সরগুজা জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৩°০৭′ উত্তর ৮৩°১২′ পূর্ব / ২৩.১১৭° উত্তর ৮৩.২০০° পূর্ব / 23.117; 83.200
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সরগুজা জেলা জেলা
सरगुजा जिला
ছত্তীসগঢ়ের জেলা
ছত্তীসগঢ়ে সরগুজা জেলার অবস্থান
ছত্তীসগঢ়ে সরগুজা জেলার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যছত্তীসগঢ়
সদরদপ্তরঅম্বিকাপুর, ভারত
আয়তন
 • মোট১৬,৩৫৯ বর্গকিমি (৬,৩১৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট২৩,৬১,৩২৯
 • জনঘনত্ব১৪০/বর্গকিমি (৩৭০/বর্গমাইল)
জনতাত্ত্বিক
 • সাক্ষরতা৬১.১৬
 • লিঙ্গানুপাত৯৯১
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
অম্বিকাপুর, ছত্তিসগড় অম্বিকাপুর এর নিকটে জলাধার

সরগুজা জেলা (হিন্দি: सरगुजा जिला) হল ভারতের ছত্তীসগঢ় রাজ্যের উত্তর প্রান্তের একটি জেলা। এই জেলার সদর শহর হল অম্বিকাপুর। এই জেলা উত্তরপ্রদেশঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় বিন্ধ্যাচল-বাঘেলখণ্ড অঞ্চলের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কিংবদন্তি অনুসারে, বনবাসের সময় রাম সরগুজা অঞ্চলে এসেছিলেন। সরগুজার অনেক অঞ্চলের নাম রামায়ণের সঙ্গে যুক্ত।[১]

মৌর্য সাম্রাজ্যের উত্থানের আগে এই অঞ্চলের শাসক ছিল নন্দ রাজবংশ। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই অঞ্চল ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত ছিল। পরে রক্ষাল গোত্রের এক রাজপুত রাজা অধুনা ঝাড়খণ্ড অঞ্চল থেকে এই অঞ্চল আক্রমণ করে জয় করে নেন। ১৮২০ সালে অমর সিং সরগুজার রাজা হন। ব্রিটিশ যুগে সরগুজা ছিল একটি দেশীয় রাজ্য[১][২]

বর্তমানে এই জেলাটি মাওবাদী উপদ্রুত লাল করিডোরের অংশ।

জনপরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, সরগুজা জেলার জনসংখ্যা ২,৩৬২,৩২৯।[৩] এই জনসংখ্যা লাটভিয়া রাষ্ট্র[৪] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের জনসংখ্যার সমান।[৫] জনসংখ্যার হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ১৯২তম।[৩] জেলার জনঘনত্ব ১৫০ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৩৯০ জন/বর্গমাইল) ।[৩] ২০০১-২০১১ দশকে জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৯.৭৬%।[৩] জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৭৬ জন নারী।[৩] জেলার সাক্ষরতার হার ৬১.১৬%।[৩]

আদিবাসীরা এই জেলার জনসংখ্যার প্রধান অংশ। পান্ডো ও কোরওয়ারা এখানকার পুরনো আদিবাসী। পান্ডোরা নিজেদের মহাভারতের পাণ্ডবদের বংশধর মনে করে। আবার কোরওয়ারা মনে করা তারা কৌরবদের বংশধর।[১]

ভাষা[সম্পাদনা]

এখানকার প্রধান ভাষাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারিয়া ভাষা। এটি ভারিয়া উপজাতির ভাষা। দেবনাগরী হরফে লেখা হয়।[৬]

সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

বন্যপ্রাণী চলচ্চিত্রের নির্মাতা মাইক পাণ্ডের দ্য লাস্ট মাইগ্রেশন ছবিটি সরগুজা জেলায় নির্মিত হয়। এটিই গ্রিন অস্কার পাওয়া প্রথম এশীয় ছবি। এই জেলার সোনাবাই আদিবাসী ও লোকশিল্পের এক জনপ্রিয় মৃৎশিল্পী।

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. "Surguja"। Surguja district administration। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-০৩ 
  2. "Surguja (Princely State)"। ২০১০-০৯-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-০৩ 
  3. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  4. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১Latvia 2,204,708 July 2011 est. 
  5. "2010 Resident Population Data"। U.S. Census Bureau। ২০১১-০৮-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০New Mexico - 2,059,179 
  6. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Bharia: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th edition সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]