অস্বতী থিরুনাল গৌরী লক্ষ্মী বাই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অস্বতী থিরুনাল

গৌরী লক্ষ্মী বাই
স্থানীয় নাম
അശ്വതി തിരുനാൾ ഗൗരി ലക്ഷ്മിബായി
জন্মগৌরী লক্ষ্মী বাই
ত্রিবাঙ্কুর
ছদ্মনামগৌরী লক্ষ্মী বাই
পেশালেখক
ভাষামালয়ালম
জাতীয়তা ভারত
নাগরিকত্বত্রিবাঙ্কুর
শিক্ষাঅর্থনীতিতে স্নাতক
সময়কাল১৯৯৪ - বর্তমান
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিদ্য ডন (১৯৯৪), কেরালা মন্দিরের স্থাপত্য: কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য (১৯৯৭), শ্রী পদ্মনাভ স্বামী মন্দির (১৯৯৮), তুলসি মালা (১৯৯৮), দ্য মাইটি ইন্ডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স (২০০২), বুদ্ধদর্শন: লেখননং (২০০৭), কেরালা সংস্কৃতির ঝলক (২০১১), রুদ্রাক্ষমালা (২০১৪) ইত্যাদি।
দাম্পত্যসঙ্গীতিরুবল্ল পালিয়াক্কারা পশ্চিম প্রাসাদের শ্রী বিশাখাম নল সুকুমারন রাজা রাজা বর্মা, (বি.১৯৬৩-২০০৫)
সন্তানপুরুরুত্তাথি থিরুনাল মার্তন্ড বর্মা, আভিত্তম থিরুনাল আদিত্য বর্মা এবং ভরনি থিরুনাল লেখা পার্বতী বাই (১৯৯৪ সালে দত্তক) নেওয়া)

অস্বতী থিরুনাল গৌরী লক্ষ্মী বাই (জন্ম ১৯৪৫) হলেন কেরালার একজন প্রখ্যাত লেখক, তিনি ত্রিবাঙ্কুর রাজপরিবার থেকে এসেছেন। তাঁর লেখা বারোটি বই আছে।[১]

অস্বতী থিরুনাল হলেন ত্রিবাঙ্কুরের শেষ রাজা, চিথিরা থিরুনাল বলরামা বর্মার ভাইঝি।[২]

জন্ম ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

১৯৪৫ সালের ৪ঠা জুলাই অস্বতী থিরুনালের জন্ম হয়েছিল। তাঁর মা ও বাবা হলেন যথাক্রমে ত্রিবাঙ্কুর রাজপরিবারের মহারানি কার্তিক থিরুনাল লক্ষ্মী বাই এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল জি. ভি. রাজা। তাঁর ভাইবোনরা হলেন আভিত্তম থিরুনাল রামা বর্মা (১৯৩৮ - ১৯৪৪), পুয়ম থিরুনাল গৌরী পার্বতী বাই (১৯৪১) এবং মূলম থিরুনাল রামা বর্মা (১৯৪৯)।[৩][৪] তিনি তাঁর ভাইবোনদের সাথে ইঙ্গ-ভারতীয় শিক্ষকদের দ্বারা বাড়িতেই শিক্ষিত হয়েছিলেন। বিদ্যালয়ের পঠন শেষ করে, অর্থনীতিতে ডিগ্রী অর্জনের জন্য তিনি তিরুবনন্তপুরমের মহিলা কলেজে যোগদান করেন এবং সেখান থেকে ১৯৬৬ সালে স্নাতক হন।[৫]

বিবাহ[সম্পাদনা]

১৯৬৩ সালে ১৮ বছর বয়সে, অস্বতী থিরুনাল ২৬ বছর বয়সী বিশাখাম নাল সুকুমারন রাজা রাজা বর্মাকে বিবাহ করেছিলেন, যিনি তিরুবল্লের পালিয়াক্কারা পশ্চিম প্রাসাদের সদস্য ছিলেন। দম্পতির দুটি পুত্র- পুরুরুত্তাথি থিরুনাল মার্তন্ড বর্মা ও আভিত্তম থিরুনাল আদিত্য বর্মা এবং একটি দত্তক কন্যা- ভরনি থিরুনাল লেখা পার্বতী বাই ছিল। ২০০৫ সালের ৩০শে ডিসেম্বর রাজা রাজা বর্মা একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে কেরালার ওচিরা জেলা হাসপাতালে মারা যান।[৬]

সাহিত্য কর্ম[সম্পাদনা]

অস্বতী থিরুনাল অনেক ধরনের বই লিখেছেন, তার মধ্যে আছে ত্রিবাঙ্কুর মন্দির এবং কেরালা মন্দিরের স্থাপত্য, পাশাপাশি ইংরেজি কবিতার তিনটি সংকলন, সংবাদপত্রে অসংখ্য নিবন্ধ এবং ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বই - মোট ১২টি। তাঁর কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা হল: দ্য ডন (১৯৯৪), কেরালা টেম্পল আর্কিটেকচার: সাম নোটেবল ফিচার্স (১৯৯৭), শ্রী পদ্মনাভ স্বামী টেম্পল (১৯৯৮), তুলসি গার্ল্যান্ড (১৯৯৮), দ্য মাইটি ইন্ডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স (২০০২), বুদ্ধদর্শনম: লেখনান্নাল (২০০৭), গ্লিম্প্সেস অফ কেরালা কালচার (২০১১), রুদ্রাক্ষমালা (২০১৪) এবং অ্যান অ্যামেচার্স অ্যাটেম্প্ট অফ পোয়েট্রি (২০১৮)। সমালোচকদের মতে, ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত শ্রী পদ্মনাভ স্বামী টেম্পল বইটি, প্রাচীন মন্দিরের উপর একটি ব্যাপক কাজ হিসাবে বিবেচিত, এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং এর বেশ কয়েকটি সংস্করণও হয়ে গেছে। কে শঙ্করন নাম্বুথিরি এবং কে জয়কুমার বইটি মালয়ালম ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. SANTHANAM, KAUSALYA। "Writer with a royal lineage"। THE HINDU। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  2. Express, Express News Service (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "New Book by Aswathi Thirunal"THE NEW INDIA EXPRESS। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৪ 
  3. Maheshawari, Uma। "Maharani Karthika Thirunal:Witnessing History"Kerala 4u.in। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. Express News Service। "Moolam Thirunal Anointed Custodian of Temple"The New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৪ 
  5. SANTHANAM, KAUSALYA। "Writer with a royal lineage"। THE HINDU। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  6. "Travancore royal family"। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২২ 
  7. Express, Express News Service। "New Book by Aswathi Thirunal"THE NEW INDIA EXPRESS। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]