বিষয়বস্তুতে চলুন

অমৃতা পাতিল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অমৃতা পাতিল
জন্ম১৯ এপ্রিল ১৯৭৯ (1979-04-19) (বয়স ৪৬)
পুনে, ভারত
পেশাগ্রাফিক ঔপন্যাসিক, চিত্রশিল্পী এবং লেখক
জাতীয়তাভারতীয়
সময়কাল২০০৮ – বর্তমান
ধরনগ্রাফিক উপন্যাস
বিষয়পৌরাণিক কাহিনী, বাস্তুশাস্ত্র, এবং অন্তরবিভাগীয় নারীবাদ (ইন্টারসেকশনাল ফেমিনিজম)

অমৃতা পাতিল (জন্ম: ১৯শে এপ্রিল ১৯৭৯) হলেন একজন ভারতীয় গ্রাফিক উপন্যাস লেখক এবং চিত্রশিল্পী।

পটভূমি

[সম্পাদনা]

অমৃতা পাতিল গোয়ায় বড় হয়ে উঠেছেন, সেখানে তাঁর বাবা ভারতীয় নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।[] তিনি গোয়া কলেজ অফ আর্ট থেকে বিএফএ ডিগ্রি (১৯৯৯) এবং বোস্টনের টাফ্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ দ্য মিউজিয়াম অফ ফাইন আর্টস থেকে মাস্টার অফ ফাইন আর্টস ডিগ্রি (২০০৪) অর্জন করেছেন।[]

প্রাথমিক কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

অমৃতা পাতিল ১৯৯৯ - ২০০০ সালে এন্টারপ্রাইজ নেক্সাস-এ (মুম্বাই) কপিরাইটার হিসেবে কাজ করেছিলেন।[] তিনি ত্রৈমাসিক পত্রিকা 'মাইণ্ডফিল্ডস'-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদক ছিলেন (২০০৭ - ২০১২)।[] ২০০৯ সালে তিনি টেড ফেলোশিপ লাভ করেন।[]

গ্রাফিক উপন্যাস

[সম্পাদনা]

অমৃতা পাতিলের প্রথম গ্রাফিক উপন্যাস, কারি, এটিকে হার্পারকলিন্স ইণ্ডিয়ার ভি কে কার্তিক অনুমোদন করে প্রকাশ করেছিলেন। এই উপন্যাসে যৌনতা, বন্ধুত্ব এবং মৃত্যুর মতো বিষয়বস্তু অন্বেষণ করা হয়েছিল এবং অমৃতাকে ভারতের প্রথম মহিলা গ্রাফিক ঔপন্যাসিক হিসেবে ঘোষণা করেছিল।[] অমৃতা হলেন একজন স্বঘোষিত "অদ্ভুত" ব্যক্তি, যিনি কমিক্স সংস্কৃতির খুব বেশি পরিচিতি ছাড়াই একটি ছোট শহরে বড় হয়ে উঠেছেন। তিনি নিজের স্ব-শিক্ষামূলক প্রক্রিয়া এবং বিকশিত শৈলী সম্পর্কে কথা বলেছেন।[] কারি উপন্যাসটি বিভিন্ন একাডেমিক গবেষণাপত্রের বিষয়বস্তু।[][]

তাঁর পরবর্তী দুটি গ্রাফিক উপন্যাস আদি পর্ব: চার্নিং অফ দ্য ওশান এবং সৌপ্তিক: ব্লাড অ্যাণ্ড ফ্লাওয়ার্স [] দুটি পর্বের একটি ক্রম তৈরি করেছে যেখানে যথাক্রমে বহিরাগত বর্ণনাকারী (সূত্রধর) গঙ্গা এবং অশ্বত্থামার দৃষ্টিকোণ থেকে মহাভারতের গল্পগুলি পুনর্ব্যক্ত হয়েছে। এই দুটি উপন্যাস সম্পর্কে বলতে গিয়ে, উপরে উল্লিখিত দুজন বর্ণনাকারীকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন তাদের প্রান্তীয় ভূমিকার কারণে তিনি এই চরিত্রদুটিকে বেছেছেন।[১০] সূত্রধরের গুরুত্ব পুনরুল্লেখ করে বলা হয়েছে এটি - "গল্পগুলিকে বর্তমানের কাছাকাছি নিয়ে আসার একটি উপায়"।[১১]

নারী শক্তি পুরস্কার সহ অমৃতা পাটিল

তাঁর লেখা ফরাসি এবং ইতালীয় ভাষায় অনূদিত হয়েছে।[১২]

তাঁর চতুর্থ গ্রাফিক উপন্যাস - আরণ্যক [১৩] - তাঁর বন্ধু, পৌরাণিক কাহিনীবিদ দেবদত্ত পট্টনায়েকের সাথে আলোচনার পর প্রকাশিত হয়েছিল। আরণ্যক প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে ওয়েস্টল্যাণ্ড দ্বারা এবং তারপর ২০২৩ সালে হার্পারকলিন্স ইণ্ডিয়া দ্বারা।[১৪]

