অভিধম্মপিটক
অভিধর্ম পিটক, বৌদ্ধ মতানুযায়ী ধর্মাতিরিক্ত ব্যাখা, বিশ্লেষণ; অন্যভাবে বলা যায় ধর্মের বিশেষত্ব, ধর্মের বিশ্লেষিত অর্থ বা ধর্মের গূঢ়তত্ব; সামগ্রিকভাবে ধর্মের সর্বোত্তম বিকাশই অভিধর্ম। 'ধর্ম' (সুত্তসমুহ) শব্দের সাথে 'অভি-' উপসর্গ যোগে 'অভিধর্ম' পদ গঠিত হয়েছে।
উৎস[সম্পাদনা]
ত্রিপিটকের তিন মূল ধারার অন্যতম একটি হলো অভিধর্ম পিটক। এটিকে বৌদ্ধ দর্শনের সংহত সংস্করণ বলা হয়। এখানে বৌদ্ধ দর্শনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ রয়েছে। তথাগত বুদ্ধ নানা উপদেশের মাধ্যমে যে তত্ত্বসমূহ উপস্থাপন করেছেন, যে নৈতিক আদর্শিক বিষয়সমুহ তিনি অনুসরণ, অণুকরণ ও অণুধাবন করতে উপদেশ দিয়েছেন সে তত্ত্বসমুহের বিন্যস্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে বিনয় পিটকে।[১]
বিশ্লেষণ[সম্পাদনা]
বাঙ্গালী অভিধর্ম গবেষকদের মধ্যে অন্যতম বিরেন্দ্র লাল মুৎসদ্দি অভিধর্ম পিটক সম্বন্ধে বলেছেন:
“ | সূত্রের ভাষা আছে, উচ্ছ্বাস আছে, উদান আছে, গাথা আছে, উদ্দীপনা আছে, অপায় আছে, অপায় ভয় আছে, দেব-ব্রহ্মা আছে, দেব-ব্রহ্মলোকের আকর্ষণ আছে, নির্বাণের সুসমাচার আছে।[২] | ” |
বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]
গ্রন্থসমূহ[সম্পাদনা]
১) ধর্মসঙ্গনী ২) ধাতুকথা ৩) যমক ৪) পুদগল প্রজ্ঞপ্তি ৫) পট্ঠান ৬)কথাবত্থু ৭) বিভঙ্গ