বশীশ্বর সেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বশীশ্বর সেন
১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে বশীশ্বর সেন
জন্ম১৮৮৭
মৃত্যু৩১ আগস্ট ১৯৭১
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণসবুজ বিপ্লব
দাম্পত্য সঙ্গীগারট্রুড এমারসন সেন (স্ত্রী)
পুরস্কারপদ্মভূষণ (১৯৫৭)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রকৃষি বিজ্ঞান
প্রতিষ্ঠানসমূহবিবেকানন্দ গবেষণাগার, আলমোড়া (বর্তমানে বিবেকানন্দ পার্বতীয় কৃষি অনুসন্ধান সংস্থা)
উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টাজগদীশচন্দ্র বসু


বশীশ্বর সেন সংক্ষেপে 'বশী সেন' (১৮৮৭ - ৩১ আগস্ট ১৯৭১) ছিলেন একজন ভারতীয় কৃষি বিজ্ঞানী, যিনি ভারতে সবুজ বিপ্লবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়ে ভারতকে দুর্ভিক্ষের হাত থেকে রক্ষা করেন। এক সময়ে তিনি ছিলেন বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর সহযোগী, সেই সঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত আধ্যাত্মিক চেতনায় সমৃদ্ধ এক ব্যক্তি। [১]

প্রখ্যাত লেখক, ইতিহাসবিদ ও এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গারট্রুড এমারসন সেন ছিলেন তার স্ত্রী। বশীশ্বর হিমালয়ের আলমোড়া অঞ্চলে বিবেকানন্দ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জুলিয়ান হাক্সলি এবং ডিএইচ লরেন্সের মতো বহু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা তার গুণমুগ্ধ ছিলেন। ভগিনী নিবেদিতার সঙ্গে পরিচিত হয়ে  বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর সহযোগী হয়ে কৃষি বিজ্ঞানে গবেষণার বিভিন্ন দিকে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন তেমনই স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে মানব কল্যাণের কর্মে নিজেকে যুক্ত করে ছিলেন। [২]১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তাকে তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণে ভূষিত করে।[৩]

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

বশীশ্বর সেনের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে। পিতা রামেশ্বর সেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের মেধাবী ছাত্র, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, ছিলেন সংস্কৃত ও গণিতের সুপণ্ডিত।  মাতা ছিলেন প্রসন্নময়ী দেবী। তাদের পাঁচ পুত্রের মধ্যে চতুর্থ পুত্র ছিলেন বশীশ্বর। তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা সুরেশ্বর ছিলেন সারদা মায়ের একনিষ্ঠ ভক্ত।[৪] অন্যেরা হলেন- গুণেশ্বর ও মতীশ্বর। তার দুই ভগিনীও ছিল। রামেশ্বরের অকাল মৃত্যুতে সেন পরিবার আর্থিক সংকটে পড়ে। বশীর বিদ্যালয়ের পাঠ সম্পন্ন হয় তার এক দিদির বাড়িতে রাঁচির এক স্কুলে। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে  স্কুল শিক্ষা শেষ করে ভর্তি হন  কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজ, কলকাতা থেকে বিএসসি পাস করেন। কলেজে পড়ার সময় থেকেই বন্ধু বিভূতিভূষণ ঘোষের মাধ্যমে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্গে  ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন। ভগিনী নিবেদিতার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে সংস্পর্শে আসেন স্বামী বিবেকানন্দের প্রথম প্রত্যক্ষ সন্ন্যাসী শিষ্য, 'গুপ্ত মহারাজ' নামে পরিচিত স্বামী সদানন্দের আর বিখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর। বশী ও তার ছোট ভাই মতীশ্বর (ডাক নাম টাবু) অসুস্থ স্বামী সদানন্দকে বহু প্রীতি ও ভালোবাসা নিয়ে সেবকের কাজ করতেন ভগিনী নিবেদিতার আয়োজিত কলকাতার বাগবাজারের বোসপাড়া লেনের এক ভাড়া বাড়িতে। আর পেতেন আধ্যাত্মিক জীবনের প্রকৃত ধারণা, আধ্যাত্ম পথের সন্ধান। শ্রীরামকৃষ্ণের উদ্ধৃত উপমা সহ গল্প, স্বামী বিবেকানন্দের জীবনের কথা গল্পের মতো করে শুনিয়ে দিয়ে যান প্রকৃত গুরুর শিক্ষা, আনন্দ খনির সন্ধান, মানুষের পূর্ণতার বিকাশে করণীয় বিষয়। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি স্বামী সদানন্দের জীবনাবসান হলে বশী তার পূতস্মৃতি বিজড়িত বাসাতেই থেকে যান। একসময় তিনি স্বামী সারদানন্দের সঙ্গে সারদা মায়ের সঙ্গে দেখা করেন তার কয়েকটি ছবিও তোলেন। স্বামী সারদানন্দ বশীকে মায়ের কাছে দীক্ষার জন্য প্রার্থনা করতে বলায়, বশী নীরব থাকেন, কিন্তু মা সারদা সব বুঝে বলেন বশীর মন্ত্রদীক্ষার প্রয়োজন নেই, কেননা স্বামী সদানন্দের বিগত দুবছরের সাহচর্যে বশীর দৃঢ় প্রত্যয় হয়- 'আধ্যাত্মজীবন অন্তমুর্খ'। অন্যদিকে বিজ্ঞান গবেষণায় তিনি বিশেষ ভাবে উৎসুক্য ছিলেন। স্বামী ব্রহ্মানন্দের উপদেশে তিনি বিজ্ঞানচর্চাই বেছে নেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর সবচেয়ে প্রিয় ছাত্র তার সহযোগী হয়ে গেলেন। বোস ইনস্টিটিউটে বেশ কয়েক বছর কাজ করেন।  আচার্যের বিশেষ সহযোগী হিসাবে বিশ্বভ্রমণে যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। কিছুদিন লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজে কাজ করেন এবং ১৯২০ এর শেষের দিকে ব্রুস্টার পরিবারের সহায়তায় ইংরেজ কবি ও ঔপন্যাসিক ডেভিড হারবার্ট লরেন্সের সঙ্গে পরিচিত হন।[৫]

