আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আড়শা
সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক
আড়শা পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
আড়শা
আড়শা
স্থানাঙ্ক: ২৩°১৯′৫২.০″ উত্তর ৮৬°১০′২০.৩″ পূর্ব / ২৩.৩৩১১১১° উত্তর ৮৬.১৭২৩০৬° পূর্ব / 23.331111; 86.172306
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাপুরুলিয়া
লোকসভা কেন্দ্রপুরুলিয়া
বিধানসভা কেন্দ্রবলরামপুর, বাঘমুন্ডি, জয়পুর
আয়তন
 • মোট৩৭৫.০৪ বর্গকিমি (১৪৪.৮০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১,৫৪,৭৩৬
 • জনঘনত্ব৪১০/বর্গকিমি (১,১০০/বর্গমাইল)
ভাষা
 • সরকারিবাংলা, সাঁওতালি, ইংরেজি
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫.৩০)
পিন৭২৩২১৬ (আড়শা)
৭২৩১৫৪ (সিরকাবাদ)
টেলিফোন/এসটিডি কোড০৩২৫৪
যানবাহন নিবন্ধনডব্লিউবি-৫৫, ডব্লিউবি-৫৬
সাক্ষরতার হার৫৪.৭৮%
ওয়েবসাইটhttp://purulia.gov.in/

আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া সদর মহকুমার একটি প্রশাসনিক বিভাগ (সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক)।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]

খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে রচিত জৈন ধর্মগ্রন্থ ভগবতীসূত্রে পুরুলিয়াকে প্রাচীন ষোড়শ মহাজনপদের অন্যতম বজ্রভূমির অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৮৩৩ সালে জঙ্গলমহল জেলা বিভাজিত করে মানভূম জেলা গঠিত হয়। এই জেলার সদর ছিল মানবাজার। ১৮৩৮ সালে সদর স্থানান্তরিত হয় পুরুলিয়া শহরে। স্বাধীনতার পর মানভূম জেলা বিহার রাজ্যের অংশই থেকে যায়। এই সময় বিহার সরকার জেলার সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাভাষীদের উপর হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে এই জেলায় বাংলা ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ১৯৫৬ সালের রাজ্য পুনর্গঠন আইন এবং বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ (অঞ্চল হস্তান্তর) আইন অনুযায়ী মানভূম জেলা বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়।[১][২]

লাল করিডোর[সম্পাদনা]

অতি-বামপন্থী কার্যকলাপের নিরিখে ভারতের ১০টি রাজ্যের ১০৬টি জেলাকে লাল করিডোর বলে বর্ণনা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াবীরভূম জেলা লাল করিডোরের অংশ। অবশ্য ২০১৬ সালের জুলাই মাসের হিসেব অনুযায়ী, পূর্ববর্তী চার বছরে এই জেলাগুলিতে মাওবাদীদের কোনও কার্যকলাপের কথা নথিভুক্ত হয়নি।[৩]

পুরুলিয়া জেলার মাওবাদী-অধ্যুষিত সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলি হল: ঝালদা ১, ঝালদা ২, আড়শা, বাঘমুন্ডি, বলরামপুর, বরাবাজার, মানবাজার ২বান্দোয়ান[৪] মানবাজার ১জয়পুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক থেকেও কয়েকটি মাওবাদী কার্যকলাপের খবর আসে এবং ক্ষেত্রবিশেষে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে সমগ্র পুরুলিয়া জেলাতেই মাওবাদী কার্যকলাপ চলছিল।[৫]

