বিষয়বস্তুতে চলুন

অলমিত্রা প্যাটেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অলমিত্রা প্যাটেল
২০২১ সালে অলমিত্রা প্যাটেল
জন্ম১৯৩৬
মাতৃশিক্ষায়তনবোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পরিচিতির কারণপরিবেশগত ও দূষণ বিরোধী আন্দোলন

অলমিত্রা প্যাটেল (জন্ম ১৯৩৫) একজন ভারতীয় পরিবেশ নীতি প্রবক্তা এবং দূষণ বিরোধী কর্মী।[]

শিক্ষা

[সম্পাদনা]

অলমিত্রার বাবা ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তাঁর মা ছিলেন একজন নাগরিক কর্মী, তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত একটি শিক্ষা সমাজের সাথে জড়িত ছিলেন। অলমিত্রার পরিবার ছোটবেলা থেকেই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী সম্পন্ন ছিল, এবং তাঁর সম্পর্কিত ভাইবোনেদের সাথে তিনি বার্নস হাই স্কুলে বিজ্ঞান পড়া প্রথম মেয়ে ছিলেন।

অলমিত্রার বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুক, তাই তিনি তাঁর মেয়েকে সিরামিকসে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (এমআইটি) পাঠিয়েছিলেন। অলমিত্রা তিন বছরের মধ্যে জেনারেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি এবং সিরামিকসে এমএস সম্পন্ন করেন এবং ১৯৫৯ সালে এমআইটি থেকে স্নাতক হওয়া প্রথম ভারতীয় মহিলা ইঞ্জিনিয়ার হন। পরবর্তী তিন দশক ধরে, তিনি অপঘর্ষক (অ্যাব্রেসিভ), ফাউণ্ড্রি-রিফ্র্যাক্টরি এবং সিমেন্ট টাইল শিল্পের ক্ষেত্রে কাজ করেন।[][]

প্রচারণা এবং সক্রিয়তা

[সম্পাদনা]

১৯৭০-এর দশক থেকে অলমিত্রা নাগরিক ও পরিবেশগত বিষয়গুলিতেও জড়িত ছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে এশিয়াটিক সিংহ সংরক্ষণ, বৃক্ষরক্ষক হিসেবে কাজ করা, উলসুর হ্রদ সংরক্ষণ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কম খরচে বাড়ি নির্মাণ। তিনি পরিবেশগত নীতির পক্ষে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি বর্তমানে বিভিন্ন চিন্তাকেন্দ্র (থিঙ্ক ট্যাঙ্ক) এবং সরকারি প্যানেলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কাজ করছেন।[]

১৯৯১ সালে, অলমিত্রা পৌরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন এবং দেখেন যে ১৯৯৪-১৯৯৫ সালে তিনি যে ৮০টি ভারতীয় শহর পরিদর্শন করেছিলেন, তার বেশিরভাগেরই শহরের উপকণ্ঠে বা রাস্তাঘাট ছাড়া বর্জ্য ফেলার কোনও জায়গা ছিল না।[]

পৌরসভার কঠিন বর্জ্য খোলা জায়গায় ফেলার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অলমিত্রা প্যাটেলের ১৯৯৬ সালে জনস্বার্থ মামলাটি পৌরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালার খসড়া তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।[]

তিনি গাজীপুর ল্যাণ্ডফিলের (ভাগাড়) ওপর একটি গবেষণা পরিচালনা করেছিলেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Sarma, Deepika (১৩ মার্চ ২০১৩)। "Kothanur's own Renaissance woman"The Hindu (ভারতীয় ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২২
  2. "B I O D A T A 2022"www.almitrapatel.com। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২৫
  3. "Unsung Heroes: The Legacy of Almitra Patel"prezi.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২৫
  4. "Almitra Patel: The First Indian Woman Engineer at MIT"sheforsuccess.com। ১৩ এপ্রিল ২০১৬। ২৪ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৬
  5. Sridhar, Asha (১৫ আগস্ট ২০১৩)। "A woman's battle to keep waste from ending up in landfills"The Hindu (ভারতীয় ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২২
  6. "A woman's battle to keep waste from ending up in landfills"The Hindu (ভারতীয় ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ আগস্ট ২০১৩। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২৫
  7. Rehman, Mumtaz (১১ জুলাই ২০২১)। "Ghazipur Landfill: A Mountain Of Waste Almost The Height Of The Qutub Minar"Feminism in India (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২২

আরও পড়ুন

[সম্পাদনা]