফলিকলে নিক্ষেপ করে।[২৩][২৬] ঘর্ম ও সেবাম চুলের ফলিকলে মিশে এপিডার্মিস পৃষ্ঠে মিশ্রিত অবস্থায় পৌঁছায়।[৯] অ্যাপোক্রাইন ঘর্ম মেঘলা, সান্দ্র, প্রাথমিকভাবে গন্ধহীন এবং ৬-৭.৫ pH বিশিষ্ট। এতে পানি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট বর্জ্য ও NaCl থাকে।[২৭] ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ভাঙার পরই এটির বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গন্ধ সৃষ্টি হয়, যা উদ্বায়ী গন্ধ অণু মুক্ত করে।[২২] বেশি ব্যাকটেরিয়া (বিশেষ করে করিনেব্যাকটেরিয়া) থাকলে গন্ধ তীব্রতর হয়। বগলের লোমের উপরে নিঃসরণ, মৃতকোষ, কেরাটিন ও ব্যাকটেরিয়া জমে গেলে গন্ধ আরও তীব্র হয়।[১৫]
বিস্তৃতি
[সম্পাদনা]অপ্রাইমেট স্তন্যপায়ীদের দেহে সাধারণত অ্যাপোক্রাইন ঘর্মগ্রন্থি ব্যাপকভাবে বিদ্যমান।[৮] ঘোড়ারা এগুলিকে তাপনিয়ন্ত্রক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে, কারণ এগুলি অ্যাড্রিনালিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর তুলনায় ঘোড়াদের দেহে বিস্তৃত।[২৮] স্কাঙ্করা গ্রন্থি ব্যবহার করে এক ধরনের নিঃসরণ মুক্ত করে যা শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে।[২৩]
"অ্যাক্সিলারি অঙ্গ", অর্থাৎ অ্যাপোক্রাইন ও এক্রিন ঘর্মগ্রন্থির সমান সংখ্যক অঞ্চল, শুধুমাত্র মানুষ, গরিলা ও শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে বিদ্যমান।[৯] মানুষের দেহে এই অঞ্চলের অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থিগুলি সবচেয়ে উন্নত (সবচেয়ে জটিল গ্লোমেরুলি সহ)।[১৮] পুরুষদের বগল অঞ্চলে মহিলাদের তুলনায় বেশি অ্যাপোক্রাইন ঘর্মগ্রন্থি থাকে।[২৯][৩০]
বর্তমানে কোন প্রমাণ নেই যে ঘর্মগ্রন্থিগুলি জাতিগত গোষ্ঠীভেদে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়। বেশিরভাগ গবেষণায় প্রাপ্ত ভিন্নতা পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে বলে দাবি করা হয়।[৩১]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]উদ্ধৃতি
[সম্পাদনা]- ↑ Tsai 2006, পৃ. 496।
- ↑ Neas, John F.। "Development of the Integumentary System"। Martini, Frederic H.; Timmons, Michael J.; Tallitsch, Bob (সম্পাদকগণ)। Embryology Atlas (4th সংস্করণ)। Benjamin Cumings। ৮ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১২।
- 1 2 Krstic 2004, পৃ. 466।
- ↑ TH HH3.12.00.3.03002.{{{2}}}.{{{3}}}
- ↑ McKean, Erin (২০০৫)। "apocrine"। The New Oxford American Dictionary (2 সংস্করণ)। আইএসবিএন ৯৭৮০১৯৫১৭০৭৭১।
- ↑ McKean, Erin (২০০৫)। "apo-"। The New Oxford American Dictionary (2 সংস্করণ)। আইএসবিএন ৯৭৮০১৯৫১৭০৭৭১।
- ↑ Elston, William D.; James, Timothy G.; Berger, Dirk M. (২০০৬)। Andrew's Diseases of the Skin: Clinical Dermatology (10th সংস্করণ)। Philadelphia: Saunders Elsevier। পৃ. ৭। আইএসবিএন ৯৭৮০৮০৮৯২৩৫১০।
- 1 2 3 4 5 Kurosumi, Shibasaki এবং Ito 1984, পৃ. 255।
- 1 2 3 4 5 6 Edgar Folk Jr, G.; Semken Jr, A. (১ সেপ্টেম্বর ১৯৯১)। "The evolution of sweat glands"। International Journal of Biometeorology। ৩৫ (3): ১৮০–৬। বিবকোড:1991IJBm...35..180F। ডিওআই:10.1007/BF01049065। আইএসএসএন 0020-7128। পিএমআইডি 1778649। এস২সিআইডি 28234765।
- 1 2 "Cutaneous Apocrine Gland Tumors"। The Merck Veterinary Manual। Merck Sharp & Dohme Corp.। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- ↑ Eroschenko 2008, পৃ. 228–229।
- ↑ Wilke এবং অন্যান্য 2007, পৃ. 170।
- ↑ Kurosumi, Shibasaki এবং Ito 1984, পৃ. 255–256।
- ↑ Tsai 2006, পৃ. 496–497।
- 1 2 Tsai 2006, পৃ. 497।
- ↑ Krstic 2004, পৃ. 468।
- ↑ Bolognia, Jean; Jorizzo, Joseph L.; Schaffer, Julie V. (২০১২)। Dermatology. Structure and Function of Eccrine, Apocrine and Sebaceous Glands (3rd সংস্করণ)। পৃ. ৫৩৯–৫৪৪। আইএসবিএন ৯৭৮-০৭২৩৪৩৫৭১৬।