২০০৮ সালের ২ নভেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী এলাকায় পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হত্যার একটি প্রয়াস ব্যর্থ হওয়ার পর লালগড় আন্দোলন সর্বসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরপর পুলিশ এলাকায় শান্তিরক্ষায় প্রবৃত্ত হলে আশেপাশের এলাকাতেও ধড়পাকড় শুরু হয়।[৬] সিপিআই(এম)-এর অনেক কর্মী মাওবাদীদের হাতে নিহত হত। লালগড় আন্দোলনের কেন্দ্র লালগড় হলেও এটি পার্শ্ববর্তী তিন জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার ১৯টি থানা এলাকার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী এই সব ক'টি জেলাই ঘন অরণ্যে ঢাকা অঞ্চল। ২০০৯ সালের ১১ জুন এই অঞ্চলে সিআরপিএফ ও অন্যান্য বাহিনী নিয়োগ করা হয়। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে সরকার পরিবর্তন ঘটে এবং ধীরে ধীরে লালগড় আন্দোলনও স্তিমিত হয়ে পড়ে। ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর মাওবাদী নেতা কিশেনজির মৃত্যুই এই ঘটনা-পরম্পরার শেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনা।[৬][৭]

ভূগোল[সম্পাদনা]

পুরুলিয়া জেলার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলির মানচিত্র

আড়শার স্থানাংক ২৩°১৯′৫২.০″ উত্তর ৮৬°১০′২০.৩″ পূর্ব / ২৩.৩৩১১১১° উত্তর ৮৬.১৭২৩০৬° পূর্ব / 23.331111; 86.172306

আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের উত্তর দিকের একাংশে রয়েছে জয়পুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক; উত্তরের অপর প্রান্তে ও পূর্ব দিকে রয়েছে পুরুলিয়া ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক; দক্ষিণ দিকে রয়েছে বরাবাজার, বলরামপুরবাঘমুন্ডি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক; এবং পশ্চিম দিকে রয়েছে ঝালদা ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক।[৮]

আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকটি পুরুলিয়া জেলার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। কংসাবতী নদী আড়শা এবং জয়পুরপুরুলিয়া ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মধ্যে সীমানা সৃষ্টি করেছে। এই অঞ্চলটি উচ্চ কংসাবতী অববাহিকায় অবস্থিত। এই অঞ্চলের ভূমিরূপ তরঙ্গায়িত, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ২০০ থেকে ৩০০ মিটার এবং জমির সাধারণ ঢাল পশ্চিম থেকে পূর্বে ও দক্ষিণপূর্বে।[৯]

আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের আয়তন ৩৭৫.০৪ বর্গ কিলোমিটার। এই ব্লকে একটি পঞ্চায়েত সমিতি, ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১০১টি গ্রাম সংসদ, ৯৬টি মৌজা ও ৯৫টি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম রয়েছে। ব্লকটি আড়শা থানার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার অন্তর্গত।[১০] ব্লকের সদর সিরকাবাদে অবস্থিত।[১১]

আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক/পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হল: আড়শা, বেলডিহা, চাটুহাঁসা, হেঁসলা, হেটগুগুই, মানকিয়াড়ি, পুয়াড়া ও সিরকাবাদ[১২]

জনপরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট জনসংখ্যা ১৫৪,৭৩৬। এই জনসংখ্যার সম্পূর্ণ অংশই গ্রামীণ জনসংখ্যা। পুরুষের মোট সংখ্যা ৭৮,৩৯৮ (৫১%) ও মহিলার মোট সংখ্যা ৭৬,৩৩৮ (৪৯%)। ২৬,২০৮ জনের বয়স ছয় বছরের কম। তফসিলি জাতি-তালিকাভুক্ত জনসংখ্যা ১৮,২৯৪ (১১.৮২%) এবং তফসিলি উপজাতি-তালিকাভুক্ত জনসংখ্যা ৩৩,৫৬৮ (২১.৬৯%)।[১৩]

২০০১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট জনসংখ্যা ছিল ১২৯, ১০৮; যার মধ্যে ৬৫,৯৯৬ জন ছিল পুরুষ এবং ৬৩,১১২ জন ছিল মহিলা। ১৯৯১-২০০১ দশকে আড়শার জনসংখ্যা বৃদ্ধির নথিবদ্ধ হার ছিল ১৫.৩৬ শতাংশ। উল্লেখ্য, এই দশকে পুরুলিয়া জেলায় এই হার ছিল ১৩.৯৬ শতাংশ[১৪] এবং সমগ্র রাজ্যে এই হার ছিল ১৭.৮৪ শতাংশ।[১৫]

আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের বড়ো গ্রামগুলি (৪,০০০+ জনসংখ্যাবিশিষ্ট) হল (বন্ধনীতে ২০১১ সালের জনগণনার হিসেব): আড়শা (৫,৯৫৮), পালপাল (৫,৫১১), রাঙামাটি (৪,৩৬৫), সিরকাবাদ (৬,২৮৮), চাটুহাঁসা (৪,৩৮৮), হেঁসলা (৪,৫৭৪) ও সাতড়া (৫,৮৫৭)।[১৩]

এই ব্লকের অন্যান্য গ্রামগুলি হল (বন্ধনীতে ২০১১ সালের জনগণনার হিসেব): পুয়াড়া (৩,৯০০), বেলডি (৩,৩৩৭), মানকিয়াড়ি (১,৭৮৪) ও হেটগুগুই (৩,০২৯)।[১৩]

সাক্ষরতা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট সাক্ষর জনসংখ্যা ৭০,৪১৩ (অন্যূন ছয় বছর বয়সী জনসংখ্যার ৫৪.৭৮ শতাংশ); এর মধ্যে পুরুষ সাক্ষরের সংখ্যা ৪৫,৮৭৬ (অন্যূন ছয় বছর বয়সী পুরুষ জনসংখ্যার ৭০.৩৬ শতাংশ) এবং সাক্ষর মহিলার সংখ্যা ২৪,৫৩৭ (অন্যূন ছয় বছর বয়সী মহিলা জনসংখ্যার ৩৮.৭৫ শতাংশ)। সাক্ষরতার ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্যের হার ছিল ৩১.৬১ শতাংশ।[১৩]

টেমপ্লেট:Literacy in CD Blocks of Purulia district

ভাষা ও ধর্ম[সম্পাদনা]

২০০১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরুলিয়া জেলার ৭৬.৬ শতাংশ অধিবাসীর মাতৃভাষা ছিল বাংলা, ১১.৪ শতাংশের সাঁওতালি, ৭.৭ শতাংশের কুর্মালি, ১.৯ শতাংশের হিন্দি, ১.১ শতাংশের উর্দু, ০.৩ শতাংশের খোরঠা/খোট্টা, ০.২ শতাংশের তেলুগু, ০.১ শতাংশের ওডিয়া, ০.১ শতাংশের মুন্ডারি এবং ০.৪ শতাংশের অন্যান্য ভাষা।[১৬]

২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি ভাষা (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল অনুযায়ী, কোনও নির্দিষ্ট ব্লক বা মহকুমা বা জেলায় জনসংখ্যা ১০ শতাংশের বেশি অংশের ভাষা হিন্দি, সাঁওতালি, ওডিয়া বা পাঞ্জাবি হলে সংশ্লিষ্ট ভাষাটি সেই অঞ্চলে অতিরিক্ত সরকারি ভাষার মর্যাদা পাবে। এরপর ২০১৮ সালের পশ্চিমবঙ্গ সরকারি ভাষা (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিলে রাজ্যের সংখ্যালঘু ভাষার তালিকায় কামতাপুরী, রাজবংশী ও কুর্মালিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।[১৭][১৮]

