অপতথ্যের বিস্তার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

অপতথ্যের বিস্তার বলতে কোনও সত্যকে গোপন করার জন্য কিংবা জনমানুষকে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করে জনমতের উপর প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রায়শই কূটকৌশলে ও গোপনে গুজবের আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাটিকে বোঝায়।[১][২][৩][৪] একে ইংরেজি ভাষায় "ডিজ-ইনফর্মেশন" (ইংরেজি: disinformation) বলে। অপতথ্যের বিস্তারের সাথে ভুল তথ্যের বিস্তারের (ইংরেজি মিস-ইনফর্মেশন Misinformation) পার্থক্য আছে। ভুল তথ্যের বিস্তার ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত দুই ভাবেই ঘটতে পারে।[৫] যখন কোনও জ্ঞাত ভুল তথ্য বা মিথ্যা তথ্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ও ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তখন সেটি অপতথ্যের বিস্তারে রূপ নেয়, অর্থাৎ অপতথ্যের বিস্তার হল ভুল তথ্যের বিস্তারের একটি উপশাখা।[৬] [৭] একটি অপেক্ষাকৃত বিস্তারিত একটি সংজ্ঞা অনুযায়ী অপতথ্যের বিস্তার হল এক ধরনের "শত্রুতামূলক প্রচারাভিযান যেখানে একাধিক কূটতার্কিক কৌশল ও জ্ঞান আহরণের রূপকে অস্ত্রে রূপান্তরিত করা হয় (যার মধ্যে কেবল মিথ্যাই নয়, বরং সত্য, অর্ধসত্য ও মূল্যবোধ-বিজড়িত রায় অন্তর্ভুক্ত) যার উদ্দেশ্য পরিচয়ভিত্তিক বিতর্কগুলিকে বিবর্ধিত করা ও এভাবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করা।"[৮] অপতথ্যের বিস্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা বা প্রোপাগান্ডার একটি অপেক্ষাকৃত নিকৃষ্ট রূপ হিসেবেও গণ্য করা যায়। যেখানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার লক্ষ্য হল বিশেষ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী যেমন কোনও অগণতান্ত্রিক সরকার বা কর্পোরেশনের স্বার্থে গণযোগাযোগ প্রক্রিয়া ব্যবহার করে সার্বজনিক বলয়ে আলোচ্য বিষয়গুলিকে ছেঁকে নিয়ে সেগুলিকে নির্দিষ্ট কাঠামো ও ছকে বেঁধে রাখা, সেখানে অপতথ্যের বিস্তার হল ইচ্ছাকৃতভাবে সার্বজনিক বলয়ে মিথ্যা তথ্য প্রবিষ্ট করা।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Merriam-Webster.com Dictionary https://www.merriam-webster.com/dictionary/disinformation। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২৩  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  2. Ion Mihai Pacepa and Ronald J. Rychlak (২০১৩), Disinformation: Former Spy Chief Reveals Secret Strategies for Undermining Freedom, Attacking Religion, and Promoting Terrorism, WND Books, পৃষ্ঠা 4–6, 34–39, 75, আইএসবিএন 978-1-936488-60-5 
  3. Bittman, Ladislav (১৯৮৫), The KGB and Soviet Disinformation: An Insider's View, Pergamon-Brassey's, পৃষ্ঠা 49–50, আইএসবিএন 978-0-08-031572-0 
  4. Shultz, Richard H.; Godson, Roy (১৯৮৪), Dezinformatsia: Active Measures in Soviet Strategy, Pergamon-Brassey's, পৃষ্ঠা 37–38, আইএসবিএন 978-0-08-031573-7 
  5. Ireton, C & Posetti, J (2018) "Journalism, fake news & disinformation: handbook for journalism education and training" UNESCO
  6. Garth Jowett; Victoria O'Donnell (২০০৫), "What Is Propaganda, and How Does It Differ From Persuasion?", Propaganda and Persuasion, Sage Publications, পৃষ্ঠা 21–23, আইএসবিএন 978-1-4129-0898-6, In fact, the word disinformation is a cognate for the Russian dezinformatsia, taken from the name of a division of the KGB devoted to black propaganda. 
  7. Golbeck, Jennifer, সম্পাদক (২০০৮), Computing with Social Trust, Human-Computer Series, Springer, পৃষ্ঠা 19–20, আইএসবিএন 978-1-84800-355-2 
  8. Diaz Ruiz, Carlos; Nilsson, Tomas (১৬ মে ২০২২)। "Disinformation and Echo Chambers: How Disinformation Circulates in Social Media Through Identity-Driven Controversies"Journal of Public Policy & Marketing42: 18–35। এসটুসিআইডি 248934562 Check |s2cid= value (সাহায্য)ডিওআই:10.1177/07439156221103852 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:অপতথ্যের বিস্তার

টেমপ্লেট:যোগাযোগ মাধ্যম সংস্কৃতি টেমপ্লেট:যোগাযোগ মাধ্যমে কারসাজি টেমপ্লেট:সামরিক ছলচাতুরি