অস্ট্রেলীয় ম্যাগপাই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

অস্ট্রেলিয়ার ম্যাগপাই
C. tibicen hypoleuca, Tasmania
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
জগৎ/রাজ্য: অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)
পর্ব: কর্ডাটা
গোষ্ঠী: ডাইনোসরিয়া (Dinosauria)
গোষ্ঠী: সরিস্কিয়া (Saurischia)
গোষ্ঠী: থেরোপোডা (Theropoda)
গোষ্ঠী: Maniraptora
গোষ্ঠী: আভিয়ালে (Avialae)
শ্রেণি: এভিস (Aves)
বর্গ: প্যাসারিফর্মিস (Passeriformes)
পরিবার: Artamidae
গণ: Cracticus
(Latham, 1801)
প্রজাতি: C. tibicen
দ্বিপদী নাম
Cracticus tibicen
(Latham, 1801)
Subspecies

9, see text

Australian magpie natural range
প্রতিশব্দ

Gymnorhina tibicen

অস্ট্রেলিয়ার ম্যাগপাই (Cracticus tibicen) হচ্ছে মাঝারি আকারের সাদা কালো প্যাসারিন পাখি যাদের আদি নিবাস অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ গায়ানা। পুরুষ পাখির মাথার পিছে সাদা পালক থাকে।

শ্রেণীবিন্যাস[সম্পাদনা]

১৮০১ সালে ইংরেজ পক্ষীবিদ জন ল্যাথাম সর্বপ্রথম অস্ট্রেলিয়ার ম্যাগপাইকে Coracias tibicen হিসেবে বর্ণনা করেন। এর প্রজাতি নাম টিবিসেন ল্যাটিন শব্দ অর্থ বংশী বাদক। এই পাখিরা খুবই সুমিষ্ট স্বরে গান করে। এই পাখির অনেক স্থানীয় নাম আছে। সিডনি অঞ্চলের ইয়োরা এবং ডারুগ অধিবাসীরা এদেরকে টাররা-ওন-ন্যাং, উইবাং, ম্যারিয়াং নামে ডাকতো।

বর্ণনা[সম্পাদনা]

প্রাপ্তবয়স্ক ম্যাগপাই লম্বায় ৩৭-৪৩ সেমি, ওজনে ২২০-৩৫০ গ্রাম। ডানার বিস্তৃতি ৬৫-৮৫ সেমি। এদের চঞ্চু নীলাভ সাদা যার মাথা হুক আকৃতির। কালো পা দুখানা দীর্ঘ এবং মজবুত প্রকৃতির। পাখনা বিশুদ্ধ কালো এবং সাদা। পুরুষ পাখির মাথার পেছনে সাদা পালক এবং স্ত্রী পাখির মাথার পেছনে ধূসর সাদা পালক থাকে।

বাসস্থান[সম্পাদনা]

এদেরকে দেখতে পাওয়া যায় নিউ গায়ানার দক্ষিণাঞ্চলে, ওরিমো নদী ও প্রিন্সেস মেরিয়ান প্রণালী মাঝের অঞ্চলে, অস্ট্রেলিয়্র অধিকাংশ স্থানে, কেপ ইয়র্ক, গিবসন, গ্রেট স্যান্ডি মরুভূমি এবং তাসমানিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে। ১৮৬০ এর দিকে স্থানীয়দের হাত ধরে তাসমানিয়া ও ভিক্টোরিয়া থেকে ম্যাগপাই পাখি নিউজিল্যান্ড প্রবেশ করে। কৃষিজমির কীটপতঙ্গ দমনে নিউজিল্যান্ডে ম্যাগপাই আনা হয়।

স্বভাব[সম্পাদনা]

অস্ট্রেলীয় ম্যাগপাই সর্বভুক প্রকৃতির পাখি। এরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খায়। এরা ভূমিতে এবং ভূমির কাছাকাছি নানাবিধ খাবার খেয়ে থাকে যেমন কেঁচো, বহুপদী, শামুক, মাকড়শা, বিছে, তেলাপোকা, পিঁপড়া, গোবরেপোকা, মথ, শুঁয়োপোকা, ঘাসফড়িঙ, ব্যাং, ইঁদুর, শস্যকণা, ডুমুর, ওয়ালনাট ইত্যাদি খেয়ে থাকে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Gymnorhina tibicen"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