পুরুলিয়া জেলার পশ্চিম সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যে স্থানীয় বাংলা উপভাষা প্রচলিত তা প্রায়শই কুর্মালি, খোরঠা ও খোট্টাহির মতো মগহি উপভাষা, এমনকি খোট্টা বাংলার সঙ্গেও মিশে যায়। জেলার অনেক সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকেই আদিবাসীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। পূর্বতন মানভূম জেলার জনসংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশের মাতৃভাষা ছিল সাঁওতালি। কেউ কেউ কুর্মালি, মুণ্ডারি এবং ভূমিজ বা মাহলি সম্প্রদায়ের ভাষার মতো মুন্ডারি বা কোলারিয়ান ভাষাতেও কথা বলত। যদিও খুব অল্প সংখ্যক মানুষই এই ভাষাগুলিতে (বিষেষত ভূমিজদের ভাষায়) কথা বলত। সেই কারণে সন্দেহ করা হয় যে, বিভিন্ন জনগণনায় আদিবাসীরাও বাংলাকে নিজেদের মাতৃভাষা বলে নথিভুক্ত করেছে, যদিও তারা এখনও এই সকল ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথোপকথন চালায়।[১৯]

আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ধর্মবিশ্বাস
হিন্দু
  
৭৭.২৭%
মুসলমান
  
৬.৬৮%
খ্রিস্টান
  
০.৩২%
অন্যান্য
  
১৫.৭৩%

২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের হিন্দুদের মোট সংখ্যা ১১৯,৫৬১; যা মোট জনসংখ্যার ৭৭.২৭ শতাংশ। মুসলমানের সংখ্যা ১০,৩৪৪ (৬.৬৮ শতাংশ), খ্রিস্টানের সংখ্যা ৪৯৫ (০.৩২ শতাংশ) এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ২৪,৩৩৬ (১৫.৭৩ শতাংশ)।[২০] অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে আছে আদিবাসী, মারাং বোরো, সাঁওতাল, সারনাথ, সারি ধর্ম, সর্না, আলছি, বিদিন, সন্ত, সায়েভধর্ম, সেরান, সরন, সারিন, খেরিয়া,[২১] ও অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়।[২০]

গ্রামীণ দারিদ্র[সম্পাদনা]

২০০৫ সালে গ্রামীণ পরিবার সমীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরুলিয়া জেলার ৩২.৮৫ শতাংশ পরিবার দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে।[২২] বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২ সালে পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদউত্তর দিনাজপুর জেলার ৩১-৩৮ শতাংশ পরিবার দারিদ্র সীমার নিচের রয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গে সকল জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ হার। উল্লেখ্য, এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ২০ শতাংশই দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে।[২৩]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

জীবিকা[সম্পাদনা]

আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে
জীবিকা

  কৃষক (২৭.০৮%)
  খেতমজুর (৪১.৩৩%)
  কুটিরশিল্পের শ্রমিক (১২.৬১%)
  অন্যান্য শ্রমিক (১৮.৯৮%)

২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী, আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের সকল শ্রমিকদের মধ্যে ১৯,৯০৪ জন কৃষক (২৭.০৮ শতাংশ), ৩০,৩৭৪ জন খেতমজুর (৪১.৩৩ শতাংশ), ৯,২৬৬ জন কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত (১২.৬১ শতাংশ) এবং ১৩,৯৫৩ জন অন্যান্য ক্ষেত্রের শ্রমিক (১৮.৯৮ শতাংশ)।[২৪] ব্লকে মোট শ্রমিকের সংখ্যা ৭৩,৪৯৭ (মোট জনসংখ্যার ৪৭.৫০ শতাংশ) এবং অ-শ্রমিকের সংখ্যা ৮১,২৩৯ (মোট জনসংখ্যার ৫২.৫০ শতাংশ)।[২৫]

