ফণী ভূষণ চৌধুরী (পুলিশ কর্মকর্তা)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফণী ভূষণ চৌধুরী
সাবেক পুলিশ সমন্বয়ক ও সচিব ফণী ভূষণ চৌধুরী
সদস্য, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন
কাজের মেয়াদ
২০১৪ – ২০১৬
সচিব, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
২০১৩ – ২০১৪
পূর্বসূরীআশরাফুল মকবুল
উত্তরসূরীফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী
পুলিশ সমন্বয়ক (আইজিপি), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
২০১০ – ২০১৩
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৫৪-১১-১১)১১ নভেম্বর ১৯৫৪
ছাতক, সুনামগঞ্জ, বাংলাদেশ
মৃত্যু২৬ মার্চ ২০১৬(2016-03-26) (বয়স ৬১)
ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাপুলিশ কর্মকর্তা, সচিব

ফণী ভূষণ চৌধুরী (১১ নভেম্বর ১৯৫৪ - ২৬ মার্চ ২০১৬) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন সাবেক কর্মকর্তা। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ সমন্বয়ক (আইজিপি), বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

ফণী ভূষণ ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ১১ নভেম্বর সুনামগঞ্জের ছাতকে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নিবারণ চন্দ্র চৌধুরী ও মা রেখা চৌধুরী।[২] তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি অকৃতদার ছিলেন।[৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

ফণী ভূষণ চৌধুরী ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন এবং সহকারী সচিব পদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে তিনি ১৯৮২ বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৮৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার পদে যোগদান করেন। তিনি পুলিশ সুপার, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ডেন্ট, ডিআইজি এবং অতিরিক্ত আইজিপি পদে দায়িত্ব পালন করেন। অতিরিক্ত আইজিপি পদে তিনি অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪]

তিনি জাতিসংঘের একাধিক শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত ছিলেন। তিনি ডিপার্টমেন্ট অব পিস কিপিং অপারেশনস-এর অধীনে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রশিক্ষণ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ফণী ভূষণ ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইজিপি পদমর্যাদায় পুলিশ সমন্বয়ক এবং ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব নিযুক্ত হন।[৫] ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সরকারি চাকরি থেকে অবসর লাভ করেন। একই বছর তিনি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগ দেন। আমৃত্যু তিনি ঐ পদে দায়িত্ব পালনরত ছিলেন।[৩]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফণী ভূষণ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।[৬][৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ফণি ভূষণ আর নেই"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৬ মার্চ ২০১৬। ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ 
  2. "কৃতিপুরুষ পুলিশের সাবেক সমন্বয়ক ফনী ভূষণ চৌধুরীর বর্ণাঢ্যজীবন"দ্যবিডিটাইমস২৪.কম। ২৯ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ 
  3. "চলে গেলেন পুলিশ সমন্বয়ক ফণি ভূষণ চৌধুরী"বাংলা ট্রিবিউন। ২৬ মার্চ ২০১৬। ২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ 
  4. "চলে গেলেন পিএসসি সদস্য ফণি ভূষণ"কালের কণ্ঠ। ২৭ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ 
  5. "বস্ত্র সচিব হলেন ফনী ভূষণ"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩। ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ 
  6. "কৃতিপুরুষ ফনী ভূষণ চৌধুরীর বর্ণাঢ্যজীবন"জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর। ২৮ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ 
  7. "ফনী ভূষণ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৫ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০২২