- 1 2 Kurosumi, Shibasaki এবং Ito 1984, পৃ. 256।
- ↑ Eroschenko 2008, পৃ. 226।
- 1 2 3 Wilke এবং অন্যান্য 2007, পৃ. 171।
- ↑ Jordania, Joseph (২০১১)। Why do People Sing? Music in Human Evolution। Tbilisi, Georgia: Logos। পৃ. ১২৩–১২৪। আইএসবিএন ৯৭৮৯৯৪১৪০১৮৬২।
- 1 2 Wilke এবং অন্যান্য 2007, পৃ. 175।
- 1 2 3 Spearman, Richard Ian Campbell (১৯৭৩)। The Integument: A Textbook For Skin Biology। Biological Structure and Function Books। খণ্ড ৩। CUP Archive। পৃ. ১৩৭। আইএসবিএন ৯৭৮০৫২১২০০৪৮৬।
- ↑ "sweat gland"। Miller-Keane Encyclopedia & Dictionary of Medicine, Nursing, and Allied Health (7th সংস্করণ)। Saunders। ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ Henrikson, Ray C.; Kaye, Gordon I.; Mazurkiewicz, Joseph E. (১ জুলাই ১৯৯৭)। NMS Histology (3rd সংস্করণ)। Lippincott Williams & Wilkins। পৃ. ২৩৪। আইএসবিএন ৯৭৮০৬৮৩০৬২২৫০।
- ↑ Martini, Frederic (২০০৫)। Anatomy and Physiology' 2007। Rex Bookstore, Inc.। পৃ. ১২২। আইএসবিএন ৯৭৮৯৭১২৩৪৮০৭৫।
- ↑ Draelos, Zoe Diana (২০১০)। "Prevention of Cosmetic Problems"। Norman, R. A. (সম্পাদক)। Preventive Dermatology। Springer। পৃ. ১৮২। ডিওআই:10.1007/978-1-84996-021-2_16। আইএসবিএন ৯৭৮১৮৪৯৯৬০২৬৭।
- ↑ Caceci, Thomas। "Integument I: Skin"। VM8054 Veterinary Histology Laboratory Exercises। Virginia–Maryland Regional College of Veterinary Medicine। ১৩ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ Wilke এবং অন্যান্য 2007, পৃ. 174।
- ↑ Stoddart 1990, পৃ. 60।
- ↑ Taylor, Susan C. (১ ফেব্রুয়ারি ২০০২)। "Skin of color: Biology, structure, function, and implications for dermatologic disease"। Journal of the American Academy of Dermatology। ৪৬ (2, Supplement 2): S৪১ – S৬২। ডিওআই:10.1067/mjd.2002.120790। পিএমআইডি 11807469।
সূত্র
[সম্পাদনা]- Eroschenko, Victor P. (২০০৮)। "Integumentary System"। DiFiore's Atlas of Histology with Functional Correlations। Lippincott Williams & Wilkins। পৃ. ২১২–২৩৪। আইএসবিএন ৯৭৮০৭৮১৭৭০৫৭৬।
- Krstic, Radivoj V. (১৮ মার্চ ২০০৪)। Human Microscopic Anatomy: An Atlas for Students of Medicine and Biology। Springer। পৃ. ৪৬৪, ৪৬৬–৪৬৯। আইএসবিএন ৯৭৮৩৫৪০৫৩৬৬৬৬।
- Kurosumi, Kazumasa; Shibasaki, Susumu; Ito, Toshiho (১৯৮৪)। "Cytology of the Secretion in Mammalian Sweat Glands"। Bourne, Geoffrey H.; Danielli, James F. (সম্পাদকগণ)। Protein Diffusion in Cell Membranes: Some Biological Implications। Orlando, Florida: Academic Press। পৃ. ২৫৩–৩৩০। আইএসবিএন ৯৭৮০১২৩৬৪৪৮৭৯।
- Stoddart, D. Michael (১৯৯০)। The scented ape: The biology and culture of human odour। Cambridge: Cambridge University Press। পৃ. ৬০–৬১। আইএসবিএন ৯৭৮-০৫২১৩৭৫১১৫।
- Tsai, Ren-Yu (১ জানুয়ারি ২০০৬)। "Treatment of Excessive Axillary Sweat Syndrome (Hyperhidrosis, Osmidrosis, Bromhidrosis) with Liposuction"। Shiffman, Melvin A.; Di Giuseppe, Alberto (সম্পাদকগণ)। Liposuction: Non-Cosmetic Applications। Germany: Springer। পৃ. ৪৯৬–৪৯৭। আইএসবিএন ৯৭৮৩৫৪০২৮০৪৩৯।
- Wilke, K.; Martin, A.; Terstegen, L.; Biel, S. S. (জুন ২০০৭)। "A short history of sweat gland biology"। International Journal of Cosmetic Science। ২৯ (3): ১৬৯–১৭৯। ডিওআই:10.1111/j.1467-2494.2007.00387.x। আইএসএসএন 1468-2494। পিএমআইডি 18489347। এস২সিআইডি 205556581।
- Preti, George; Leyden, James (২০১০)। "Genetic Influence on Human Body Odor: From Genes to the Axillae"। Journal of Investigative Dermatology। ১৩০ (2): ৩৩৪–৩৪৬। ডিওআই:10.1038/jid.2009.396। পিএমআইডি 20081888।