টীকা: জনগণনার নথিতে সেই ব্যক্তিকেই কৃষক বিবেচনা করা হয়েছে, যিনি স্বীয়/সরকারি/প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানাধীন জমিতে কৃষিকাজ/তত্ত্বাবধানের কাজে নিযুক্ত। যে ব্যক্তি অন্যের জমিতে অর্থ বা সম্পদ বা অংশীদারিত্বের বিনিময়ে শ্রমদান করেন, তাঁকে খেতমজুর ধরা হয়। কুটিরশিল্প সেই শিল্পকেই বলা হয়, যাতে পরিবারে বা গ্রামের মধ্যে এক বা একাধিক সদস্য যুক্ত এবং যে শিল্প ১৯৪৮ সালের কারখানা আইন মোতাবেক কারখানা হিসেবে নথিভুক্ত হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন নয়। অন্যান্য শ্রমিকেরা হলেন কৃষক, খেতমজুর বা কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক ভিন্ন অন্য উপায়ে যাঁরা অর্থনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। এঁদের মধ্যে আছেন কারখানা, খনি, বন, পরিবহণ ও অফিসের কর্মচারী, যাঁরা ব্যবসা ও বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত, শিক্ষক, বিনোদনশিল্পী প্রমুখ।[২৬]

পরিকাঠামো[সম্পাদনা]

২০১১ সালে প্রকাশিত ডিস্ট্রিক্ট সেন্সাস হ্যান্ডবুক, পুরুলিয়া-য় প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ৯৫টি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম রয়েছে। ৯২টি গ্রামে (৯৬.৮৪ শতাংশ) বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। ৯৪টি গ্রামে (৯৮.৯৫ শতাংশ) পানীয় জলের সরবরাহ রয়েছে। ১৮টি গ্রামে (১৮.৯৫ শতাংশ) ডাকঘর রয়েছে। ৯১টি গ্রামে (৯৫.৭৯ শতাংশ) টেলিফোন সংযোগ (ল্যান্ডলাইন, পাবলিক কল অফিস ও মোবাইল ফোন সহ) রয়েছে। ১৯টি গ্রামে (২০.০০ শতাংশ) পাকা রাস্তা এবং ২৮টি গ্রামে (২৯.৪৭ শতাংশ) পরিবহন সংযোগ (বাস, রেল ও নাব্য জলপথ) রয়েছে। ৫টি গ্রামে (৫.২৬ শতাংশ) ব্যাংক পরিষেবা সুলভ।[২৭]

কৃষি[সম্পাদনা]

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নিম্নোক্ত উপায়ে শ্রেণিবিভক্ত করা হয়: বর্গাদার ০.৭৭ শতাংশ, পাট্টার (নথি) অধিকারী ১১.৫৯ শতাংশ, ছোটো চাষি (১ ও ২ হেক্টর জমির মালিক) ৬.৮১ শতাংশ, প্রান্তিক চাষি (১ একরের কম পরিমাণ জমির মালিক) ২১.০৪ শতাংশ ও খেতমজুর ৫৯.৭৯ শতাংশ।[২৮]

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট সেচিত জমির পরিমাণ ১৫,৫৪৯.৯৮ হেক্টর, যার মধ্যে ১০,৯৮৪.২০ হেক্টর জমির খালের জলে সেচিত, ৩,৭৬৩.৭১ হেক্টর জমি জলাধারের জলে সেচিত, ১০.৫৭ হেক্টর জমি নদী থেকে তোলা জলে সেচিত, ১৯২.২০ হেক্টর জমি খনিত কূপের জলে সেচিত এবং ৫৯৯.৩০ হেক্টর জমি অন্য উপায়ে সেচিত হয়।[২৮]

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ৩৯,০৯৪ হেক্টর জমি থেকে মোট ১০৪,৪২৩ টন আমন ধান (প্রধান শীতকালীন ফসল); ১৭ হেক্টর জমি থেকে ৪৫ টন বোরো ধান; ১৪০ হেক্টর জমি থেকে ২৭০ টন গম; ১২২ হেক্টর জমি থেকে ২২৬ জন ভুট্টা; ১০৭ হেক্টর জমি থেকে ৩,১৭৫ টন আলু; এবং ১৫০ হেক্টর জমি থেকে ৭,৪৬৭ টন আখ উৎপাদিত হয়। এছাড়াও এই ব্লকে মাসকলাই ও সরষে উৎপাদিত হয়।[২৮]

ব্যাংক পরিষেবা[সম্পাদনা]

