শামসুদ্দীন মোল্লা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(অ্যাডভোকেট শামসুদ্দীন মোল্লা থেকে পুনর্নির্দেশিত)
শামসুদ্দীন মোল্লা
ফরিদপুর-৮ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৭৩ – ১৯৭৫
পূর্বসূরীশুরু
উত্তরসূরীআক্তার মিয়া
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম২০ এপ্রিল ১৯২১
মৃত্যু১০ জুলাই ১৯৯১
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

শামসুদ্দীন মোল্লা ছিলেন একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান সংগঠক ও বাংলাদেশের সংবিধান রচয়িতা কমিটির অন্যতম সদস্য।[১][২]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

শামসুদ্দীন মোল্লা ১৯২১ সালের ২০ এপ্রিল ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার অন্তর্গত পূর্ব সদরদি গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪১ সালে ভাঙ্গার পাইলট হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করার পর ১৯৪২ সালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন। এখানে এক বছর পড়ার পরে কলকাতা সুরেন্দ্র মোহন কলেজ থেকে ১৯৪৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।

১৯৪৬ সালে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমান মৌলানা আজাদ কলেজ) থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ইসলামিয়া কলেজে তার সহপাঠী ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ করেন। [৩][৪][৫]

কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

শামসুদ্দীন কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়াকালীন সময় তিনি নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং সেসময় তিনি হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীআবুল হাশিমের সান্নিধ্যে আসেন। তিনি ১৯৫৫-১৯৫৮ সালে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হন। এরপর ১৯৬০-১৯৭১ সালে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৬-১৯৬৮ সালে তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক সমিতির সভাপতি। ১৯৬৬-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি। ১৯৬৬-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এমএনএ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরে তিনি এক বিবৃতিতে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর জামাতে ইসলামীর কুখ্যাত আল বদর, আল-শামস ও রাজাকার কর্তৃক পরিচালিত ব্যাপক গণহত্যার বিচার অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবী জানান। ১৯৭০-১৯৭৫ সালে তিনি ছিলেন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। ১৯৭২ সালে "খসড়া সংবিধান" রচয়িতা কমিটির সদস্য। ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ফরিদপুর বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি তৎকালীন ফরিদপুর-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন।[৬] ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামীলীগের (বাকশাল) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ফরিদপুর জেলার গর্ভনর হিসেবে দায়িত্ব পান।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

১৯৫০ সালে শামসুদ্দীন যোবায়দা শামসুদ্দীনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯১ সালের ১০ই জুলাই ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ফরিদপুরে অ্যাডভোকেট শামসুদ্দীন মোল্লার স্মরণসভা"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৯ 
  2. "শামসুদ্দীন মোল্লা"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৯ 
  3. "শামসুদ্দীন মোল্লা ছিলেন নিষ্ঠাবান আদর্শ রাজনীতিকের প্রতীক"NTV Online (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-৩১ 
  4. Team, Samakal Online। "সংগ্রামী জননেতা"সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-৩১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "শামসুদ্দীন মোল্লা ছিলেন সাদামনের রাজনীতিবিদ"www.prothom-alo.com। ২০১৩-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-৩১ 
  6. "আওয়ামী লীগে ফিরছেন রুমী"সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৯ 

https://songramernotebook.com/archives/18432

8. বাঙালির বাঁচার দাবি ৬ দফাhttps://web.archive.org/web/20190808170048/http://motopath.com.bd/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A7%AC-%E0%A6%A6%E0%A6%AB%E0%A6%BE/