সুয়ারেক অ্যাম্ফিবিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুয়ারেক অ্যাম্ফিবিয়া
লেখকআলেক্সান্দ্‌র বেলায়েভ
মূল শিরোনামЧеловек-амфибия
ভাষারুশ
ধরনবৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী
প্রকাশনার তারিখ
১৯২৮

সুয়ারেক অ্যাম্ফিবিয়া বা উভচর মানুষ (রুশ: Человек-амфибия) হচ্ছে রুশ উপন্যাসিক আলেক্সান্দ্‌র বেলায়েভের ১৯২৭ সালে লেখা এবং ১৯২৮ সালে প্রকাশিত রোমাঞ্চকর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী উপন্যাস। এটি সদ্য গঠিত সোভিয়েত আমলে প্রকাশিত হয়।

কাহিনী সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

এই উপন্যাসটি আর্জেন্টিনার বুয়েনেস আইরিশের প্রেক্ষাপটে লেখা। স্প্যানিশ বংশোদ্ভূত আরজেন্টেনীয় সার্জন সালভাতর অঙ্গ সংস্থান সহ বিভিন্ন জৈবিক গবেষণা করতেন। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন রেড ইন্ডিয়ান রোগীর চিকিৎসা করতেন। রেড ইন্ডিয়ানদের কাছে তার খ্যাতির পুরো দক্ষিণ আমেরিকা থেকে রেড ইন্ডিয়ান রোগী আসতো। একদিন তার কাছে এমন এক রেড ইন্ডিয়ান শিশুকে নিয়ে আসা হয় যাকে বাঁচানো ছিল অসম্ভব। তার শ্বাস ক্রীয়া সঠিকভাবে কাজ করছিলো না। তাকে বাঁচানোর জন্য সালভাতর তরুণ হাঙ্গরের ফুলকা সংস্থান করেন। এর ফলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়। কিন্তু তাকে এজন্য অনেকটা পানিতে থাকতে হবে এবং ডাঙায় শ্বাস নিতে। সেই সময় ঐ শিশুর পিতা বালতাজরকে বলা হয় শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু এক সময় বালতাজর ঠিকই আবিষ্কার করতে সক্ষম হয় যে তার ছেলে বেঁচে আছে। সালভাতর এই মৎস্য পুরুষের নাম রাখেন ইকথিয়ান্ডর।

আলেক্সান্দার বোলোয়েভের অন্যান্য কাজের মতো এই উপন্যাসেও মানুষের এই শারীরিক পরিবর্তনের পরও তার বেঁচে থাকার সম্ভবনা নিয়ে রহস্য উদাঘাটনের চেষ্টা করা হয়। এছাড়াও উপন্যাসটিতে সমাজতন্ত্রের ধারণার ছোঁয়া পাওয়া যায়।

চরিত্র সমূহ[সম্পাদনা]

  • ইকথিয়ান্ডর – মৎস্য পুরুষ
  • বালতাজর – একজন রেড ইন্ডিয়ান ডুবুরী, ইকথিয়ান্ডরের বাবা
  • পেদ্রো জুরিতা – স্থানীয় জাহাজ মেদুসা-এর মালিক
  • সালভাতর – স্পেনীয় বংশোদ্ভূত ডাক্তার
  • ক্রিস্টো – বালতাজরের ভাই এবং সালভাতরের ভিলা ভিলা সালভাতর-এ চাকরি করে
  • গুত্তিয়েরা – বালজতাজরের পালক কন্যা এবং যাকে ইকথিয়ান্ডার ভালোবাসে
  • অল্‌সেন – কারখানার শ্রমিক এবং গুত্তিয়েরাকে ভালোবাসে
  • জিম – ইকথিয়ান্ডরের কৃষ্ণাঙ্গ চাকর

অনুবাদ[সম্পাদনা]

বাংলা ভাষায় ঢাকা থেকে প্রথম ১৯৯৩ সালে ননী ভৌমিকের অনুবাদে প্রকাশিত হয়।

চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

১৯৬২ সালে অ্যামফিবিয়ান ম্যান নামে উপন্যাসের আদলে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। যার প্রায় ৬৫ মিলিয়ন টিকেট বিক্রয় হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। যদিও সত্যিকারের টিকেট বিক্রয় সংখ্যা অজানা। ক্রিমিয়া'র দক্ষিণ সমুদ্র তীরেবর্তী এলাকায় চলচ্চিত্রটির চিত্রায়ন ঘটে। চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত ও নৃত্য কৌশল বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। চলচ্চিত্রটির প্রথম সঙ্গীত দ্যা সী ডেভিল এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, ১৯৯০ সাল পর্যন্ত গানটি মানুষের মুখে মুখে ফিরতো।

টেলিভিশন সিরিজ[সম্পাদনা]

২০০৪ সালে সম্প্রচারিত রাশিয়ান টিভি সিরিজ সী ডেভিল (Морской Дьявол) উপন্যাসটি দ্বারা কিঞ্চিত প্রভাবিত।

রূপান্তর[সম্পাদনা]

  1. ১৯৬২ – সুয়ারেক অ্যাম্ফিবিয়া (রুশ চলচ্চিত্র)
  2. ২০০৪ – মার্স্কুই জিয়াভো; সুয়ারেক অ্যাম্ফিবিয়ার ওপর নির্মিত রুশ ধারাবাহিক
  3. ২০০৯ – সুয়ারেক অ্যাম্ফিবিয়া ২

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]