অ্যান্ডারসন সেতুর হত্যাকাণ্ড

স্থানাঙ্ক: ২৪°০২′৪২″ উত্তর ৯০°৫৯′৪১″ পূর্ব / ২৪.০৪৫০° উত্তর ৯০.৯৯৪৭° পূর্ব / 24.0450; 90.9947
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যান্ডারসন সেতুর হত্যাকাণ্ড
ভৈরববাজার ও আশুগঞ্জের মাঝে সংযোগকারী অ্যান্ডারসন সেতু (ভৈরব সেতু)
অ্যান্ডারসন সেতুর হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
অ্যান্ডারসন সেতুর হত্যাকাণ্ড
স্থানঅ্যান্ডারসন সেতু , পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান
স্থানাংকঅক্ষাংশ ২৪.০৪ দ্রাঘিমাংশ ৯০.৯৯
তারিখ১২ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০
লক্ষ্যবাঙালি হিন্দু
হামলার ধরনগণহত্যা, হত্যাকাণ্ড
ব্যবহৃত অস্ত্রতলোয়ার, বন্দুক
হামলাকারী দলপূর্ব পাকিস্তান পুলিশ, সেনা, আনসার বাহিনী ও স্থানীয় মুসলিম

অ্যান্ডারসন সেতুর হত্যাকাণ্ড বলতে ১৯৫০ এর ১২ই ফেব্রুয়ারি অ্যান্ডারসন সেতুর ওপর পূর্ব পাকিস্তান প্রশাসনের মদতে বাঙালি হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ওপর করা হত্যাকাণ্ডকে বুঝায়।

পটভূমি[সম্পাদনা]

মেঘনা নদীর ওপর তৈরি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব বাজার জংশন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ স্টেশনের মাঝে একমাত্র সংযোগকারী ১কিমি লম্বা সেতুটাই অ্যান্ডারসন সেতু। বর্তমানে একে ভৈরব সেতু বলা হয়। সেতুর ওপর একটাই মিটার গেজ রেললাইন আছে। ১৯৫০ এ এই সেতুটাই ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম জেলার মাঝে রেলযোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল।[১]

ঘটনাবলী[সম্পাদনা]

এই সেতুর ওপর একটা বিশেষ পদ্ধতিতে পরিকল্পনা করে পলায়নরত হিন্দুদের হত্যা করা হয়। আনসাররা সেতুর দুপ্রান্তে ভৈরব বাজার জংশন বা আশুগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে পড়তো। ট্রেনটা হাইজ্যাক করে ভেতর থেকে দরজা-জানালা বন্ধ করে দিতো। সম্পূর্ণভাবে সেতুর ওপর উঠে পড়লে চালক ট্রেনটা থামিয়ে দিতো। এরপর আনসাররা প্রত্যেক হিন্দুকে এক এক করে টেনে বের করে এনে তাদের হত্যা করে মৃতদেহটা সেতুর ওপর থেকে নদীর জলে ফেলে দিতো।[১][২]

তথাগত রায়ের মতে, এই হত্যাকাণ্ডটা সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করেই করা হয়েছিল। ট্রেনের ড্রাইভার, গার্ড সহ সমস্ত রেলকর্মীই এই হত্যাকাণ্ডের হাত লাগিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব প্রভাস চন্দ্র লাহিড়ী, এই হত্যাকাণ্ডরের জন্য পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যসচিব আজিজ আহমেদ ও রাজশাহীর জেলাশাসক আব্দুল মজিদকে দায়ী করেন।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Roy, Tathagata (২০০২)। My People, Uprooted। Kolkata: Ratna Prakashan। পৃষ্ঠা 185। আইএসবিএন 81-85709-67-X 
  2. "thematic chronology of mass violence in pakistan, 1947-2007"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২০ 
  3. Roy, Tathagata (২০০২)। My People, Uprooted। Kolkata: Ratna Prakashan। পৃষ্ঠা 186। আইএসবিএন 81-85709-67-X