অল আফ্রিকা রাইটস ইনিশিয়েটিভ
অল আফ্রিকা রাইটস ইনিশিয়েটিভ (বা এএআরআই ) হল আফ্রিকার এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষদের অন্যতম একটি সংগঠন বা জোট। ২০০৪ সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১] অল আফ্রিকা রাইটস ইনিশিয়েটিভ জোট আফ্রিকায় সমকামভীতির বিরুদ্ধে প্রচার চালায় এবং এলজিবিটি শ্রেনীভুক্ত মানুষদের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করে।[২][৩][৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে জোহানেসবার্গে একটি সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল যার থেকে এই উদ্যোগের সূচনা হয়। মুলত পুরুষ এবং নারী সমকামী গোষ্ঠী (সংক্ষেপে জিএএলজেড) এবং উগান্ডার একটি দারিদ্র্য-ত্রাণ সংস্থা[৫] দ্বারা আয়োজিত এই সম্মেলন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নামক বেসরকারী সংস্থার সাথেও যুক্ত ছিল।[৬] এই সম্মেলনে ১৭টি আফ্রিকান দেশের ২২টি এলজিবিটিকিউ আন্দোলন গোষ্ঠীর ৫৫ জনেরও বেশি প্রতিনিধি[৭] উপস্থিত ছিলেন। আফ্রিকায় এইচআইভি/এইডস রোগের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য এবং সচেতনতার প্রচার করার জন্য প্রাথমিকভাবে এই সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়েছিল।[৮] এই উদ্যোগটিকে আফ্রিকার মানবাধিকার সংকটের প্রতি ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে সাড়া দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে যা আফ্রিকার এলজিবিটিকিউ শ্রেনীর মানুষদের আরও আত্মবিশ্বাসের দিকে পরিচালিত করতে পারে এবং পশ্চিমা সমকামী অধিকার সংস্থা ও অন্যান্য বিদেশী দাতাদের উপর তাদের নির্ভরতা হ্রাস করতে পারে।[৯]
আফ্রিকা মহাদেশ জুড়ে সমকামী বিদ্বেষের প্রকৃতির কারণে, সম্মেলনটি সেই সময়ে খুব কমই প্রচার চালাতে পেরেছিল। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ছবি তোলার পর্যন্ত স্বীকৃতি জানায়নি।[১০] সম্মেলনের শেষে, সংগঠনটি স্থানীয়ভাবে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে একটি বিবৃতি জারি করে যে সমকামিতা একটি পশ্চিমা ধারণা, যা আফ্রিকার জন্য অপরিচিত। কিন্তু আফ্রিকাতে এলজিবিটিকিউ স্থান আগে থেকেই ছিল এবং সর্বদাই থাকবে। আফ্রিকান ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি স্বাগত এবং আত্মীয়তার নীতির উপর বিশ্বাস করে।[১১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Epprecht, Marc (২০০৬)। "All Africa Rights Initiative"। Gerstner, David A. (সম্পাদক)। Routledge International Encyclopedia of Queer Culture (English ভাষায়) (1 সংস্করণ)। Routledge। পৃ. ৩৬। আইএসবিএন ৯৭৮০৪১৫৩০৬৫১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২২।
{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - ↑ Lind, Amy (২০১০)। Development, Sexual Rights and Global Governance (English ভাষায়)। Taylor & Francis। আইএসবিএন ৯৭৮১১৩৫২৪৪৫৯০। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২২।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - ↑ Martel, Frédéric (২০১৮)। Global Gay: How Gay Culture Is Changing the World (English ভাষায়)। MIT Press। পৃ. ১৩৯। আইএসবিএন ৯৭৮০২৬২৫৩৭০৫৬। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২২।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - ↑ Clark, Howard (২০০৯)। People Power: Unarmed Resistance and Global Solidarity (English ভাষায়)। Pluto Press। পৃ. ১৭৩, ১৭৫। আইএসবিএন ৯৭৮০৭৪৫৩২৯০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২২।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - ↑ Richardson, Eric M. (২০০৫)। "Africa, LGBT Youth and Issues in"। Youth, Education, and Sexualities: An International Encyclopedia (English ভাষায়)। Greenwood Publishing Group। পৃ. ২৯–৩০। আইএসবিএন ৯৭৮০৩১৩৩২৭৫৪৪। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২২।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - ↑ Harcourt, Wendy (২০১৩)। Body Politics in Development: Critical Debates in Gender and Development (English ভাষায়)। Zed Books। আইএসবিএন ৯৭৮১৮৪৮১৩৬১৮২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২২।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - ↑ Sources variously report the number as 55 or 65.
- ↑ Epprecht, Marc (২০১৩)। "Politics"। Hungochani: The History of a Dissident Sexuality in Southern Africa (English ভাষায়) (2 সংস্করণ)। McGill–Queen's University Press। পৃ. ২১৯। আইএসবিএন ৯৭৮০৭৭৩৫৮৮৭৮৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২২।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - ↑ Currier, Ashley; Thomann, Matthew (২০১৬)। "Gender and sexual diversity organizing in Africa"। Understanding Southern Social Movements (English ভাষায়)। Taylor & Francis। আইএসবিএন ৯৭৮১৩১৭৪৮৪০৮০। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২২।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - ↑ Richardson, Eric M. (২০০৫)। "Africa, LGBT Youth and Issues in"। Youth, Education, and Sexualities: An International Encyclopedia (English ভাষায়)। Greenwood Publishing Group। পৃ. ২৯–৩০। আইএসবিএন ৯৭৮০৩১৩৩২৭৫৪৪। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২২।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)Richardson, Eric M. (2005). "Africa, LGBT Youth and Issues in". In Sears, James Thomas (ed.). Youth, Education, and Sexualities: An International Encyclopedia. Vol. 1. Greenwood Publishing Group. pp. 29–30. ISBN 9780313327544. Retrieved 2022-07-17. - ↑ Goering, Laurie (৯ জুন ২০০৪)। "Africa's gays persecuted as cause of ills"। Chicago Tribune (English ভাষায়)। ১৬ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২২।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)