হালদা-শ্রেণীর টাগবোট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(হালদা-শ্রেণির টাগবোট থেকে পুনর্নির্দেশিত)
শ্রেণি'র সারাংশ
নাম: হালদা-শ্রেণী
নির্মাতা:
ব্যবহারকারী:  বাংলাদেশ নৌবাহিনী
নির্মিত: ২০১৫-বর্তমান
অনুমোদন লাভ: ২০১৭-বর্তমান
সম্পন্ন: ২টি
সক্রিয়: ২টি
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার: টাগবোট
ওজন: ৮৬০ টন
দৈর্ঘ্য: ৩২ মিটার (১০৫ ফু)
প্রস্থ: ১১.৬০ মিটার (৩৮.১ ফু)
গভীরতা: ৫.৩৬ মিটার (১৭.৬ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ × ক্যাটারপিলার ২,৫০০ অশ্বশক্তি (১,৯০০ কিওয়াট) ডিজেল ইঞ্জিন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
  • ২ × এএসডি রোলস রয়েস প্রপালশন;
  • ২ × ৮৬ কিলোওয়াট ক্যাটারপিলার ডিজেল জেনারেটর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
গতিবেগ: ১২ নট (২২ কিমি/ঘ; ১৪ মা/ঘ)
সীমা: ১,২০০ নটিক্যাল মাইল (১,৪০০ মা; ২,২০০ কিমি)

হালদা-শ্রেণী হচ্ছে বাংলাদেশে নির্মিত টাগবোট জাহাজের শ্রেণী যা বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক ব্যবহৃত হয়। এই জাহাজগুলো রবার্ট অ্যালান লিমিটেড, কানাডা এর প্রযুক্তিগত সহায়তায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মাণ করা হয়। র‍‍্যামপার্টস ৩২০০ সিরিজের উপর ভিত্তি করে নির্মিত টাগবোট দুটি বহিঃনোঙ্গরে ও পোতাশ্রয়ে সাবমেরিনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নৌবাহিনীর অন্যান্য জাহাজ এবং বাণিজ্যিক জাহাজকে টোয়িং সহযোগিতা প্রদান, পোতাশ্রয়ে ও সমুদ্রে অগ্নিনির্বাপণ এবং উদ্ধারকারী জাহাজ হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।[১][২][৩][৪][৫]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় ও বৈদেশিক উৎস থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনস্থ খুলনা শিপইয়ার্ডে দুইটি টাগবোটের নির্মাণকাজ শুরু হয়। জাহাজ নির্মাণে প্রয়োজনীয় নকশা ও প্রযুক্তি সরবরাহ করে রবার্ট অ্যালান লিমিটেড, কানাডা। জাহাজ দুটি নির্মাণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও উপকরণ সরবরাহ করে গ্রেড ওয়ান মেরিন শিপইয়ার্ড, মালয়েশিয়া। এছাড়াও সম্পূর্ণ প্রজেক্ট ডিজাইন, সাপ্লাই এবং লজিস্টিক ম্যানেজমেন্ট সম্পন্ন করে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন মেরিটাইম টেকনোলজি, ঢাকা। অবশেষে ৮ নভেম্বর, ২০১৭ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ বানৌটা হালদাবানৌটা পশুর জাহাজ দুটি নৌবাহিনীতে কমিশন করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফ্রান্স ভিত্তিক ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি ব্যুরো ভেরিটাস (বিভি) এর নীতিমালা অনুসরন করে জাহাজ সমূহ নির্মিত হয়।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

হালদা-শ্রেণীর প্রতিটি জাহাজের দৈর্ঘ্য ৩২ মিটার (১০৫ ফু), প্রস্থ ১১.৬ মিটার (৩৮ ফু) এবং গভীরতা ৫.৩৬ মিটার (১৭.৬ ফু)। এই জাহাজ সমূহকে কানাডা এবং মালয়েশিয়ান প্রযুক্তিগত সহায়তায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি জাহাজে রয়েছে ২টি ক্যাটারপিলার ২,৫০০ অশ্বশক্তি (১,৯০০ কিওয়াট) ডিজেল ইঞ্জিন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ২টি এএসডি রোলস রয়েস প্রপালশন এবং ২টি ৮৬ কিলোওয়াটের ক্যাটারপিলার জেনারেটর। যার ফলে জাহাজ দুটি সর্বোচ্চ ১২ নট (২২ কিমি/ঘ; ১৪ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম।

জাহাজসমূহ[সম্পাদনা]

 বাংলাদেশ নৌবাহিনী
 পরিচিতি সংখ্যা   নাম   নির্মাতা   নির্মাণ শুরু   হস্তান্তর   কমিশন   অবস্থা 
এ৭২৫ বানৌটা হালদা খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ - ৮ নভেম্বর, ২০১৭ সক্রিয়
এ৭২৬ বানৌটা পশুর

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মহামান্য রাষ্ট্রপতি খুলনা শীপইয়ার্ডে নির্মিত সর্ববৃহৎ যুদ্ধজাহাজ দুর্গম ও নিশান এবং সাবমেরিন টাগ পশুর ও হালদা নৌবহরে কমিশনিং করলেন"আইএসপিআর। ২০২১-১১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৮ 
  2. "2 X SUBMARINE TUG"web.archive.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৬ 
  3. "দেশেই তৈরী হলো নৌ-বাহিনীর জন্য বড় ২টি যুদ্ধ জাহাজ"। ২৭ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  4. "2 × Submarine Handling Tug for Bangladesh Navy"www.facebook.com। ২০২৩-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-১৭ 
  5. eschneider (২০২২-০৬-২৭)। "Designing Tugs for Navies"Robert Allan Ltd. (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৬-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৩