১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি আমেরিকান বিজ্ঞানী গ্লেন ওভারটনের আমন্ত্রণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতে ফিরে আসার পর, বশীশ্বর স্বাধীনভাবে গবেষণা শুরু করেন। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দের ৪ জুলাই বাগবাজারের বোসপাড়া লেনে তার ছোট রান্নাঘরেই কৃষি বিষয়ক গবেষণার জন্য স্থাপন করেন - বিবেকানন্দ  ল্যাবরেটরি। এই সময়েই স্বামী বিবেকানন্দের এক আমেরিকান শিষ্যা সিস্টার ক্রিস্টিন বা ক্রিস্টিন গ্রিনস্টিডেল ভারতে  আসেন এবং ৮ নম্বর বোসপাড়া লেনে বশীর বাড়িতে থাকেন। পরে বশীশ্বর তার গবেষণাগার আলমোড়ার এক ভাড়া বাড়ি কুন্দন হাউসে নিয়ে আসেন। বাড়িটির ভাড়া দিতেন জোসেফিন ম্যাকলিওডসিস্টার ক্রিস্টিনও ভারতে শেষ দুবছর এখানেই থেকেছেন।

সিস্টার ক্রিস্টিনের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে বশী তাকে নিয়ে যান নিউ ইয়র্কে, কিন্তু তার সেখানেই মৃত্যু হয়। [৬]আলমোড়াতেই বশীশ্বরের সঙ্গে সাক্ষাত হয় শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, রয়্যাল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটির ফেলো, সোসাইটি অফ ওম্যান জিওগ্রাফার্সের প্রতিষ্ঠাতা এবং এশিয়া ম্যাগাজিনের সম্পাদক ইতিহাসবিদ গারট্রুড এমারসনের। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ২ নভেম্বর বশীশ্বর এবং গারট্রুড এমারসনকে বিবাহ করেন এবং তারা কুন্দন হাউসেই থাকতেন। এখানে বিভিন্ন সময়ের তাদের এখানে যারা এসেছিলেন, তারা হলেন - নোবেলজয়ী বিশ্বকবি  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু, জুলিয়ান হাক্সলি, খ্যাতনামা নৃত্যশিল্পী উদয় শঙ্কর , রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তৎকালীন অধ্যক্ষ স্বামী বিরজানন্দ, কার্ল জুল প্রমুখেরা।

কুন্দন হাউস, আলমোড়ায় বশীশ্বর সেনের বাসভবন

১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে বশীশ্বর রোম্যাঁ রোলাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করেন, রামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের জীবন নিয়ে আলোচনা করেন।

১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে বার্লিনে আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে দেখা করেন এবং বিজ্ঞান ও ধর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। [২]

বৈজ্ঞানিক গবেষণা[সম্পাদনা]

