নাজি শওকত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নাজি শওকত
১২তম ইরাকের প্রধানমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
নভেম্বর ৩, ১৯৩২ – মার্চ ২০, ১৯৩৩
সার্বভৌম শাসকপ্রথম ফয়সাল
পূর্বসূরীনুরি আস-সাইদ
উত্তরসূরীরশিদ আলি আল-কাইলানি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৮৯৩
মৃত্যু১৯৮০

মুহাম্মদ নাজি শওকত বে (১৮৯৩ – ১১ মে, ১৯৮০) ছিলেন ইরাকি রাজনীতিবিদ। রাজা প্রথম ফয়সালের অধীনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

মুহাম্মদ নাজি শওকত ইরাকের আল-কুত শহরের একটি জর্জিয়ান[১] ও তুর্কি বংশোদ্ভূত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সেখানে প্রাদেশিক গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাইব, সামি ও রিফাত নামে তার তিন ভাই ছিল। তার পিতা ১৯০৯ সালে উসমানীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এসময় তিনি বাগদাদে তার স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন। পিতার সুবাদে তিনি ইস্তানবুলের উসমানীয় আইন স্কুলে অধ্যয়নের সুযোগ পান।

সামরিক জীবন[সম্পাদনা]

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় তিনি ইরাকি শহর আল-হিলায় অ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল প্রসিকিউটর হিসেবে ছিলেন। এসময় তিনি তার আইন জীবনের ইতি টানেন এবং রিজার্ভ অফিসার হিসেবে উসমানীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ইরাকে উসমানীয় প্রতিরক্ষায় দুই বছর অংশ নেয়ার পর ১৯১৭ সালের মার্চে ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে বন্দী হন। এরপর তাকে অন্যান্য আরব অফিসারদের মত ব্রিটিশ ভারতীয় বন্দীশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে আরব বিদ্রোহে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হলে তিনি তা গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রীত্ব[সম্পাদনা]

১৯৩২ সালে ফয়সাল তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করেন। ইঙ্গ-ইরাকি চুক্তির পথে সৃষ্ট সমস্যা দূর করা এই সরকারের উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু ইরাকের রাজনীতির অবস্থা ও চুক্তি বিরোধী শিবিরের কাছ থেকে তারা বাঁধার সম্মুখীন হন। নাজি শওকতের সরকার মাত্র পাঁচ মাস ক্ষমতায় ছিল। এরপর তিনি আঙ্কারায় ইরাকের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পান। তুরস্কের শাসকশ্রেণীর সাথে মজবুত সম্পর্ক স্থাপনে তিনি ব্রতী ছিলেন। আধুনিক তুরস্কের প্রতি তিনি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Ghareeb, Edmund A. (2004), Historical Dictionary of Iraq, p. 220. Scarecrow Press, আইএসবিএন ০-৮১০৮-৪৩৩০-৭.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
নুরি আস-সাইদ
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী
নভেম্বর ৩, ১৯৩২ — মার্চ ২০, ১৯৩৩
উত্তরসূরী
রশিদ আলি আল-কাইলানি