অনুপ চেতিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অণুপ চেতিয়া
Anup Chetia
জন্ম
গোলাপ বড়ুয়া

১৯৫৭
জেরাইগাঁও, তিনসুকিয়া, অসম
অন্যান্য নামসুনীল বড়ুয়া, ভাইজান বা আহমেদ
অপরাধীর অবস্থাজামিনে মুক্ত
দণ্ডাদেশের কারণঅবৈধভাবে জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশে অণুপ্রবেশ


১৬টি বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রার কারবার

অস্ত্র জবরদখল
অপরাধের অভিযোগহত্যা
অপহরণ
চাঁদাবাজি
সন্ত্রাসবাদ
দণ্ড৭ বছরের কারাদণ্ড
উদ্দিষ্ট তারিখ১৯৯৭
কারারুদ্ধকাশিমপুর কারাগার, ঢাকা

অণুপ চেতিয়া বা অণুপ চেটিয়া (ইংরেজি: Anup Chetia) (আসল নাম গোলাপ বড়ুয়া[১][২] সুনীল বড়ুয়া, ভাইজান বা আহমেদ নামেও পরিচিত[৩]) আসামের নিষিদ্ধ সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের সাধারণ সম্পাদক। তিনি দলটির প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের একজন।[১][৪] তিনি আসামের তিনসুকিয়া জেলার জেরাইগাঁওতে জন্মগ্রহণ করেন।[৩]

গ্রেপ্তার[সম্পাদনা]

চেটিয়াকে প্রথম আসামে মার্চ, ১৯৯১ সালে গ্রেফতার করা হয় কিন্তু তারপর মুখ্যমন্ত্রী হিতেশ্বর শইকিয়া তাকে মুক্তি দেন।[৩] পরে ২১ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ সালে তিনি আবার বিদেশীদের আইন ও পাসপোর্ট আইনে[২] ঢাকায় গ্রেফতার হন।[২][৩] কারণ তিনি তখন অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা ও একটি স্যাটেলাইট ফোন বহন করছিলেন। তাকে বাংলাদেশী আদালত সাত বছর কারাদণ্ড প্রদান করেন[১] এবং ঢাকার উপকণ্ঠে কাশিমপুর কারাগারে তাকে আটক রাখা হয়।[১][৪]

অভিযোগসমূহ[সম্পাদনা]

চেতিয়াকে যেসব অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় :

  • অবৈধভাবে জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশে প্রবেশের
  • ১৬টি বিভিন্ন দেশের অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা রাখার
  • অবৈধ অস্ত্র অবৈধ রাখা।

এছাড়াও তিনি একজন হত্যা, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসম পুলিশের দ্বারা ফেরার ছিলেন।[১]

বহি: সমর্পন[সম্পাদনা]

১৯৯৭ সালে তার গ্রেফতারের পর থেকে ভারত সরকার অণুপ চেটিয়াকে হস্তান্তর করতে বাংলাদেশকে বলে আসছিল।[১][২] অণুরোধটি বাংলাদেশ রাষ্ট্র কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল এই ভিত্তিতে যে দুই দেশের একটি বন্দী বিনিময় চুক্তি ছিলো না।[১]

ঢাকায় ১৫তম ভারত-বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র সচিব মোজাম্মেল হক খান নিশ্চিত করেছেন যে, বাংলাদেশ ভারত থেকে অণুপ চেটিয়াকে হস্তান্তরে রাজি হয়েছে, বিনিময়ে নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ফেরত পাঠাবে ভারত।[৫]

রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন[সম্পাদনা]

৭ ডিসেম্বর , ২০০৮ তারিখে, চেটিয়া জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এর নিকট সনির্বন্ধ অণুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী মর্যাদা এবং রাজনৈতিক আশ্রয় মঞ্জুর করার আহ্বান জানান।[২] এন্টোনিও গুটেরেস, জেনেভা ভিত্তিক ইউএনএইচসিআর প্রধান, এর কাছে এক লিখিত চিঠিতে চেটিয়া উল্লেখ করেন যে তিনি ইতোমধ্যে কারাদন্ড সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করেছেন এবং অত: পর আর কোনো আসামিকে কারাগারে রাখা যায় না। উলফাও একটি নিরাপদ দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করে।

বর্তমান অবস্থা[সম্পাদনা]

যদিও চেটিয়া উলফার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, এ অঞ্চলের রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তার বর্তমান প্রভাব সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করেন।[১] ১১ নভেম্বর ২০১৫, অণুপ চেতিয়াকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ভারতে হস্তান্তর করা হয়।[৬]

অণুপ চেটিয়াকে ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে জামিনে গুয়াহাটি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Moazzem, Hossain (২০০২-০৯-২৪)। "Bangladesh jails Indian rebel chief"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-১২ 
  2. "India seeks Anup Chetia's deportation from B'desh"। Zeenews.com। ২০০৯-০৮-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-১২ 
  3. "Who's afraid of the ULFA?"। Indianexpress.com। ২০০৭-০১-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-১২ 
  4. "United Liberation Front of Asom (ULFA) – Terrorist Group of Assam"। Satp। ২০০৯-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-১২ 
  5. "Anup Chetia to be extradited"The Hindu। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪। Bangladesh to extradite ULFA leader to India. 
  6. "Bangladesh hands over top ULFA leader Anup Chetia to India"IBNLive। ১১ নভেম্বর ২০১৫। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]