অরুণ দত্ত
অরুণ দত্ত | |
---|---|
জন্ম নাম | অরুণ দত্ত |
জন্ম | ১৯৩৬ জলপাইগুড়ি, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ৬ নভেম্বর ২০২১ |
ধরন | বাংলা আধুনিক গান |
পেশা | কণ্ঠশিল্পী |
কার্যকাল | ১৯৬১ –২০২১ |
অরুণ দত্ত (১৯৩৬ - ৬ নভেম্বর ২০২১) ছিলেন ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী। [১]
সংক্ষিপ্ত জীবন[সম্পাদনা]
অরুণ দত্তের জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায়। তার দুই দিদি খুব ভালো গান গাইতেন। সেই দিদিদের হাত ধরেই তার গানের সঙ্গে পরিচয়। বাড়িতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিক্ষা নেন কেশব গনেশ ঢেকলের কাছে। কলেজ জীবনে কলকাতায় গুরু হিসাবে পান অনুপম ঘটককে। এই অনুপম ঘটকের কন্যাকেই তিনি বিবাহ করেন। পরে গুরু হিসাবে পান কমল দাশগুপ্তকেও।[২] মেট্রো-মারফির আন্তঃ কলেজ প্রতিযোগিতায় তার আত্মপ্রকাশ। পঁচিশ বৎসর বয়সে গ্রামোফোন রেকর্ডে প্রকাশিত গান যখন চাঁদ ঘুমাবে, রাত ঘুমাবে জনপ্রিয় হয়। আকাশবাণীতে তার গান শুনে প্রশংসা করেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায় আর ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। মরমি কণ্ঠে তার গাওয়া জনপ্রিয় গান গুলি হল-
- কুহর কবিতা পৃথিবী যে ওই শোনে
- পায়ে চলা পথ যেথায় গিয়েছে ভেঙ্গে
- কেন গো পরনি আজ
- যদি যাবে চলে যেও
- আমি যে প্রদীপ জ্বলিতেই শুধু পারি
- যারে ফিরে যা পাখি ফিরে
- সূর্যে রৌদ্রে পুড়িয়ে নিজেকে
- সে জানি না কোথায়, তারে মনে পড়ে যায়
- তোমার ওই সাগর চোখে
- ওরে ও চম্পাকলি
- ও পাখি উড়ে যা ( হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে)
- পাখি বলে কারে দেবো এ গান ভাবি তাই (হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে)
১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা চলচ্চিত্র চিরদিনের ছবিতে ইলা বসুর সঙ্গে কণ্ঠ দেন এক থেকে দুই হয় গানটিতে।[৩]
জীবনাবসান[সম্পাদনা]
বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ৬ই নভেম্বর পরলোক গমন করেন। কন্যা মধুরিমা দত্ত চৌধুরীও একজন সঙ্গীতশিল্পী।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "কলকাতার কড়চা- সুরলোকে"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৩।
- ↑ "প্রয়াত অরুণ দত্ত,স্বর্ণযুগের গানে মায়াময় কণ্ঠশিল্পীকে ভুলেছে"। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৯।
- ↑ "Chiradiner (1969)"। Indiancine.ma। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৪।