বিষয়বস্তুতে চলুন

অঞ্জলি পাওয়ার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অঞ্জলি পাওয়ার
জাতীয়তাভারতীয়
অন্যান্য নামঅঞ্জলি পাওয়ার-কেট
পেশাসখির পরিচালক, শিশু পাচার বিরোধী পরামর্শদাতা

অঞ্জলি পাওয়ার, যিনি অঞ্জলি পাওয়ার-কেট নামেও পরিচিত, তিনি শিশু অধিকার বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা সখির পরিচালক। মহারাষ্ট্রের পুনেতে শিশু পাচার বিরোধী সংস্থা, যারা শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে কাজ করে, তিনি তাদের একজন পরামর্শদাতা।[] তাঁর কর্মজীবনে, তিনি শিশু অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলির পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং দত্তক নেওয়া শিশুদের তাদের জৈবিক পরিবারের সাথে পুনর্মিলনের জন্য কাজ করেছেন।

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

২০১০ সালে, অঞ্জলি অরুণ দোহলেকে তাঁর আসল মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন।[] জার্মান বাবা-মা অরুণকে পুত্র হিসেবে দত্তক নিয়েছিলেন, কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে ভারতে ফিরে এসে অরুণ আদালতে দত্তক নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তাঁর অভিযোগ ছিল যে তাঁকে তাঁর মায়ের সম্মতি ছাড়াই দত্তক দেওয়া হয়েছিল।[]

২০১২ সালে, "চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইল, হুমকি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষের মাধ্যমে শিশুদের ক্রয়ের বিশদ তদন্ত" করার পক্ষে অঞ্জলি সওয়াল করেন। এরপর সখি সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করে যাতে আইনি সুরক্ষা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত আন্তঃদেশীয় দত্তক গ্রহণ স্থগিত করা হয় এবং অনাথ আশ্রমের পরিস্থিতি তদন্ত করা হয়।[][] অঞ্জলি বলেন যে ভারতে আন্তঃদেশীয় দত্তক গ্রহণের অর্ধেকেরও বেশি মহারাষ্ট্রে ঘটে এবং দত্তক গ্রহণকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার উল্লেখ করে অভিযোগ করেন যে সংস্থাগুলি দত্তক প্রদানের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করে।[]

২০১৫ সালে, একজন ব্রিটিশ নাগরিক কর্তৃক শিশুদের অপহরণ করার অভিযোগে, অঞ্জলি মহারাষ্ট্র শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের (এমপিসিআরসি) কাছে তাদের বাবা-মায়ের সাথে পুনর্মিলনের জন্য একটি আবেদন করেন।[]

২০১৬ সালে, সখির পরিচালক এবং শিশু পাচার বিরোধী পরামর্শদাতা হিসেবে, আন্তঃদেশীয় দত্তক গ্রহণের ফলে শিশুদের ওপর, বিশেষ করে প্রতিবন্ধী শিশুদের ওপর প্রভাব সম্পর্কে তাঁর উদ্বেগের জন্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া অঞ্জলির বক্তব্য উদ্ধৃত করেছিল।[] ২০১৬ সালের মধ্যে, এগেইনস্ট চাইল্ড ট্রাফিকিং সংস্থা অনুমান করেছে যে তাদের কাজের মাধ্যমে প্রায় ৪০ জন দত্তক প্রদত্ত শিশু তাদের জৈবিক পরিবারের সাথে পুনরায় একত্রিত হয়েছে।[]

২০১৭ সালে, শিশু পাচার বিরোধী দলের প্রতিনিধি হিসেবে, অঞ্জলি, মুম্বাই পুলিশ এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে, জেসিকা (তাঁর ভারতীয় নাম, কমলিনী নামেও পরিচিত) লিণ্ডেরকে তাঁর জৈবিক পিতামাতার সন্ধানে সহায়তা করেছিলেন।[] জেসিকাকে ছোটবেলায় পরিত্যাগ করা হয়েছিল। ১৯৮২ সালে সুইডিশ বাবা-মা তাঁকে দত্তক নিয়েছিলেন। জৈবিক বাবা-মাকে খুঁজে পাওয়ার আশায় জেসিকা বেশ কয়েকবার ভারতে ফিরে এসেছিলেন।[]

২০১৭ সালে, অঞ্জলি সখি থেকে একটি দলের নেতৃত্ব দেন, একটি ১২ বছর বয়সী মেয়েকে সন্দেহভাজন নির্যাতন এবং জোরপূর্বক কাজ করানোর থেকে উদ্ধার করতে।[১০][১১]

২০১৮ সালে, অঞ্জলি শিশুদের দত্তক নেওয়ার ওপর থেকে আদালতের তদারকি অপসারণের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।[১২]

২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে নির্বাসিত জেনিফার হেইনসকে অঞ্জলি সাহায্য করেছিলেন তার বাবা-মাকে খুঁজে পেতে।[১৩][স্পষ্টকরণ প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Sakhee (Working For Child Rights) -NGO"। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১২
  2. 1 2 Janwalkar, Mayura (১৮ নভেম্বর ২০১০)। "37 years on, boy adopted by Germans meets mother"NDTV। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২১
  3. "Time to suspend inter-country adoptions?"। ১৬ মে ২০১২। ১০ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১২
  4. "Baby business? NGOs ask SC to suspend inter-country adoptions"FirstPost। ৪ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১২
  5. Deshmukh, Chaitraly (২১ মে ২০১২)। "NGOs up in arms against inter-country adoptions"DNA। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২১
  6. Pawar, Yogesh (২৯ এপ্রিল ২০১৫)। "dna impact: Kolhapur trafficking reaches state child rights panel"DNA। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২১
  7. "kids with special needs: Foreigners adopt older kids with disabilities too"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২১
  8. "Meet the duo who have been fighting illegal adoption and child trafficking for years"The News Minute (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২১
  9. 1 2 "Maharahstra: Abandoned as baby, Swedish woman hunts for biological parents"The Indian Express। Press Trust of India। ১৪ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২১
  10. "Minor girl rescued from her employer's clutches"The Times of India। TNN। ৭ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২১
  11. More, Archana (৭ নভেম্বর ২০১৭)। "Minor made to work as domestic help rescued from Nanded City"Pune Mirror। ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২১
  12. Seghal, Rashme (২৫ জানুয়ারি ২০১৮)। "Why Does Maneka Gandhi Want to Shift Child Adoption From Courts To District Collectors?"The Wire। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২১
  13. "Citizen of no land: The story of Kairi Shepherd"Firstpost। ২৫ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২১

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]