অমর একুশে (ভাস্কর্য)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অমর একুশ
শিল্পীজাহানারা পারভীন
বছর২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১
অবস্থানজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা

অমর একুশ ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিপূর্ণমূলক ভাস্কর্যগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। এর স্থপতি শিল্পী জাহানারা পারভীন।[১][২]

অবস্থান[সম্পাদনা]

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২ নং গেইট এর সামনে অবস্থিত এই ভাস্কর্যটি। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কাজী সালেহ আহমেদ এই ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন।[১][২]

আকার[সম্পাদনা]

ভাস্কর্যটির স্তম্ভসহ ফিগারের মোট উচ্চতা ৩৪ ফুট। এটি নির্মাণ করা হয়েছে চুনাপাথর, সিমেন্ট, ব্ল্যাক আইড, বালি, মডেলিং ক্লে প্রভৃতি দিয়ে।[১][২]

স্থাপত্য তাৎপর্য[সম্পাদনা]

অমর একুশ

অমর একুশ মনে করিয়ে দেয় ত্যাগ আর অগণিত প্রাণের বিনিময়ে বাঙালির প্রাপ্তি। বিশ্বে বাঙালিরা অন্যতম জাতি যাদের ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে। 'অমর একুশ' নিয়ে যায় ৫২'র একুশে ফেব্রুয়ারিতে যেই দিনে-ভাষার জন্য ছাত্ররা মিছিল করেছিল। পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, শফিউর, জব্বার প্রমুখের তাজা প্রাণের লাল রক্তে বাঙালিরা নিজের ভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করে। 'অমর একুশ' মা-বাবার কোলে সন্তানের লাশকে দেখায়।[৩] মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে কংক্রীটের শরীরে জীবন্ত করেছেন শিল্পী জাহানারা পারভীন। শিল্পী ‘অমর একুশ’ ভাস্কর্য কর্মে তার লালিত স্বপ্ন এবং জাতীয় চেতনাকে স্থায়ীরূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ‘অমর একুশ’ নামের মধ্যে বায়ান্নের সেই উত্তাল সময়কে যেমন ধরে রাখা হয়েছে তেমনি একটি শাণিত চেতনাকেও শরীরী করা হয়েছে। এই ভাস্কর্যে একজন মায়ের কোলে শায়িত ছেলের পথিকৃৎ দেখা যায় এবং এর পেছনে শ্লোগানরত অবস্থায় একজনের প্রতিকৃতি দেওয়া হয়েছে।[১][২]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. অমর একুশ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], তনু, দৈনিক সমকাল। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৮ এপ্রিল ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
  2. ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক জাবির স্থাপনা সমূহ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], মাহিদুল ইসলাম মাহি, বেস্টনিউজ ডটকম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  3. অমর একুশ,নুরুন্নাহার শম্পা, বাংলাদেশ প্রতিদিন। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৫ জুন ২০১০ খ্রিস্টাব্দ।