নানখাতাই

নানখাতাই

অন্যান্য নাম	কুলছা-এ-খাতায়ে
সংশ্লিষ্ট জাতীয় রন্ধনশৈলী	ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান
প্রধান উপকরণ	গমের আটা, চালের আটা, মাখন, গুঁড়ো চিনি, দুধ/দই, লবণ, মধু, বেকিং পাউডার
রন্ধনপ্রণালী: নানখাতাই   মিডিয়া: নানখাতাই

নানখাতাই হল ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তর বাংলা অঞ্চলে উদ্ভূত ছোট রুটির বিস্কুট, যা উত্তর ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মায়ানমারে (পূর্বে বার্মা) জনপ্রিয়।

ব্যুৎপত্তি

নানখাতাই শব্দটি ফার্সি শব্দ নান থেকে এসেছে যার অর্থ রুটি ও খাতাই একটি দারি ফারসি শব্দ থেকে যার অর্থ বিস্কুট। নানখাতাই-কে বার্মি ভাষায় নানকাহতাইং (နံကထိုင်) হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এটিকে পূর্ব তামিলনাড়ুর তামিল ভাষায় "নানাহাথা" (நானஹத்தா) ও শ্রীলঙ্কার সিংহল ভাষায় "জ্ঞানাকথা" (ඤාණකතා) বলে ডাকা হয়। আফগানিস্তান ও উত্তর-পূর্ব ইরানে এই বিস্কুটগুলোকে কুলচা-ই-খাতায়ে বলা হয়। কুলচা হল এক প্রকার আফগান, ইরানী ও ভারতীয় রুটি যা নানের মতো।

ইতিহাস

নানখাতাই ১৬ শতকে সুরাটে উদ্ভূত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়, যখন ওলন্দাজ ও ভারতীয়রা গুরুত্বপূর্ণ মশলা ব্যবসায়ী ছিল। স্থানীয় ওলন্দাজ বাসিন্দাদের চাহিদা মেটাতে একটি ওলন্দাজ দম্পতি সুরাটে একটি বেকারি স্থাপন করেছিলেন। ওলন্দাজরা ভারত ছেড়ে চলে গেলে তারা বেকারিটি একজন ইরানির হাতে তুলে দেন। বেকারির বিস্কুট স্থানীয়দের পছন্দ ছিল না। নিজের ব্যবসা বাঁচাতে কম দামে শুকনো রুটি বিক্রি শুরু করেন। এটি এতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে তিনি রুটি বিক্রি করার আগে শুকাতে শুরু করেন। সময়ের সাথে সাথে, রুটি নিয়ে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা তাকে শেষ পর্যন্ত নানখাতাই উদ্ভাবনে অনুপ্রাণিত করেছিল। নানখাতায়ের প্রধান উপকরণ হল মিহি আটা, ছোলার আটা ও সুজি।