অট্ঠকথাচার্য ধর্মপাল
অট্ঠকথাচার্য ধর্মপাল | |
---|---|
স্থানীয় নাম | ধর্মপাল |
জন্ম | দক্ষিণ ভারত(বিতর্কবিহীন) |
মৃত্যু | দক্ষিণ ভারত(সম্ভবত) |
সমাধিস্থল | দক্ষিণ ভারত(সম্ভবত) |
পেশা | অট্ঠকথাচার্য, টীকাকার ও লেখক |
সময়কাল | খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতকের প্রথম ভাগ হতে সপ্তম শতকের প্রথম ভাগ |
বিষয় | বৌদ্ধ ধর্ম |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | থের-থেরীগাথাট্ঠকথা,ইতিবুত্তকট্ঠকথা,উদানট্ঠকথা, চরিয়াপিটকট্ঠকথা, বিমানবত্থুট্ঠকথা, পেতবত্থুট্ঠকথা ও আরো অন্যান্য। |
বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাসে ধর্মপাল নামে অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তি রয়েছে। তেমনি আচার্য ধর্মপাল হলো একজন অট্ঠকথাচার্য, টীকাকার, লেখক ও অনুবাদক। শ্রীলঙ্কার অনাগারিক ধর্মপাল নামেও এক খ্যাতনামা বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিল যিনি বৌদ্ধ ধর্মের শাসনকে টিকিয়ে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে গেছেন। এই টীকাকার ভিক্ষুর সময়কাল ছিল খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতক হতে সপ্তম শতকের। তাকে গন্ধবংস [১] গ্রন্থে ভারতের আচার্য হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ধর্মপালের রচনাবলীতে বুদ্ধঘোষ এর রচনাবলীর রেফারেন্স পাওয়া যায়। তাই ধর্মপাল বুদ্ধঘোষ এর পরবর্তী ছিলেন। চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন- সাং - এর ভ্রমণবৃত্তান্তে ধর্মপাল কাঞ্চিপুরায় জন্মগ্রহণ করেছেন বলে উল্লেখ আছে।[২] সাং- খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকের প্রথম ভাগে (৬৪০ খ্রিষ্টাব্দ) ভারত ভ্রমণে আসেন। ধর্মপালের রচনা সাহিত্যে সমর্থন করে যে তিনি দক্ষিণ ভারতে, বদরিত্থ বা পদরিত্থ স্থান জন্মগ্রহণ করেন। দক্ষিণ ভারতেই যে তার জন্মস্থান তা নিয়ে গবেষকদের নিকট কোনো বিতর্ক নেই।
বাল্যকাল ও বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা[সম্পাদনা]
অট্ঠকথাচার্য ধর্মপালের বাল্যকাল ও দীক্ষা সম্পর্কে শুধু চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন- সাং এর ভ্রমণবৃত্তান্তে পাওয়া যায়। নিম্নে দেওয়া হলো- "কাঞ্চিপুরা ভ্রমণকালে জনৈক ভিক্ষু জানান যে ধর্মপাল কাঞ্চিপুরায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বালক বয়সেই তিনি সুন্দর এবং সৎ স্বভাবের অধিকারী ছিলেন, যা তাঁর সমৃদ্ধ ও উন্নত জীবন গঠনে সহায়ক ভূমিকা রেখেছিল। বয়ঃপ্রাপ্ত হলে সে রাজ্যের রাজকন্যার সঙ্গে তাঁর বিবাহের কথা পাকা হয়। বিবাহের পূর্বরাত্রে তাঁর মনে দুঃখময় ভাবাবেগ উদয় হয় এবং তিনি বুদ্ধমূর্তির সম্মুখে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করলে তাঁর প্রার্থনা মঞ্জুর হয় এবং এক দেবতা তাঁকে উক্ত রাজ্য হতে কয়েকশত লি দূরে অবস্থিত পর্বতের এক বিহারে নিয়ে যান। সে বিহারের ভিক্ষুগণ তাঁর অভিব্যক্তির কথা জ্ঞাত হয়ে বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা দেন।"[৩] তিনি দক্ষিণ ভারতে দীক্ষা নিয়েছিলেন।
সাহিত্যকর্ম[সম্পাদনা]
গন্ধবংস, সাসনবংস বৌদ্ধ পালি গ্রন্থে ধর্মপালের রচনার গ্রন্থের নাম পাওয়া যায়। ইতিবুত্তকট্ঠকথা, উদনট্ঠকথা, চরিয়াপিটকট্ঠকথা, থেরগাথাট্ঠকথা, থেরীগাথাট্ঠকথা প্রমুখ গ্রন্থ তিনি সিংহলী ভাষায় রক্ষিত গ্রন্থগুলো মূল মাগধী ভাষায় রুপান্তর করেন।[৪]