"কমিক বইয়ের রাজধানী" অ্যাঙ্গোলেমে (ফ্রান্স) এবং লা মেইসন ডেস অট্যুর্সের সাথে এক দশক ধরে যোগাযোগের পর,[১৫] কমিক বইয়ের লেখকদের জন্য একটি জুরিকৃত আবাসস্থল ছেড়ে পাতিল ২০১৯ সালে ভারতে চলে আসেন।

২০১৯ সালের সেরেণ্ডিপিটি আর্টস ফেস্টিভ্যালে অমৃতা পাতিলের "অল্টার"[১৬][১৭] নামে একটি একক অনুষ্ঠান ছিল। তিনি ২০২০ সালে গ্র্যাণ্ড ফরম্যাটের অ্যাক্রিলিক ট্যাবলো আঁকা শুরু করেন।

তিনি বিশ্বের প্রথম নন-ফিকশন কমিক্স অ্যাপ, কোমিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

গণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ

[সম্পাদনা]

২০১৭ সালে জি জয়পুর সাহিত্য উৎসবে অমৃতা পাতিল একজন বক্তা ছিলেন।[১৮]

২০১৮ সালে, তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ডিভিনিটিতে একজন বক্তা এবং শিল্পী ছিলেন।[১৯]

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]
  • কারি (২০০৮)[২০]
  • আদি পর্ব: চার্নিং অফ দ্য ওশান (২০১২)[২১][২২]
  • সৌপ্তিক: ব্লাড অ্যাণ্ড ফ্লাওয়ার্স (২০১৬)[২১][২৩]
  • আরণ্যক (২০১৯)[১৪][২৪]

পুরস্কার

[সম্পাদনা]

অমৃতা পাতিল ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ভারতের ১৩তম রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির হাত থেকে নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের নারী শক্তি পুরস্কারে গ্রহণ করেন।[২৫][২৬]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Das, Soma (২০১৬-১০-০৬)। "Visual artist and author Amruta Patil breaks new ground with her graphic retelling of the Mahabharata"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২১ 
  2. "Amruta Patil"The Hindu। ২৬ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  3. Bell, Melissa A. (২০০৮-০৮-০৯)। "Amruta Patil / Writer and illustrator"LiveMint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২১ 
  4. "Amruta Patil - TED Fellow - TED"www.ted.com 
  5. Menezes, Vivek (২৬ জুলাই ২০২১)। "India's first female graphic novelist Amruta Patil is graphing the future"GQ India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২২ 
  6. "In Conversation with Graphic Novelist - Amruta Patil"YouTube। ১৭ অক্টোবর ২০২১। 
  7. "'Can You See Her the Way I Do?': (Feminist) Ways of Seeing in Amruta Patil's Kari (2008)" 
  8. "Exploring Gender, Identity, and Mythology in Kari by Amruta Patil" 
  9. Anasuya, Shreya Ila (২০১৬-০৯-৩০)। "Amruta Patil's Mahabharat"LiveMint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২১ 
  10. Harper Broadcast (১০ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Amruta Patil in conversation with Amrita Tripathi" – YouTube-এর মাধ্যমে। 
  11. Goel, Mayanka; Aranha, Jovita (২০১৬-০৯-০৩)। "Reaching for the fire in her heart"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২১ 
  12. "Amruta Patil"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০১-২৬। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২১ 
  13. Amruta Patil (১৪ জুলাই ২০১৭)। "Aranyaka: Making of a Graphic Novel - Visual-Textual Notes" – YouTube-এর মাধ্যমে। 
  14. Das, Ranjabati (২০১৮-১২-২৭)। "Making Waves: Amruta Patil"Verve Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৩ 
  15. "La Maison des Auteurs"। la Cité internationale de la bande dessinée et de l'image। ২০১৭। ৩ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  16. "A graphic description | the Navhind Times"। ২২ ডিসেম্বর ২০১৯। 
  17. "Fine arts and the creative role of serendipity"। ২০ ডিসেম্বর ২০১৯। 
  18. ZEE Jaipur Literature Festival (১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "#ZeeJLF2017: Blood and Flowers" – YouTube-এর মাধ্যমে। 
  19. Gurevitch, Eric Moses। "Forests of Learning & Kari, Adi Parva, and Sauptik: Conversations with Amruta Patil" 
  20. Patil, Amruta (২০১৮)। Kari। HarperCollins Publishers India। আইএসবিএন 978-81-7223-710-3ওসিএলসি 1122761847 
  21. Amruta Patil (১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। Sauptik: Blood and Flowers। HarperCollins Publishers India। আইএসবিএন 978-93-5264-065-2 
  22. Patil, Amruta (২০২১)। Adi Parva: Churning of the Ocean. (English ভাষায়)। HarperCollins India। আইএসবিএন 978-93-5422-761-5ওসিএলসি 1252961473 
  23. Patil, Amruta (২০২১)। Sauptik: Blood and Flowers. (English ভাষায়)। HarperCollins India। আইএসবিএন 978-93-5422-936-7ওসিএলসি 1252962687 
  24. Patil, Amruta (২০২০)। Aranyaka: Book of the Forest (English ভাষায়)। ওসিএলসি 1140353467 
  25. "Nari Shakti Awardees - Ms. Amruta Patil, Goa"। wcd.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-১৮ 
  26. "Nari Shakti Awardees - Ms. Amruta Patil, Goa | Ministry of Women & Child Development|IN|odwqu"