ব্যবহারকারী:Sadman Mahin Shams/গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, খুলনা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পরিচিতি[সম্পাদনা]

মেইন স্কুল ও অফিস ভবন

দক্ষিণ বাংলার অন্যতম শিল্প নগরী খুলনা থেকে প্রায় ১৩ কিলােমিটার উত্তরে খুলনা যশাের প্রধান সড়ক হতে এক মাইল পশ্চিমে। ছায়া সুনিবিড় মনােরম পরিবেশে তেলিগাতী গ্রামে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিভাগীয় পর্যায়ে যে চারটি ল্যাবরেটরি স্কুল আছে, গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, খুলনা তার একটি। খুলনা শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের প্রশিক্ষনার্থীদের শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণার নিমিত্তে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

জন্মকাল[সম্পাদনা]

খুলনা শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের প্রশিক্ষার্থীদের শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে। গবেষণার নিমিত্তে ইং ১৯৬৫ সালে বিদ্যালয়টি নির্মিত হয়। ১৯৬৭ সালের ১৬ই এপ্রিলমাত্র ৩৪ জন ছাত্র নিয়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

জমির পরিমাণ[সম্পাদনা]

৪.৪৪ একর

বিদ্যালয়ের ধরণ[সম্পাদনা]

এখানে বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগে পাঠ গ্রহণের সুযােগ আছে। ছাত্র-ছাত্রী উভয়ের জন্য ৩য় থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়নের ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১১০০।

শিক্ষক ও কমর্চারীবৃন্দ[সম্পাদনা]

প্রধান শিক্ষক;সহকারী প্রধান শিক্ষক-১ জন;সহকারী শিক্ষকঃ।পদসংখ্যা ২৪ জন। কর্মরত ২৩ জন। শূন্যপদ-০১ জন। কৃষি শিক্ষক- পদসংখ্যা ০১ জন ,কর্মরত ০১ জন।।

অফিস সহকারী; উচ্চমান সহকারী - পদসংখ্যা ০১ জন কর্মরত ০১ জন। নিম্নমান সহকারী - পদ শূন্য।

চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী; দপ্তরী – পদশূন্য। নৈশ প্রহরী- ০১ জন, পদ শূন্য।। মালী – পদসংখ্যা ০১ জন কর্মরত ০১ জন। প্রেষণে অন্যত্র কর্মরত।। ঝাড়ুদার – পদসংখ্যা ০১ জন কর্মরত ০১ জন।। দারােয়ান – পদসংখ্যা ০১ জন কর্মরত ০১ জন।

স্কুলের সময়সূচী[সম্পাদনা]

প্রাত্যহিক সমাবেশ-সকাল ১০টায়/৮টায়। প্রধান শিক্ষক বা তার প্রতিনিধি কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জাতীয় পতাকার প্রতি অভিবাদন জ্ঞাপন। শিক্ষার্থী কর্তৃক ধর্মগ্রন্থ থেকে। অংশবিশেষ পাঠ, শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ। সমবেত জাতীয় সঙ্গীত। শিক্ষার্থীদের শরীর। চর্চা। বিশেষ ঘােষণা (যদি থাকে) সারিবদ্ধভবে স্ব স্ব শ্রেণীতে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাবর্তন।

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায়ের তারিখ[সম্পাদনা]

নোটিশ দিয়ে বেতনের তারিখ জানানো হয়।

শিক্ষার্থীদের পোশাক[সম্পাদনা]

ছাত্রদের জন্য নেভী ব্লু রং এর প্যান্ট, সাদা ফুল হাতা শার্ট এবং সাদা কেডস্। ছাত্রীদের জন্য সাদা স্যালােয়ার কামিজ ওড়না, স্কার্ফ এবং সাদা কেডস্।

পরীক্ষা[সম্পাদনা]

মেধা মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে বছরে দুইটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা সমূহে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ বাধ্যতামুলক। পরীক্ষা সমূহে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কোনক্রমেই উপরের শ্রেণীতে প্রমােশন দেয়া হয় না। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করলে কিংবা স্কুলের।নিয়ম শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

সহ পাঠ্যক্রমিক কার্যাবলি[সম্পাদনা]

শুধু পুঁথিগত বিদ্যার্জন দিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রতিভা বিকাশ সম্ভব নয়। কেউ গানে ভালাে-কেউ নাচে ভালাে, কেউ আবৃত্তিতে ভালাে- কেউবা গল্প বলা। বিতর্ক, বক্তব্যে কিংবা কৌতুকের মাধ্যমে প্রতিভা বিকাশ সম্ভব। এতে শিক্ষার্থীর মধ্যে জড়তা দূরীভূত হয় এবং যুক্তিপূর্ণভাবে কথা বলার সাহসও অভ্যাস গড়ে ওঠে। এখানে উল্লেখ করতে হয় যে এমনিভাবে গড়ে উঠা তার্কিক দলগুলাে বেশ কয়েকবার স্কুল পর্যায়ে জাতীয়। বিতর্ক প্রতিযােগিতায় টেলিভিশনের মত প্রধান গণমাধ্যমে যেতে সক্ষম হয়েছে এমনকি কোন দল বিজয়ের গৌরব নিয়ে স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করেছে। এছাড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লিখনী শক্তি বিকাশের জন্য পত্রিকা বিভাগ। এসবের পাশাপাশি রয়েছে আউটডাের/ ইনডাের গেমস। শিক্ষার সাথে খেলাধুলার সম্পর্কে নিবিড়। খেলাধুলা স্বাস্থ্য রক্ষার অন্যতম উপায়। বিদ্যালয়ে একটি বিস্তীর্ণ মাঠ আছে। সেখানে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতি বছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযােগিতা খুব জাক- জমকের সাথে অনুষ্ঠিত হয়।

স্কাউট ও গার্লস গাইড[সম্পাদনা]