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ১টি গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যালয় রয়েছে।[২৮]

অনুন্নত অঞ্চল অনুদান তহবিল[সম্পাদনা]

পুরুলিয়া জেলা অনুন্নত অঞ্চল হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় এই জাতীয় অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার কর্তৃক গঠিত অনুন্নত অঞ্চল অনুদান তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য লাভ করে। ২০১২ সালের হিসেব অনুযায়ী, সারা দেশের ২৭২টি জেলা এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত; যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ১১টি জেলা রয়েছে।[২৯][৩০]

পরিবহণ[সম্পাদনা]

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, আশড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ৬টি প্রান্তিক বাস রুট রয়েছে। নিকটবর্তী রেল স্টেশনটি ব্লক সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[২৮]

শিক্ষাব্যবস্থা[সম্পাদনা]

২০১৩-১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, আশড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ১৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬,৬৩৬ জন শিক্ষার্থী, ১৯টি মধ্য বিদ্যালয়ে ২,০৫৮ জন শিক্ষার্থী, ১টি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৫৩ জন শিক্ষার্থী এবং ৯টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩,২৩৮ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এই ব্লকের একটি সাধারণ কলেজে ১,০৫৬ জন শিক্ষার্থী, ১টি পেশাগত/প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানে ১২ জন শিক্ষার্থী এবং বিশেষ ও অচিরাচরিত ধারার ২২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮,৬১৪ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।[২৮]

২০১১ সালের জনগণনার তথ্য অনুযায়ী, আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ৯৬টি জনবসতিপূর্ণ গ্রামের মধ্যে ৬টি গ্রামে একটিও বিদ্যালয় নেই, ৪৪টি গ্রামে দুই বা ততোধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, ৩০টি গ্রামে অন্তত একটি প্রাথমিক ও একটি মধ্য বিদ্যালয় আছে এবং ১১টি গ্রামে অন্তত একটি মধ্য ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[৩১]

২০০৯ সালে আড়শায় প্রতিষ্ঠিত হয় আড়শা কলেজ[৩২]

সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

খ্রিস্টীয় নবম-দশম শতাব্দী নাগাদ দেউলঘাটায় ১৫টি মন্দির ও আরও কয়েকটি ছোটো পূজাস্থান নির্মিত হয়েছিল। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ এখানে এখনও বিদ্যমান তিনটি দীর্ঘাকৃতি মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের ভার গ্রহণ করেছে।[৩৩]

স্বাস্থ্য পরিষেবা[সম্পাদনা]

২০১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, আড়শা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে একটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ২টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। এগুলিতে মোট ৪৪টি শয্যা ও ৪ জন চিকিৎসক সুলভ। ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপকেন্দ্রগুলিতে ৪,০০১ জন রোগী অন্তর্বিভাগে ও ২০৮,৬৭৪ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসার সুযোগ পান।[২৮]

