মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্দির

মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তি	হিন্দুধর্ম
জেলা	নগাঁও
ঈশ্বর	শিব
অবস্থান
অবস্থান	নগাঁও
রাজ্য	অসম
দেশ	ভারত
আসামে অবস্থান আসামে অবস্থান
স্থানাঙ্ক	২৬°২০′৩৫″ উত্তর ৯২°৪৬′৩৪″ পূর্ব
স্থাপত্য
সম্পূর্ণ হয়	ফেব্রুয়ারি ২০২১

মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্দির হল একটি হিন্দু মন্দির যা হিন্দু দেবতা শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত, ভারতের আসাম রাজ্যের নগাঁওতে অবস্থিত। এই মন্দিরটি স্থাপত্যের দিক থেকে বিশেষ কারণ এটি একটি শিবলিঙ্গের আকারে নির্মিত। এটি বিশ্বের বৃহত্তম শিবলিঙ্গ, যার উচ্চতা ১২৬ ফুট। এই বৈশিষ্ট্যটি এটিকে অনন্য এবং ভক্তদের জন্য খুব আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

ইতিহাস

আচার্য ভৃগু গিরি মহারাজ ২০০৩ সালে মন্দির নির্মাণের সূচনা করেছিলেন, এই জায়গাটি যেখানে তিনি ধ্যান করতেন এবং সেই স্থান যেখানে গুরু শুক্রাচার্য মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পালন করেছিলেন। এই চিন্তার ভিত্তিতে আচার্য ভৃগু গিরি মহারাজারা এই স্থানটিকে মন্দির নির্মাণের (প্রাণ প্রতিষ্টা) জন্য বেছে নিয়েছিলেন। নির্মাণের জন্য প্রাথমিক পরিকল্পনা ২০০৩ সালে শুরু হয়েছিল কিন্তু অন্যান্য স্থপতি এবং প্রকৌশলীদের দ্বারা অনেক প্রচেষ্টার পরে, চূড়ান্ত প্রকৌশল এবং নকশা কাজটি নারায়ণ শর্মা দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।প্রকৌশলে দক্ষতার প্রতিফলনের কারণে মন্দিরটিও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

উদ্বোধন ও প্রাণ প্রতিষ্টা মহোৎসব

মন্দির উদ্বোধনটি প্রাণ প্রতিষ্টা মহোৎসবের দ্বারা করা হয়েছিল, পূজা (পূজা) ২২ ফেব্রুয়ারি বলা হয়েছিল এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে শেষ হয়েছিল। বিশেষ অতিথি হিসাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব অমিত শাহ, তৎকালীন আসামের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (বর্তমান মূখ্যমন্ত্রী) এবং আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্দিরের পূজা ও যজ্ঞে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যজ্ঞের জন্য ১০৮টি যজ্ঞকুণ্ড স্থাপন করা হয়েছিল এবং প্রায় ২৫০ জন পুরোহিত তামিলনাড়ু থেকে প্রাণ প্রতিষ্টা যজ্ঞ করতে এসেছিলেন। প্রাণ প্রতিষ্টা যজ্ঞের সমাপ্তির পর ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ থেকে মন্দিরটি ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

অবস্থান

মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্দিরটি নগাঁও জেলার পুরণিগুদামের কালাযোগীতে মহাপুরুষ শ্রীমন্ত দামোদরদেব পথে অবস্থিত। এটি গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ভূমিকম্পের প্রভাব

২৮ এপ্রিল ২০২১ তারিখে আসাম এবং পূর্বোত্তর ভারত অঞ্চলে বিশাল ভূমিকম্পের রিপোর্ট করা হয়েছিল রিক্টর স্কেলে ৬.৭ এবং সেই ধাক্কার কারণে মন্দিরের ১২৬ ফুট উপরের অংশে ছোট ফাটল দেখা যায় যা শোভাময় ক্ষতি হিসাবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে এবং কোনও কাঠামোগত ক্ষতি হয়নি।

আরও দেখুন

• মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র
• কামাখ্যা মন্দির
• শুক্রেশ্বর মন্দির
• কোলং নদী

বহিঃসংযোগ

• ফেসবুকে মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্দির
• দাপ্তরিক ওয়েবসাইট