রাজগান মসজিদ
রাজগান মসজিদ | |
---|---|
راجگان مسجد | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থা | ঈদের নামাজ ব্যতীত পরিত্যক্ত |
অবস্থান | |
অবস্থান | খানপুর, খাইবার পাখতুনখোয়া, পাকিস্তান |
স্থানাঙ্ক | ৩৩°৪৮′৫৭.৪″ উত্তর ৭২°৫৬′১৭.৩″ পূর্ব / ৩৩.৮১৫৯৪৪° উত্তর ৭২.৯৩৮১৩৯° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | মুঘল স্থাপত্য |
সৃষ্টিকারী | রাজা সুলতান জেহানদাদ খান |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | ১৮৭২ |
বিনির্দেশ | |
সম্মুখভাগের দিক | পূর্ব |
ধারণক্ষমতা | ১০০০ |
মিনার | ৫ |
উপাদানসমূহ | ইট, পাথর এবং কাঠ |
উচ্চতা | ৬০৭ মি (১,৯৯১ ফু) |
রাজগান মসজিদ (উর্দু: راجگان مسجد) পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের খানপুরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি খানপুর বাঁধ জলাধারের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত। এটি স্থানীয়ভাবে 'রাজন কি মসজিদ' (রাজাদের মসজিদ) নামে পরিচিত এবং সাধারণত ঈদের জামাত ছাড়া নির্জন থাকে। এটি ইসলামাবাদ থেকে ৫০.১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ইসলামাবাদ থেকে এই মসজিদে যেতে ৯০ মিনিট সময় লাগে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
প্রবীণ সংসদ সদস্য এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ এর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী রাজা সিকান্দার জামান খানের দাদা রাজা সুলতান জেহানদাদ খান ১৮৭২ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন। রাজা সুলতান এই মসজিদ ছাড়াও পুরাতন খানপুর গ্রামেরও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, যা জলাধারের বর্তমান স্থানে একসময় বিদ্যমান ছিল।[১]
১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত যখন খানপুর বাঁধ নির্মাণ শুরু হয় এবং কাছাকাছি অন্যান্য মসজিদ নির্মিত হচ্ছিলো তখন মসজিদটি এই এলাকায় ধর্মীয় কার্যকলাপের একমাত্র কেন্দ্র ছিল।[২]
নির্মাণকাজ[সম্পাদনা]
এই মসজিদটি নির্মাণের জন্য দিল্লি থেকে ইসলামি শিল্পের স্থপতিদের আনা হয়। তারা প্রধান উপকরণ হিসাবে ইট এবং কালো পাথর ব্যবহার করে। তবে দরজা, আলমারি এবং ছাদের জন্য লীপা উপত্যকা থেকে কাঠ আমদানি করা হয়। ভবনটি ইসলামি স্থাপত্যশৈলী অনুসরণ করে নির্মাণ করা হয়। এতে চারটি মিনার রয়েছে (দুটি বড় এবং দুটি ছোট)। মসজিদটির কেন্দ্রে গম্বুজ আকৃতির একটি ছোট মিনার স্থাপন করা হয়। এছাড়াও এতে একটি বড় প্রার্থনা হল এবং একটি জীর্ণ ইটের চত্বর রয়েছে।
মসজিদে চারটি খিলানযুক্ত প্রবেশদ্বার এবং প্রধান ফটক রয়েছে। যেগুলো মুঘল সম্রাট শাহ জাহান দ্বারা ১৬৫০ থেকে ১৬৫৬ সালে নির্মিত দিল্লির জামে মসজিদের প্রতিলিপি হিসেবে তৈরি করা হয়।
সীমানা প্রাচীর নির্মাণে ব্যবহৃত কালো পাথরের উৎপত্তি নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ বলে যে, এটি ভারত থেকে আমদানি করা হয় এবং অন্যরা দাবি করে, এটি নিকটবর্তী শহর তক্ষশীলা থেকে আসে।[১]
ধারণক্ষমতা[সম্পাদনা]
এটি প্রায় ১০০০ উপাসকদের থাকার জন্য নির্মিত হয়। বর্তমানে, এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। তবে, কখনো কখনো এই মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
বর্তমান অবস্থা[সম্পাদনা]
মসজিদটি সাধারণত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পানি দ্বারা বেষ্টিত থাকে। এসময় খানপুর লেকেও পানি কানায় কানায় ভর্তি থাকে। এই স্যাঁতসেঁতে অবস্থা মসজিদের কাঠামোর জন্য অনুকূল নয়। উপরন্তু, খোদাই করা কাঠের দরজা চুরি হয়ে গেছে। ফলে, মাঝে মাঝে বিপথগামী প্রাণীরা মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে।[১] মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানটি খুবই শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে এবং অনেকগুলো নামফলক ধ্বংসসহ পুরোনো কবরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। স্থানীয় রাখালরা বর্ষার দিনে তাদের গবাদি পশুকে মসজিদের ভিতরে রাখে এবং গোবর, আবর্জনা দিয়ে পুরো এলাকা জুড়িয়ে দেয়। মসজিদে সরাসরি পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। তবে মসজিদ সংলগ্ন পানি সরবরাহের লাইন এবং স্নানকক্ষের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। এছাড়া মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে ইমামের বাড়ি দেখা যায়।[২]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ "139-year-old mosque: Masjid Rajgan falls 'prey' to neglect"। The Express Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-১২-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০২।
- ↑ ক খ Yasin, Aamir (২০১৬-০৩-১৩)। "Revisiting Khanpur's long forgotten lakeside mosque"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০২।