অবেয় কুরুবিল্লা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অবেয় কুরুবিল্লা
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামঅবেয় কুরুবিল্লা
জন্ম (1968-08-04) ৪ আগস্ট ১৯৬৮ (বয়স ৫৫)
মুন্নার, আলেপ্পি, কেরালা, ভারত
উচ্চতা৬ ফুট ৫ ইঞ্চি (১.৯৬ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২১১)
৬ মার্চ ১৯৯৭ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট৩ ডিসেম্বর ১৯৯৭ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১০৩)
২৬ এপ্রিল ১৯৯৭ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ ওডিআই১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৭ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ২৫
রানের সংখ্যা ৬৬ ২৬
ব্যাটিং গড় ৬.৬০ ৩.৭১
১০০/৫০ –/– ০/০
সর্বোচ্চ রান ৩৫*
বল করেছে ১৭৬৫ ১১৩১
উইকেট ২৫ ২৫
বোলিং গড় ৩৫.৬৮ ৩৫.৬০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৫/৬৮ ৪/৪৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ৪/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ অক্টোবর ২০২০

অবেয় কুরুবিল্লা (উচ্চারণ; মালয়ালম: എബി കുരുവിള; জন্ম: ৪ আগস্ট, ১৯৬৮) কেরালার মান্নার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মুম্বই ও ইংরেজ ক্রিকেটে চেশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

মুম্বইয়ের শহরতলী চেম্বারের ছায়াঘেরা এলাকায় শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। ১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত অবেয় কুরুবিল্লা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দূর্ভাগ্যবশতঃ বেশ কয়েক মৌসুম পর বেশ দেরীতে জাতীয় দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হয়েছিলেন। ৬ ফু ৫ ইঞ্চি (১.৯৬ মি) উচ্চতার অধিকারী বেশ লম্বাটে গড়নের বিশাল শারীরিক গঠনের কারণে পরিচিতি লাভ করেন।[১] সম্ভবতঃ ভারতের দীর্ঘকায় খেলোয়াড় ছিলেন। শারীরিকভাবে বেশ সবল থাকলেও বোলার হিসেবে পূর্ণাঙ্গভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। বলকে সুইং করাতে পারতেন ও খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে বলে বৈচিত্র্যতা আনয়ণসহ বেশ ভালোমানের ধীরগতিসম্পন্ন বোলিংয়ে দক্ষতা দেখিয়েছেন। বিসিএ-মফতলাল বোলিং স্কিমের আওতায় ফ্রাঙ্ক টাইসনের সুনজরে ছিলেন।

১৯৯১-৯২ মৌসুমে বোম্বে দলের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ মৌসুম খেলে ৩৫ উইকেট পান। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিনি নজরে থাকলেও উপেক্ষিত হন। পরবর্তী বছরগুলোয় উপযুক্ত নতুন বোলারের অভাব উপলব্ধি করে দল নির্বাচকমণ্ডলী। অবশেষে, ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ‘মুম্বাইকর’ নামে খ্যাত অবেয় কুরুবিল্লাকে সুযোগ দেয়া হয়। ভারতীয় পেস বোলিং আক্রমণে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দশটিমাত্র টেস্ট ও পঁচিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন অবেয় কুরুবিল্লা। ৬ মে, ১৯৯৭ তারিখে কিংস্টনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে মুম্বইয়ে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। ডিসেম্বর, ১৯৯৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেন।

১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে তাকে ভারতীয় দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জাভাগাল শ্রীনাথের আঘাতের কারণে তাকেই পেস আক্রমণ পরিচালনা করতে হয়েছিল। এ সফরে মানানসই বোলিংশৈলী প্রদর্শন করলও পরবর্তীতে তেমন সফলতা না পাওয়ায় দল থেকে বাদ দেয়া হয়।

ব্রিজটাউনের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫/৬৮ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ভারতকে জয়ের অবস্থানে নিয়ে আসলেও ব্যাটসম্যানদের কারণে তা আর সম্ভবপর হয়ে উঠেনি। নিজ দেশে ও প্রতিপক্ষের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরও পাঁচ টেস্টে অংশ নেন। কিন্তু, নিষ্প্রাণ পিচেও ভালোমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে সচেষ্ট ছিলেন। বিস্ময়করভাবে তাকে আর জাতীয় দলে নেয়া হয়নি।

অবসর[সম্পাদনা]

২০০০ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট খেলা থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। এরপর, কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। এপ্রিল, ২০০০ সালে রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে সর্বশেষ খেলেন। কোয়ার্টার-ফাইনাল চলাকালীন ৩১ বছর বয়সী অবেয় কুরুবিল্লা তার অবসর গ্রহণের কথা জানান। তিনি মন্তব্য করেন যে, এ মৌসুমের শুরুতেই খেলা থেকে অবসর গ্রহণের কথা চিন্তা করি ও এটিই তার শেষ মৌসুম। তরুণ খেলোয়াড়দের আগমণ ঘটেছে ও তাদের জন্যে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। এছাড়া, এ অবসর গ্রহণের অন্য কোন কারণ নেই।[২]

২০১১-১২ মৌসুমে নিখিল ভারত তরুণ দল নির্বাচক কমিটিতে নেতৃত্ব দেন। ২০১২ সালে মুম্বইয়ের প্রধান দল নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২ তারিখে বিসিসিআই কর্তৃক অবেয় কুরুবিল্লাকে জাতীয় দল নির্বাচক হিসেবে মনোনীত করা হয়।[৩] এছাড়াও, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিভাধর খেলোয়াড় মনোনয়নের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

টেস্টে ৫-উইকেট প্রাপ্তি
# পরিসংখ্যান খেলা প্রতিপক্ষ মাঠ শহর দেশ সাল
৫/৬৮  ওয়েস্ট ইন্ডিজ কেনসিংটন ওভাল ব্রিজটাউন বার্বাডোস ১৯৯৭
ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ
ক্রমিক প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ অবদান ফলাফল
ওয়েস্ট ইন্ডিজ কুইন্স পার্ক ওভাল, পোর্ট অব স্পেন ২৭ এপ্রিল, ১৯৯৭ ১০-২-২৩-৩; ডিএনবি  ভারত ১০ উইকেটে বিজয়ী।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "When Abey Kuruvilla reached for the sky"The Cricket Monthly। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  2. "Bombay bowler Kuruvilla retires"। Rediff.com। United News of India। ২২ এপ্রিল ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  3. "Patil is Chief Selector, Amarnath exits"। Wisden India। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১২। ৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. "1997–1998 West Indies v India – 2nd Match – Port-Of-Spain, Trinidad" 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]