অ্যাঙ্গুইলার ইতিহাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

অ্যাঙ্গুইলার ইতিহাস মানব বসতির শুরু থেকে আজ অবধি চালু রয়েছে। সম্ভবত, দক্ষিণ আমেরিকাতে ইংরেজদের দ্বারা আদি আধুনিক যুগে উপনিবেশিকরণের মধ্য দিয়ে বসতি স্থাপনের মাধ্যমে এটি চালু রয়েছে। ১৯৬০ এর দশকের একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসাবে অ্যাঙ্গুইলা, বিদ্রোহের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে স্বল্প-সময়কালের মধ্যে ১৯৮০ সাল থেকে একটি পৃথক ব্রিটিশ বিদেশী-অঞ্চল হয়ে উঠেছে।

প্রাক-কলম্বিয়ান অ্যাঙ্গুইলা[সম্পাদনা]

অ্যাঙ্গুইলার আদি বাসিন্দারা ছিল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আগত আমেরিকার স্থানীয় জনগণ যাদেরকে সাধারণত আরাওক (সম্পূর্ণ ঠিক নয়) জাতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়  । এই লোক গুলো ভেলা এবং ছাউনী যুক্ত  ডোঙ্গায় করে দ্বীপে ভ্রমণ করত। এরা মাছ ধরত শিকার করত এবং সংঘবদ্ধভাবে কৃষি কাজ করতো। চল্লিশটি আরাউক গ্রাম খনন করা হয়েছে। তার মধ্যে বৃহত্তম গুলো করা হয়েছে আইল্যান্ড হারবার, স্যান্ডি গ্রাউন্ড,  স্যান্ডি হিল, রেন্দেজভাজ উপসাগর এবং পূর্ব শোল উপসাগর। [১] আমেরিকানরা দ্বীপটির নাম রাখে ম্যলিউয়ানা। তেরোশো খ্রীষ্টপূর্বাব্দে প্রাচীন আমেরিকানদের নিদর্শন অ্যাঙ্গুইলা থেকে খুঁজে পাওয়া যায় এবং ছয়শ খ্রিস্টাব্দ থেকে এর অবস্থান অবশেষে উন্মোচিত হতে থাকে। বড় ঝর্ণা বা ঝরনার  উৎপত্তিস্থলের মত জায়গা গুলোতে ধর্মীয় নিদর্শন এবং ধর্মানুষ্ঠানের অবশেষসমূহ পাওয়া যায়। যা থেকে বোঝা যায় প্রাক-ইউরোপিয়ান অধিবাসীরা  প্রকৃতিগতভাবে প্রচন্ড ধার্মিক ছিলেন। আরাউকদের  বিষয়ে জনশ্রুতি আছে যে তারা পরবর্তীতে চরমপন্থী ক্যারিবীয়দের দ্বারা বাস্তুচ্যুত হয়। কিন্তু এই সকল ঘটনা ও চরিত্রায়ন সকল কিছুই বিতর্কিত। [২]

ঔপনিবেশিক অ্যাঙ্গুইলা[সম্পাদনা]

ইউরোপীয় আবিষ্কার এবং দ্বীপের নামকরণের বিষয়টি অনিশ্চিত। কেউ কেউ দাবি করে এটা কলম্বাস কর্তৃকই প্রথম নজরে আসে ; অন্যরা এটার কৃতিত্ব দেন, ১৫৬৪ এবং ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দের অভিযাত্রিক-অনুসন্ধানকারী ‘রেনা গৌলাইন দে লাউডননিয়ার’-কে । ১৬৩১ খ্রিস্টাব্দে ডাচ ওয়েস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী এই দ্বীপে একটি দূর্গ প্রতিষ্ঠা করে। পরে ১৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে স্পেনীয় শক্তি দ্বারা ঐ দূর্গের ধ্বংস-সাধনের মাধ্যমে ডাচরা প্রস্থান করে। [৩]

