অপূর্ব সেনগুপ্ত
ক্রিকেট তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগব্রেক গুগলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ নভেম্বর ২০১৭ |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল অপূর্ব কুমার সেনগুপ্ত (ⓘ; জন্ম: ৩ আগস্ট, ১৯৩৮ - মৃত্যু: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩) উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের পক্ষে ১৯৫৯ সালে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন অপূর্ব সেনগুপ্ত। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন তিনি।
প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]
সেনগুপ্ত বেশ ভালোমানের অল-রাউন্ডার, ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান, লেগ ব্রেক ও গুগলি বোলার এবং স্লিপ ফিল্ডার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন।[১] ঐ মৌসুমের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। সার্ভিসেস দলের সদস্যরূপে তিনি ৩২ ও অপরাজিত ১০০ রান তুলেছিলেন। দুই মাস পর রঞ্জি ট্রফিতে প্রথমবারের মতো খেলে দিল্লির বিপক্ষে ৬/৩২ লাভ করেন। এ দুটি ফলাফলই টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের জন্য দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক আহুত হন তিনি। এরপর তিনি পরবর্তী দশ বছর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখেন।
১৯৫৯-৬০ মৌসুমের রঞ্জি ট্রফি প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনালে বোম্বের বিপক্ষে আরেকটি শতক হাঁকিয়েছিলেন। অপরাজিত ১৪৬ রানের মনোজ্ঞ শতরান করেন অপূর্ব সেনগুপ্ত।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]
এ. কে. সেনগুপ্তের টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ ভারতীয় ক্রিকেটের মাঝামাঝি সময়ে বড় ধরনের বিতর্কের সৃষ্টি করে। ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাদ্রাজ টেস্ট শুরুর কয়েকদিন পূর্বে গুলাম আহমেদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তার অবসরের কথা ঘোষণা করেন। আঘাতের কারণে বিজয় মাঞ্জরেকার ঐ টেস্ট থেকে বাদ পড়েন। এ পরিস্থিতিতে জসু প্যাটেল, এ. জি. কৃপাল সিং, মনোহর হারিদকর ও সেনগুপ্ত - প্রত্যেকেই খেলার দাবীদার হন। অধিনায়ক পলি উমরিগড় হারিদকরকে পেতে চাইলেন। তবে, বিসিসিআই সভাপতি প্যাটেলকে অন্তর্ভুক্ত করলে খেলা শুরুর পূর্ব-রাত্রে উমরিগড় পদত্যাগ করেন। শেষ পর্যন্ত সেনগুপ্ত ও কৃপাল সিং খেলার জন্য বিবেচিত হন। সেনগুপ্ত ১ ও ৮ রান তুলে যথাক্রমে ওয়েস হল ও রয় গিলক্রিস্টের বলে আউট হন।[২]
সামরিক জীবন[সম্পাদনা]
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করেন। এ সময় তিনি পিভিএসএম ও এভিএসএম পদবীতে ভূষিত হন। তিন তারকা বিশিষ্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্তরে উপনীত হন তিনি। ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় প্রতিরক্ষাবিষয়ক সহ-দূতরূপে কাজ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]
ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর স্বীয় স্ত্রী মীনা সেনগুপ্তাকে নিয়ে নতুন দিল্লিতে অবস্থান করেন। অমিতাভ ও সুরজিৎ সেনগুপ্ত নামীয় দুই সন্তান রয়েছে তাদের। ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে নতুন দিল্লিতে তার দেহাবসান ঘটে।[৩]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Christopher Martin-Jenkins, Who's who of Test cricketers
- ↑ Mihir Bose, A History of Indian Cricket, Andre-Deutsch (1990), pp. 213-214
- ↑ Obituary in the Times of India (accessed 3 August 2014)
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- রয় গিলক্রিস্ট
- বিজয় মাঞ্জরেকার
- এ. জি. মিল্খা সিং
- এক টেস্টের বিস্ময়কারী
- ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অপূর্ব সেনগুপ্ত (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে অপূর্ব সেনগুপ্ত (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- "Apoorva Sengupta: A baffling Test career"