অনেক দিয়েছ নাথ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

অনেক দিয়েছ নাথ হল একটি রবীন্দ্রসংগীত। এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতি-সংকলন গীতবিতান গ্রন্থের "পূজা" পর্যায়ের অন্তর্গত "বিবিধ" উপপর্যায়ভুক্ত ৪০৭ সংখ্যক গান।[১] আশাবরী-ভৈরবী রাগ ও ত্রিতালে নিবদ্ধ এই গানটি রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছিলেন ১৮৮৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। গানটি রবীন্দ্রনাথের গানের বহি গীতি-সংকলনেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল (৩৩৫ সংখ্যক গান)। রবীন্দ্রনাথ গানটির ইংরেজি অনুবাদও করেছিলেন।[২] গানটির ছত্রসংখ্যা ৯ এবং কলিসংখ্যা ১|২।[২]

১২৯৩ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ সাতান্নতম সাংবাৎসরিক মাঘোৎসব উপলক্ষ্যে এই গানটি রচিত এবং ব্রাহ্মসমাজের প্রাতঃকালীন উপাসনায় গীত হয়েছিল।[২] তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-র ফাল্গুন ১২৯৩ সংখ্যায় (পৃ. ২১৩) গানটি প্রথম মুদ্রিত হয়।[২] বাল্মীকিপ্রতিভাগানের বহি-তে এই গানের সুরকার হিসেবে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লিখিত হয়েছে।[২] জ্যোতিরিন্দ্রনাথের প্রদত্ত সুরে এটির তাল কাওয়ালি বলে উল্লিখিত।[৩] শতগান-এ (বৈশাখ, ১৩০৭ ব.) সরলা দেবী কৃত স্বরলিপিটি মুদ্রিত হয়।[৪] সংগীত-প্রকাশিকা পত্রিকার আশ্বিন ১৩১১ সংখ্যায় (পৃ. ১২-১৪) কাঙ্গালীচরণ সেন কৃত স্বরলিপি সহ পুনরায় এটি মুদ্রিত হয়।[২] পরবর্তীকালে কাব্যগ্রন্থাবলী-র (১৩০৩) ‘ব্রহ্মসংগীত’ অংশে এবং কাব্যগ্রন্থ-এর (১৩২৩) ১০ম খণ্ডের ‘ধর্মসংগীত’ অংশে এটি মুদ্রিত হয়।[৪]

গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে কানাইদাস শীল গানটি প্রথম রেকর্ড করেছিলেন (রেকর্ড লেবেল ৮-১২১৪৫/৮-১২১৪৪, বিডি ১২৪০, জোনো ১২১৪৫)। গ্রামাফোন কোম্পানি থেকে রবীন্দ্রনাথও গানটি রেকর্ড করেছিলেন (রেকর্ড লেবেল বিডি ১২৪০)।[৩] পরবর্তীকালে গানটি রেকর্ড করেন দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় (রেকর্ড লেবেল এইচটিসিএস ০২বি ২৭১৪ স্টিরিও), গীতা সেন, রমা মণ্ডল, ভাস্বতী ঘোষ ও জ্যোৎস্না বন্দ্যোপাধ্যায়।[২]

এছাড়াও গানটির স্বরলিপি প্রকাশিত হয়েছিল ব্রহ্মসংগীত স্বরলিপি-তে (১ মাঘ, ১৩১১ ব.)। পরবর্তীকালে স্বরবিতান গ্রন্থের চতুর্থ খণ্ডে এই গানের স্বরলিপি মুদ্রিত হয়।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গীতবিতান (অখণ্ড সংস্করণ), বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ, কলকাতা, ১৪১২ মুদ্রণ, পৃ. ১৬৭
  2. রবীন্দ্ররচনাভিধান, ১৭শ খণ্ড, অনুত্তম ভট্টাচার্য, দীপ প্রকাশন, কলকাতা, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ, পৃ. ১৭৭
  3. সুরেন মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, সাহিত্য প্রকাশ, কলকাতা, ১৪১৬ সংস্করণ, পৃ. ৩
  4. পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকার, গীতবিতান তথ্যভাণ্ডার, সিগনেট প্রেস, কলকাতা, ২০১৯ সংস্করণ, পৃ. ৬-৭