সিরকাবাদে ৩০টি শয্যাবিশিষ্ট সিরকাবাদ গ্রামীণ হাসপাতাল হল এই ব্লকের প্রধান সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র। কাঁটাডিতে (৪টি শয্যাবিশিষ্ট) ও আশড়াতে (১০টি শয্যাবিশিষ্ট) প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে।[৩৪][৩৫]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Historical background"। Purulia District। ২০০৮-০১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৬ 
  2. "Historical Event: Bhasa Andolan"Department of Information and Cultural Affairs। Purulia.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  3. Singh, Vijayita। "Red Corridor to be redrawn"। The Hindu, 25 July 2016। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৬ 
  4. "IAP improving lives in Maoist-affected areas"। Ideas for India। ২ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  5. "Maoists observe 24 hr bandh in five states"। UNI, One India। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  6. "Lalgarh Battle"Frontline। ১৭ জুলাই ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৬ 
  7. "Kishenji's death a serious blow to Maoist movement"The Hindu। ২৫ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৬ 
  8. "Purulia district"Blocks in Purulia district। Purulia district administration। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  9. "District Census Handbook Puruliya" (পিডিএফ)pages 11,12। Directorate of Census Operations West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  10. "District Statistical Handbook 2014 Purulia"Tables 2.1, 2.2। Department of Statistics and Programme Implementation, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২০ 
  11. "District Census Handbook: Puruliya" (পিডিএফ)Map of District Puruliya with CD Block HQs and Police Stations (on the fifth page)। Directorate of Census Operations, West Bengal, 2011। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  12. "Directory of District, Subdivision, Panchayat Samiti/ Block and Gram Panchayats in West Bengal"Purulia - Revised in March 2008। Panchayats and Rural Development Department, Government of West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  13. "C.D. Block Wise Primary Census Abstract Data(PCA)"2011 census: West Bengal – District-wise CD blocks। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  14. "Provisional population totals, West Bengal, Table 4, Puruliya District"Census of India 2001। Census Commission of India। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  15. "Provisional Population Totals, West Bengal. Table 4"Census of India 2001। Census Commission of India। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৬ 
  16. "District Census Handbook Puruliya, Series 20, Part XXA" (পিডিএফ)page 44: Mother tongue। Directorate of Census Operations West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২০ 
  17. "Multilingual Bengal"। The Telegraph, 11 December 2012। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ 
  18. "Kamtapuri, Rajbanshi make it to the list of official languages in Bengal"। Outlook, 28 February 2015। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ 
  19. "Bengal District Gazetteers - Manbhum by H. Coupland, ICS"Section 72, First Published 1911। University of California, San Diego। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  20. "C1 Population by Religious Community"West Bengal। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  21. "ST-14 A Details Of Religions Shown Under 'Other Religions And Persuasions' In Main Table"West Bengal। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  22. "West Bengal Summary"Rural Household Survey 2005। Department of Panchayat & Rural Development, Government of West Bengal। ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২০ 
  23. "West Bengal: Poverty, Growth and Inequality" (পিডিএফ)। World Bank Group। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২০ 
  24. "District Census Handbook Puruliya, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Table 33: Distribution of Workers by Sex in Four Categories of Economic Activity in Sub-district 2011। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২০ 
  25. "District Census Handbook Puruliya, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Table 30: Number and percentage of Main workers, Marginal workers and Non workers by Sex, in Sub-districts, 2011। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২০ 
  26. "District Census Handbook Puruliya, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Census Concepts and Definitions, Page 23। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২০ 
  27. "District Census Handbook, Puruliya, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Page 79, Table 36: Distribution of villages according to availability of different amenities, 2011। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০২০ 
  28. "District Statistical Handbook 2014 Purulia"Tables 8.2, 17.2, 18.2, 18.1, 20.1, 21.2, 4.4, 3.1, 3.3 – arranged as per use। Department of Statistics and Programme Implementation, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২০ 
  29. "Backward Regions Grant Funds: Programme Guidelines" (পিডিএফ)। Ministry of Panchayati Raj, Government of India। ৩০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২০ 
  30. "Backward Regions Grant Fund"Press Release, 14 June 2012। Press Information Bureau, Government of India। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২০ 
  31. "District Census Handbook, Puruliya, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Page 976-77, Appendix I A: Villages by number of Primary Schools and Appendix I B: Villages by Primary, Middle and Secondary Schools। Directorate of Census Operations, West Bengal.। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০২০ 
  32. "Arsha College"। College Admission। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২০ 
  33. "District Census Handbook, Puruliya, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Deulghat - Pages 99-100: Brief Description of Places of Religious, Historical or Archaeological Importance and Places of Tourist Importance of the District। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২০ 
  34. "Health & Family Welfare Department" (পিডিএফ)Health Statistics – Rural Hospitals। Government of West Bengal। ৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০২০ 
  35. "Health & Family Welfare Department" (পিডিএফ)Health Statistics – Primary Health Centres। Government of West Bengal। ২১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০২০