১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় পঞ্চাশের মন্বন্তর যে করাল থাবা দেখা দিয়েছিল, সে সময় বশীশ্বর সেন তার 'উদ্ভিদ কোষের গবেষণা'র অভিমুখ পরিবর্তন করেন। মনোযোগ দেন কৃষি ও খাদ্যশস্যের উৎপাদনশীলতার প্রতি। ব্রিটিশ শাসনে জর্জরিত ভারতবাসীর অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসাবে অনেক আগেই যা স্বামী বিবেকানন্দ চিহ্নিত করেছিলেন। [২]তার কৃষি গবেষণায় ফলপ্রসূ হয়েছিল উন্নত প্রজাতির বীজ উৎপাদনে, উদ্ভিদ প্রজননে।  ব্যবহারিক ও ফলিত ক্ষেত্রে তার গবেষণায় মধ্যে এসেছিল উদ্ভিদ পরিচিতি, উদ্ভিদ প্রজনন এবং ভুট্টা, জোয়ার, বাজরা এবং পেঁয়াজের হাইব্রিড বীজ উৎপাদন। তিনি তথাকথিত স্থানীয় ফসলের জাত উদ্ভাবনের জন্য "ট্রফিম লাইসেঙ্কো"র পদ্ধতি অনুসরণ করেন । [৭] তিনি বিবেকানন্দ গবেষণাগারে, তিনি উন্নত ভুট্টার বীজ এবং হাইব্রিড পেঁয়াজ উৎপাদনে সফল হন। তাঁর এই অগ্রণী কাজের ফলে ভারতে সবুজ বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল।[৮]

পুরস্কার ও  সম্মাননা[সম্পাদনা]

তিনি ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত  সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণ লাভ করেন [৯] এবং কৃষিতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে  ওয়াটমুল পুরস্কারে ভূষিত হন। [৩]উত্তর প্রদেশ সরকার তার কাজের সম্প্রসারণের জন্য হাওয়ালবাগে জমি বরাদ্দ করেছিলেন। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে উত্তর প্রদেশ সরকার গবেষণাগারটি অধিগ্রহণ করে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য ২১৫ একর জমি বরাদ্দ করে। [১০]

অন্যান্য কাজকর্ম[সম্পাদনা]

১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দ  বশীশ্বর সেন ও তার স্ত্রী গারট্রুড এমারসন আলমোড়ায় উদয়শঙ্কর সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু কেন্দ্রটি চলেছিল মাত্র পাঁচ বছর। স্বামী বিবেকানন্দের প্রথম প্রত্যক্ষ শিষ্য স্বামী সদানন্দ, রামকৃষ্ণ মঠ ও  মিশনের প্রথম অধ্যক্ষ স্বামী ব্রহ্মানন্দ প্রমুখের দ্বারা অনুপ্রাণিত বশীশ্বর আধ্যাত্মিক চেতনায় সমৃদ্ধ ছিলেন। তাদের ভাবাদর্শে তার কর্মময় জীবন এক দৃষ্টান্তস্বরূপ। তার রচিত প্রবন্ধ -  "বিজ্ঞান এবং ধর্ম" শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে।[১১]

পরবর্তী জীবন[সম্পাদনা]

বশীশ্বর সেন ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৩১ আগস্ট আলমোড়ার রানীক্ষেত সামরিক হাসপাতালে পরলোক গমন করেন।

তাঁর মৃত্যুর পর, বিবেকানন্দ ল্যাবরেটরি ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা  হিসাবে  ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (আইসিএআর) তথা ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদের মধ্যে নিবেশিত এবং এর নাম পরিবর্তন করে  রাখা হয় -  "বিবেকানন্দ পার্বতীয় কৃষি অনুসন্ধান সংস্থা"।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মা সারদার স্মৃতিজড়িত বশী সেনের বাড়ির দায়িত্ব হাতে নিক সরকার"। ২০২২-০৬-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৫ 
  2. Boshi Sen—Scientist and Karmayogi, by Hironmoy Mukherjee, Bulletin 2009, Ramakrishna Mission Institute of Culture
  3. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট  ২০১৬, পৃষ্ঠা ৪৫৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  4. "Sri Sri Matri Mandir::"www.rkmjoyrambati.org। ২৪ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৫ 
  5. "Basiswar (Boshi) Sen"। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৬ 
  6. Sri Sarada Society Notes, Sprint 2008
  7. Sen, Boshi; Joshi, H. C. (১৯৫৯)। "Effect of Irradiation with Thermal Neutrons on Control and Vernalised Seeds of Mustard"Agronomy Journal (ইংরেজি ভাষায়)। 51 (8): 460–462। আইএসএসএন 0002-1962ডিওআই:10.2134/agronj1959.00021962005100080004x 
  8. "History: Vivekananda Laboratory"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৩ 
  9. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫ 
  10. "History : Vivekananda Laboratory"। Archived from the original on ২০১৬-০৩-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৬ 
  11. "Science and Religion, by Boshi Sen"। The Forum। ডিসেম্বর ১৯৩৫।