অ্যাঙ্গুইলা ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট ক্রিস্টোফার থেকে ইংরেজ ঔপনিবেশিক দ্বারা জয়লাভ করে এবং উপনিবেশ স্থাপন করে। এন্টিগুয়ার তত্ত্বাবধানে একটা স্থানীয় কাউন্সিল গঠন করা হয়। ছয় বছর পরে অন্য একটা দ্বীপের স্থানীয়রা এসে এটাকে আক্রমণ করে বেশির ভাগ পুরুষদের হত্যা করে এবং মহিলা এবং শিশুদের ক্রীতদাসে পরিণত করে। ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে ৩০০ ফরাসি দ্বীপটি আক্রমণ করে এবং বসতি স্থাপনকারীদের  জঙ্গলে বিতাড়িত করে। ১৬৬৭  খ্রিস্টাব্দের ‘ব্রেডা চুক্তি’ অনুসারে  ইংরেজরা পরবর্তীকালে আবার ফিরে আসে। ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি এবং আইরিশরা আবার এই দ্বীপটিতে যৌথ আক্রমণ করে এবং ইংরেজদের কে দ্বীপ থেকে এন্টিগুয়া তে বিতাড়িত করে। ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দের খরা পরবর্তী অবস্থা এতই  খারাপ ছিল যে অনেক অ্যাঙ্গুইলানরা ১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে  সেন্ট ক্রোইক্স এবং ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপের দিকে চলে যায়। ১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে ৩৬০ ইউরোপিয়ান ও ৯০০ আফ্রিকান বাসিন্দা নিয়ে এটি পুন-নির্মিত হয়।

১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দের অস্ট্রিয়ান উত্তরাধিকার যুদ্ধে ৩০০ অ্যাঙ্গুইলিয়ান এবং সেন্ট ক্রিস্টোফার হতে প্রাপ্ত দুইটি আক্রমণ কারী বেসরকারী জাহাজ প্রতিবেশী দেশ সেন্ট মার্টিনের ফরাসীদের উপর আক্রমণ করে। এবং ১৭৪৮ এর ‘এইক্স-লা-চ্যাপেল’ চুক্তি না হওয়া অবধি এটা স্থায়ী হয়। দুইটা ফরাসি রণতরী  ৭০০ থেকে ১০০০  লোক নিয়ে অ্যাঙ্গুইলার ক্রোকাস উপকূলে অবতরণ করে।  কিন্তু গভর্নর হোজ-এর নেতৃত্বাধীন ১৫০ জন স্বদেশরক্ষী সৈনিক দ্বারা তারা  বিতাড়িত হয়।

১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দের ২৭ নভেম্বরে নেপোলিওনিক যুদ্ধের মধ্যে ফরাসি যুদ্ধ জাহাজ ‘ডিসিয়াস’ ও ‘ভ্যাইলান্টি’ ভিক্টর হুগুয়েজ-এর নেতৃত্বে ৪০০ ফরাসী রেন্দেজভাজ উপকূলে অবতরণ করে। দক্ষিণ পাহাড় ও উপত্যকার গ্রামগুলি ধ্বংসের জন্য এরাই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু স্থানীয় ব্রিটিশরা স্যান্ডি হিল দূর্গের সামনের অনেকটা পথ জুড়েই পূনর্গঠিত হয়ে ছিল। ক্যাপটেন বার্টনের নেতৃত্বাধীন সেন্ট ক্রিস্টোফার থেকে ছেড়ে আসা যুদ্ধ জাহাজ ‘এইচ.এম.এস-ল্যাপউইং’ ফরাসি জাহাজকে পরাজিত করতে সক্ষম এবং হঠাৎ-আক্রমণের ফলে আবার তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

