শিবাম

স্থানাঙ্ক: ১৫°৫৫′৩৬.৯৮″ উত্তর ৪৮°৩৭′৩৬.০১″ পূর্ব / ১৫.৯২৬৯৩৮৯° উত্তর ৪৮.৬২৬৬৬৯৪° পূর্ব / 15.9269389; 48.6266694
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শিবাম
Shibam
শিবাম ইয়েমেন-এ অবস্থিত
শিবাম
শিবাম
ইয়েমেনে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ১৫°৫৫′৩৬.৯৮″ উত্তর ৪৮°৩৭′৩৬.০১″ পূর্ব / ১৫.৯২৬৯৩৮৯° উত্তর ৪৮.৬২৬৬৬৯৪° পূর্ব / 15.9269389; 48.6266694
দেশ ইয়েমেন
জেলাশিবাম
জনসংখ্যা
 • মোট৭,০০০
সময় অঞ্চলজিএমটি+৩
প্রাতিষ্ঠানিক নামশিবামের পুরাতন দেয়ালের শহর
ধরনসাংস্কৃতিক
মানকiii, iv, vi
অন্তর্ভুক্তির তারিখ১৯৮২
রেফারেন্স নং[১]
 ইয়েমেন
অঞ্চলআরব দেশসমূহ

শিবাম (ইংরেজি: Shibam, আরবি: شبام) (প্রায়শই শিবাম হাদ্রামাউত হিসাবে উল্লেখ করা হয়) ইয়েমেনের একটি ছোট শহর। হাদ্রামাউত গভর্নোরেটরের অন্তর্গত এই শিবাম জেলার এই শহরে প্রায় ৭,০০০ অধিবাসী বাস করে। এই শহর রৌদ্রে শুকানো মাটির ইটের তৈরি গগনচুম্বী অট্টালিকাগুলোর জন্য বিখ্যাত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে জানা যায় খ্রিস্টীয় ৩য় শতকে শহরটির গোড়াপত্তন হয়।[১] এটি হাদ্রামাউত রাজ্যের রাজধানী ছিলো।

ভৌগোলিক অবস্থান[সম্পাদনা]

এই শহরটি হাদ্রামাউত গভর্নোরেটরের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে, রামলাত আল-সাবাতায়ান মরুভূমিতে অবস্থিত। এর প্রধান সড়ক সা'না এবং ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলের শহরগুলোর সাথে পূর্বের দূরবর্তী অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করে। নিকটবর্তী শহরগুলো হলো সেইয়্যুন এবং তারিম, দুটোই পূর্বে অবস্থিত। অন্য একটি রাস্তা পশ্চিমের আলাজলানিয়া গ্রাম থেকে বের হয়ে ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী গভর্নোরেট রাজধানী আল-মুকাল্লা সাথে শিবামকে সংযুক্ত করেছে।

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

সংক্ষিপ্ত বিবরণ[সম্পাদনা]

শিবাম তার স্বতন্ত্র স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যের জন্য ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের খ্যাতি অর্জন করেছে। শিবামের অট্টালিকাগুলো মূলত মাটির ইটের তৈরি আবাসিক ভবন। এখানকার অট্টালিকাগুলোর মধ্যে ৫০০টির অধিক ভবন উচ্চতায় ৫ থেকে ১১ তলা পর্যন্ত উচ্চ [২] বেদুইন দস্যুদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে শিবামবাসীরা এধরনের স্থাপত্যশৈলী বেছে নেয়। ১৭০০ বছর আগে গোড়াপত্তন হলেও বর্তমান শিবাম শহরের অধিকাংশ বাড়ি ১৬শ শতাব্দী বা পরবর্তীতে সময়ে তৈরি করা হয়। গত কয়েক শতাব্দীতে এই ভবনগুলোকে একাধিকবার পুনর্নির্মাণ করা হয়।

শিবামকে "পৃথিবীর প্রাচীনতম গগনচুম্বী অট্টালিকার শহর" বা মরুভূমির ম্যানহাটন বলা হয়ে থাকে। উলম্ব নির্মাণ নীতির ভিত্তিতে এটি পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এবং সেরা নগর পরিকল্পনার উদাহরণ।[৩] পৃথিবীর সর্বোচ্চ মাটির ভবন এই শহরে অবস্থিত, যাদের অনেকগুলো উচ্চতা ৩০ মিটারের উপরে।[৪] (১০০ ফুট), যা প্রারম্ভিক কালের গগনচুম্বী অ্যাপার্টমেন্ট ভবন। ভবনগুলোকে বৃষ্টি পানি আর সময়ের সাথে ক্ষয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে দেয়ালগুলোর উপরে নিয়মিতভাবে নতুন কাদার প্রলেপ দিতে হয়। নিকটবর্তী শহর তারিমে রয়েছে ওয়াদি হাদ্রামাউত উপত্যকার সর্বোচ্চ মাটির ইটের তৈরি আল-মিহদার মসজিদের মিনার। এটির উচ্চতা প্রায় ৫৩ মিটার(১৭৫ ফুট)।[৫]

১৯৯৯ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্যাটেরিনা বোরেলি আর্কিটেচার অন মাড নামে একটি ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন যেখানে এই শহরটি বিশেষ গুরুত্ব পায়।[৬]

নিরাপত্তা ঝুঁকি[সম্পাদনা]

শহরটি ২০০৮ সালের বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। [৭] শহরের অনেক ভবনের ভিত্তি বন্যা জলের দ্বারা সংকটাপন্ন হয় এবং ফলস্বরূপ শেষ পর্যন্ত তাদের ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।[৮] ২০০৯ সালে আল-কায়েদা ইয়েমেনি এই পর্যটন কেন্দ্রতে হামলা চালায়। [৯][১০]

গ্যালারি চিত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Wadi Hadramowt and walled city of Shabam"। ২০১০-০৭-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-০৩ 
  2. Helfritz, Hans (এপ্রিল ১৯৩৭)। "Land without shade"। Journal of the Royal Central Asian Society24 (2): 201–16। 
  3. Old Walled City of Shibam, UNESCO World Heritage Centre
  4. Shipman, J. G. T. (জুন ১৯৮৪)। "The Hadhramaut"। Asian Affairs15 (2): 154–62। ডিওআই:10.1080/03068378408730145 
  5. p. 9, The Shadow Factory: The Ultra-Secret NSA from 9/11 to the Eavesdropping on America, James Bamford, Random House, Inc., 2009, আইএসবিএন ০-৩০৭-২৭৯৩৯-১.
  6. "Architecture of Mud"Documentary Educational Resources 
  7. "Death Toll Mounts In Tropical Storm"। CBS 13। ২০০৮-১০-২৬। ২০০৯-০৩-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-২৬ 
  8. "Historic Town of Shibam Hadramout Escapes Flooding Largely Unscathed"। ITN Source। নভেম্বর ৩, ২০০৮। 
  9. "Al Qaeda blamed for Yemen attack"। CNN। ২০০৯-০৩-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-২৬ 
  10. "Al-Qaeda in Yemen:Political, Social and Security Dimensions"। Yemen Post। ২০০৯-০৪-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-২৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]