জনগণের গণতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জনগণের গণতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র (সরলীকৃত চীনা: 人民民主专政; প্রথাগত চীনা: 人民民主專政; ফিনিন: Rénmín Mínzhǔ Zhuānzhèng) হলো একটি বাক্যাংশ যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) তৎকালীন চেয়ারম্যান মাও সেতুং দ্বারা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের (পিআরসি) সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন।[১] এর ধারণা ও সরকারের রূপটি জনগণের গণতন্ত্রের অনুরূপ, যা সোভিয়েত ইউনিয়নের নির্দেশনায় মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয় কমিউনিস্ট-নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রসমূহে বাস্তবায়িত হয়েছিল।

"জনগণের গণতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্রের" ভিত্তি হলো সিসিপি ও রাষ্ট্র জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে ও জনগণের জন্য কাজ করে, কিন্তু সর্বহারা শ্রেণির একনায়কতন্ত্র রক্ষায় প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অধিকারী এবং শক্তি প্রয়োগও করতে পারে।[২] জনগণের গণতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্রের ধারণার অন্তর্নিহিত ধারণাটি হলো যে, সরকারকে "বুর্জোয়াদের একনায়কতন্ত্রে" ঢলে পড়া থেকে বিরত রাখতে দলের সার্বভৌম শাসনে নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। বুর্জোয়াদের একনায়কতন্ত্র একটি উদার গণতন্ত্র যার অর্থ রাজনীতিবিদরা বুর্জোয়াদের স্বার্থে কাজ করেন, যেটির বিরোধিতা উক্ত বাক্যাংশে করা হচ্ছে। কারণ এটি হবে সিসিপির সমাজতান্ত্রিক সনদের বিরোধী।

উদ্ভব[সম্পাদনা]

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠার ২৮ তম বার্ষিকীর স্মরণে ৩০ জুন, ১৯৪৯ তারিখে বাক্যাংশটির সবচেয়ে পরিচিত ব্যবহার হয়েছিল। জনগণের গণতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্রের প্রতি তাঁর বক্তৃতায়, চেয়ারম্যান মাও একটি জনগণের গণতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র সম্পর্কে তাঁর ধারণাগুলো তুলে ধরেন সেই সাথে তিনি সমালোচনার কিছু খণ্ডন প্রদান করেছিলেন যা তিনি ধারণা করেছিলেন যে তিনি মুখোমুখি হতে পারেন।[৩]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "CONSTITUTION OF THE PEOPLE'S REPUBLIC OF CHINA" [গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সংবিধান]। পিপলস ডেইলি আউটলাইন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৩The People's Republic of China is a socialist state under the people's democratic dictatorship led by the working class and based on the alliance of workers and peasants.” [গণপ্রজাতন্ত্রী চীন হলো একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র যা শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বে জনগণের গণতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্রের অধীনে এবং শ্রমিক ও কৃষকদের জোটের উপর ভিত্তি করে।] 
  2. মরিস, মাইসনার, মাওস চায়না অ্যান্ড আফটার ৩য় সংস্করণ, (নিউইয়র্ক: দ্য ফ্রি প্রেস, ১৯৯৯), পৃ. ৫৮-৬০।
  3. ম্যাকফারকুহার, রড্রিক; ফেয়ারব্যাংক, জন কিং (১৯৯১)। ক্যামব্রিজ হিস্ট্রি অফ চায়না: দ্য পিপলস রিপাবলিক, পার্ট ২ : রিভোলিউশন উইথিন দ্য চাইনিজ রিভোলিউশন, ১৯৬৬-১৯৪২। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃ. ৬।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]