অনুসূয়া সারাভাই

অনসূয়া সারাভাই (১১ নভেম্বর ১৮৮৫ - ১ নভেম্বর ১৯৭২) ছিলেন ভারতের নারী শ্রমিক আন্দোলনের পথ প্রদর্শক। তিনি ১৯১৮ সালে ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন টেক্সটাইল শ্রমিক ইউনিয়ন ‘আহমেদাবাদে টেক্সটাইল লেবার অ্যাসোসিয়েশন’ (মজুর মহাজন সঙ) প্রতিষ্ঠা করেন।^[১]

প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা

অনসূয়া সারাভাই ১৮৮৫ সালের ১১ নভেম্বর আহমেদাবাদের সারাভাই পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবের তার পিতামাতা মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ও তার ভাই আমবলাল সারাভাই চাচার কাছে বড়ো হন। ১৩ বছর বয়সে তাকে একবার বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয় কিন্তু তার ভাইয়ের সাহায্যে তিনি ইংল্যান্ডে ১৯১২ সালে মেডিকেলে পড়তে যান। যেহেতু মেডিকেলে পড়তে হলে প্রাণির ব্যবচ্ছেদ করতে হয় এবং এটি তার জৈন ধর্মের বিরুদ্ধে যায়, তাই তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সে ভর্তি হন।^[২] ইংল্যান্ডে তিনি ফ্যাবিয়ান সোসাইটির সাথে সম্পৃক্ত হন এবং সেখানে নারীদের ভোটাধিকার আন্দোলনের সাথে জড়িত হন।^[৩]

রাজনৈতিক জীবন

অনসূয়া সারাভাই ১৯১৩ সালে ভারতে ফিরে আসেন এবং নারী ও দরিদ্রদের নিয়ে কাজ শুরু করেন।^[৪] এখানে তিনি একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন তাছাড়া ভারতে নারী শ্রমিকদের দূর্বিষহ কর্মজীবন তাকে নারী অধিকার আন্দোলনে অনুপ্রাণিত করে। ১৯১৪ সালে তিনি টেক্সটাইল কর্মীদের অবরোধ সংগঠনে সাহায্য করেন। ১৯১৮ সালে তিনি মাসব্যাপী অবরোধের নেতৃত্ব দেন যেখানে বেতনে ৫০% বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হয়। তাদের পারিবারিক বন্ধু মহাত্মা গান্ধী সারাভাইয়ের মেন্টর ছিলেন এবং তিনি শ্রমিকদের পক্ষে অনাহার কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যার ফলশ্রুতিতে শ্রমিকরা ৩৫% ওয়েভার পাওয়া শুরু করে। ১৯২০ সালে তিনি ‘আহমেদাবাদে টেক্সটাইল লেবার অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠা করেন।^[৫]

মৃত্যু

অনসূয়াকে গুজরাটি ভাষায় মোটাবেন নামে অবহিত করা হয় যার অর্থ বড়ো বোন। তিনি ১৯৭২ সালে মৃুত্যবরণ করেন। ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর গুগল ভারতের ব্যবহারকারীদের জন্য তার ১৩২তম জন্মদিনে তাদের নতুন ডুডল প্রকাশ করে।^[৬]

তথ্যসূত্র

↑ "Role and Activities"। Ahmedabad Textile Mills' Association। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৪।
↑ "Sarabhai family"। Oxford Dictionary of National Biography। Oxford University Press। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৪।^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}
↑ Goswamy (৪ আগস্ট ২০১৩)। "A recent exhibition on Anasuya Sarabhai, popularly known as Motaben, paid a tribute to the courageous woman, who worked selflessly for the uplift of the less fortunate"। The Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৪।
↑ "What Made Anasuya Sarabhai, a Woman Born to Privilege, Become India's First Woman Trade Union Leader?"। thebetterindia.com। ১১ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৭।
↑ Jha, Pravin Kumar (২০১২)। Indian Politics in Comparative Perspective। Pearson Education India। পৃ. ৩৯। আইএসবিএন ৯৭৮৮১৩১৭৯৮৮৭৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৭।
↑ "Google celebrates 132nd birth anniversary of Anasuya Sarabhai"। The Hindu। ১১ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৭।

[ATMA_Website-1] "Role and Activities"। Ahmedabad Textile Mills' Association। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৪।

[Oxford_DNB-2] "Sarabhai family"। Oxford Dictionary of National Biography। Oxford University Press। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৪।^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}

[Tribune-3] Goswamy (৪ আগস্ট ২০১৩)। "A recent exhibition on Anasuya Sarabhai, popularly known as Motaben, paid a tribute to the courageous woman, who worked selflessly for the uplift of the less fortunate"। The Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৪।

[tbi1-4] "What Made Anasuya Sarabhai, a Woman Born to Privilege, Become India's First Woman Trade Union Leader?"। thebetterindia.com। ১১ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৭।

[5] Jha, Pravin Kumar (২০১২)। Indian Politics in Comparative Perspective। Pearson Education India। পৃ. ৩৯। আইএসবিএন ৯৭৮৮১৩১৭৯৮৮৭৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৭।

[6] "Google celebrates 132nd birth anniversary of Anasuya Sarabhai"। The Hindu। ১১ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৭।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]