অ্যাঙ্গুইলাকে কৃষি-নির্ভর অর্থনীতিতে উন্নীত করার লক্ষ্যে আফ্রিকার ক্রীতদাসদের নিয়োগ দেওয়া হয়, কিন্তু দ্বীপটির মাটি ও জলবায়ু এতটাই প্রতিকূল ছিল যে, এই লক্ষ্য  বৃহৎভাবে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ফলশ্রুতিতে,  অ্যাঙ্গুইলার জনসংখ্যা শীর্ষ মান  ১০,০০০ এর কাছাকাছি  থেকে আনুমানিক ২০০০ এ ধস নেমে যায়। ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে সেখানে ৩৬০ জন ইউরোপীয়ান, ৩২০ জন মুক্ত আফ্রিকান এবং ২৪৫১ জন ক্রীতদাস ছিল। ১৮৩০ এর দশকে ব্রিটিশরা তাদের উপনিবেশিক এলাকায় ক্রীতদাস প্রথা রহিত করে। বাগান মালিকরা যখন ইউরোপে ফিরে যেতে লাগল, তখন বিমুক্ত মানুষেরা অ্যাঙ্গুইলাতে কৃষক ও মৎসজীবি হিসাবে জীবিকা অর্জনের মাধ্যমে বাস করতে শুরু করল। ১৮৩০ ও ১৮৪০ এর দশকে খরা ও দূর্ভিক্ষ দেখা দিল।  ব্রিটিশ সরকার দ্বীপের সকল জনগণকে ব্রিটিশ গুয়ানার ‘দেমেরারা’-তে পাঠানোর প্রচেষ্টা করল কিন্তু বেশিরভাগ জনগণই রয়ে গেল। উনিশ শতকে দ্বীপ-মধ্যবর্তী বৃহৎ হ্রদকে, আমেরিকাতে লবণ রফতানির উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হয়। প্রতি বছরের উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৩,০০০,০০০ বুশেল (শুষ্ক দ্রব্যের পরিমাণের একক বিশেষ) । এবং এর জন্য আস্তে আস্তে এই দ্বীপটি প্রধাণ বাণিজ্যের স্থানে পরিণত হল। পরে অবশ্য চিনি, তুলা এবং তামাকও উৎপাদিত হত।

১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে অ্যাঙ্গুইলাকে জোর করে সেন্ট কিটস এর সাথে যুক্ত-রাষ্ট্র করা হয়। পরের বছরই, দ্বীপটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশ দপ্তরে পৃথক হওয়ার অনুমতি এবং আইন জারি করার জন্য আবেদন করে । এই সময়ের মধ্যে জনসংখ্যা ৩০০০ এ উন্নীত হয়। ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে নেভিজ এসে যুক্ত হয়। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময়কালের মধ্যে জনসংখ্যা বেড়ে ৩৮৯০ এ দাঁড়ায়। ওই সময়ে মূলত কাঠ-কয়লা উৎপাদনের জন্য সমগ্র দ্বীপে বন-উজাড় হতে লাগল।  তবে প্রসারিত চারণভূমি সেন্ট থমাসে গবাদিপশু রফতানির জন্য বলা হল। চুনের ফসফেটও উৎপাদন হতে লাগল।

১৯৫১ খ্রিস্টাব্দের আগ পর্যন্ত অ্যাঙ্গুইলা প্রশাসন, সেন্ট ক্রিস্টোফার-নেভিজ-অ্যাঙ্গুইলার ব্রিটিশ উপনিবেশ এবং এর অনুবাতিক যুক্ত-দ্বীপসমূহের ফেডারেল উপনিবেশ  বিষয়ে বলার মত তেমন কিছুই ছিল না। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই ত্রি-দেশ, ওয়েস্ট-ইন্ডিজ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।

আধুনিক অ্যাঙ্গুইলা[সম্পাদনা]

২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে, ব্রিটেন সেন্ট ক্রিস্টোফার-নেভিজ-অ্যাঙ্গুইলা রাষ্ট্রকে এর নিজস্ব সংবিধান ও যথেষ্ট ভাল মানের  নিজস্ব সরকার ব্যবস্থা দিয়ে একটি সংযুক্ত রাষ্ট্র হিসাবে অনুমোদন দেয়। অনেক অ্যাঙ্গুইলানরা সেন্ট কিটসের অব্যাহত রাজনৈতিক আনুগত্যের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আপত্তি জানিয়েছিল এবং ৩০ মে ("অ্যাঙ্গুইলা দিবস" নামে পরিচিত) কিটস সরকারের পুলিশকে দ্বীপ থেকে উচ্ছেদ করা হয়। অস্থায়ী সরকার কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে করা অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয় । ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দের  ১১ জুলাই নতুন রাষ্ট্র থেকে সরে আসা অ্যাঙ্গুইলার বিচ্ছেদ নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।  ফলাফলে দেখা যায়  বিচ্ছিন্নতাবাদীদের  পক্ষে ১৮১৩ ভোট এবং বিরোধীরা পায় ৫ টি ভোট। তাৎক্ষণিকভাবে একটি পৃথক আইনসভা পরিষদ ঘোষণা করা হয়। পিটার অ্যাডামস অ্যাঙ্গুইলা দ্বীপ কাউন্সিলের প্রথম চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। বার্বাডোসে আট দিনের আলোচনার পরে, ৩১ জুলাই, নেভিজের সীমিত স্ব-শাসিত শাসন ব্যবস্থার বিনিময়ে এডামস অ্যাঙ্গুইলার  সেন্ট ক্রিস্টোফার-নেভিজ-অ্যাঙ্গুইলা ফেডারেশনে ফিরে যেতে রাজি হয়। অ্যাডামস নীতিগতভাবে এই চুক্তি সমর্থন করতে সম্মত হয়। কিন্তু কাউন্সিল রোনাল্ড ওয়েবস্টার কে এডামের পরিবর্তে চেয়ারম্যান হিসাবে  স্থলাভিষিক্ত করে তার সে সমর্থন বাতিল করে। ডিসেম্বরে ব্রিটিশ সংসদের দুই সদস্য অন্তবর্তীকালিন চুক্তি নিয়ে কাজ করে। এই চুক্তি অনুসারে একজন ব্রিটিশ আধিকারিক অ্যাঙ্গুইলা সরকারের সাথে যৌথভাবে মূল প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ হিসাবে কাজ করবে। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারী মাসে টনি লী এই পদটিতে স্থলাভিষিক্ত হন। তবে মেয়াদ শেষেও দ্বীপের সরকারের দীর্ঘমেয়াদী ভবিষ্যতের বিষয়ে কোনও সমঝোতায় পৌছায়নি।

৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে অ্যাঙ্গুইলাতে আবার দ্বিতীয় গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। ফলস্বরূপ বিরোধীপক্ষ (সেন্ট কিটস বাদীরা), বিচ্ছিন্নবাদী পক্ষের ১৭৩৯ টি ভোটের বিপরীতে  ৪ টি ভোট পায়। এই সময়ে  অ্যাঙ্গুইলা নিজেদেরকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে এবং ওএবস্টার আবার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে ১১ মার্চ উইলিয়াম হুইটলক নামে একজন  নতুন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত একটা নতুন অন্তর্বর্তীকালীন ব্রিটিশ প্রশাসনের প্রস্তাব নিয়ে সেখানে পৌছায়। তাকে তাৎক্ষণিক ভাবে বহিষ্কার করা হয়। ১৯ মার্চ ২য় ব্যাটেলিয়নের একটি দল, প্যারাস্যুট রেজিমেন্ট এবং ৪০ মেট্রোপলিট্রন পুলিশ কর্মকর্তা শান্তভাবে দ্বীপে অবতরণ করে। অবশ্য ওই নির্দেশ কার্যকর করতে। ওই শরতে সৈন্যদল চলে যায় এবং জনগণের কর্মোন্নতির জন্য সেনা-প্রকৌশলীদের আনা হয়। টনি লী কমিশনার হিসাবে ফেরত আসে এবং ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে দ্বীপবাসীদের সাথে অন্য একটি অন্তবর্তীকালীন চুক্তিতে কাজ করতে থাকে। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম সংবিধান গ্রহণ করে কার্যত, অ্যাঙ্গুইলা সেইন্ট কিটস ও নেভিজ থেকে আলাদা হওয়ার অনুমতি পেল। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের ১৯ ডিসেম্বরের পরে অ্যাঙ্গুইলা একটি পৃথক ব্রিটিশ নির্ভরতা হয়ে ওঠার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সেন্ট কিটস থেকে বিচ্ছিন্ন হল। ততক্ষণে ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেন থেকে সেইন্ট কিটস এবং নেভিজ -এর পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনের পালা আরম্ভ হল। অ্যাঙ্গুইলা এখনও একটি ব্রিটিশ-বিদেশী অঞ্চল হিসাবেই রয়ে গেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অ্যাঙ্গুইলা একটি অভিজাত পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, এবং পর্যটন অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি। মাছধরা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং একটি আর্থিক পরিষেবা খাতও বিকাশ করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু ইউরোপীয়ানদের (প্রধানত ইংরেজ) পাশাপাশি অ্যাঙ্গুইলার আধুনিক জনসংখ্যা মূলত আফ্রিকান (বংশোদ্ভুত) গোষ্ঠীর  জনগণ।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Anguilla's History", The Anguilla House of Assembly Elections, Government of Anguilla, ২০০৭, Archived from the original on ১৩ আগস্ট ২০০৭, সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৫ 
  2. 1 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৫-০৮-২৭ তারিখে.
  3. Source: Atlas of Mutual Heritage.