নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চল

স্থানাঙ্ক: ২৬°১৯′৪৬″ উত্তর ৯৫°২৬′৪১″ পূর্ব / ২৬.৩২৯৪৪° উত্তর ৯৫.৪৪৪৭২° পূর্ব / 26.32944; 95.44472
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চল
နာဂကိုယ်ပိုင်အုပ်ချုပ်ခွင့်ရဒေသ
স্ব-প্রশাসিত অঞ্চল
নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চলের পতাকা
পতাকা
নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চলের অফিসিয়াল লোগো
সিলমোহর
মিয়ানমারে নাগা অঞ্চলটি হালকা নীল রঙে দেখা যাচ্ছে = জনপদের সংখ্যা
মিয়ানমারে নাগা অঞ্চলটি হালকা নীল রঙে দেখা যাচ্ছে = জনপদের সংখ্যা
দেশ মিয়ানমার
অঞ্চল সাগাইং অঞ্চল
রাজধানীলাহে
সরকার
 • চেয়ারপার্সনকে হোসাই
জনসংখ্যা (২০১৪)[১]
 • মোট১,১৬,৮২৮
বিশেষণনাগা
ওয়েবসাইটনাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চল

নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চল (বর্মী: နာဂကိုယ်ပိုင်အုပ်ချုပ်ခွင့်ရဒေသ [nàɡa̰ kòbàɪɰ̃ ʔoʊʔtɕʰoʊʔ kʰwɪ̰ɰ̃ja̰ dèθa̰]) হল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের নাগা পাহাড় এলাকার একটি স্ব-প্রশাসিত অঞ্চল। এর প্রশাসনিক রাজধানী হল লাহে শহর।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চলটি মিয়ানমারের ২০০৮ সালের সংবিধানের শর্ত অনুসারে তৈরি করা হয়েছিল।[৩] ২০ আগস্ট ২০১০ তারিখের আদেশ দ্বারা এর আনুষ্ঠানিক নাম ঘোষণা করা হয়।[৪][২]

আগস্ট ২০১৬ সালে হামের প্রাদুর্ভাবে ৪৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।[৫][৬] দুর্বল স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কারণে হামের টিকা দেওয়ার অভাবে এই প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে।[৭]

সরকার ও রাজনীতি[সম্পাদনা]

নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চলটি একটি নেতৃস্থানীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়, যেটিতে কমপক্ষে দশজন সদস্য থাকে ও আঞ্চলিক লুত্তাও (আইনসভা) সহ এতে প্রতিটি এলাকা থেকে নির্বাচিত সদস্য এবং সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক মনোনীত সদস্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। নেতৃস্থানীয় সরকার কার্যনির্বাহী ও আইনি উভয় কার্য সম্পাদন করে এবং এর চেয়ারপার্সন পদটি বর্তমানে কে হসাই এর কাছে রয়েছে।[৮] নগর ও গ্রামীণ উন্নয়ন, রাস্তা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং জনস্বাস্থ্য সহ নীতির দশটি ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় সরকারের দক্ষতা রয়েছে।[৯]

প্রশাসনিক বিভাগ[সম্পাদনা]

নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চলের জনপদ
  লাহে
  লেশি
  নান্যুন

অঞ্চলটি তিনটি জনপদ নিয়ে গঠিত:[১০]

  • লাহে
  • লেশি
  • নান্যুন

উপজনপদ

  • ডনহি
  • টানপার্কওয়ে
  • মোবাইংলুক
  • পানসাং
  • সোনেমারা

নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চল তৈরির আগে তিনটি জনপদই আগে হাকামতি জেলার অংশ ছিল।

২০১৫ সালে হাকমতি ও হোমালিন জনপদ নাগা স্ব-প্রশাসিত অঞ্চলে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়। নাগারা এই প্রস্তাবের প্রতি স্বাগত জানালেও জনপদগুলোর অন্যান্য নৃগোষ্ঠী এর বিরোধিতা করে।[১১]

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

অঞ্চলটি নাগাদের দ্বারা স্ব-শাসিত হওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। মায়ানমারের নাগা জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশ খ্রিস্টান এবং এক-তৃতীয়াংশ থেরবাদ বৌদ্ধ ধর্ম পালন করে।[১২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sagaing Region। The 2014 Myanmar Population and Housing Census। 3–E। Naypyitaw: Ministry of Immigration and Population। মে ২০১৫। পৃষ্ঠা 17। 
  2. Xinhua Staff (21 August 2010) "Myanmar re-designates areas under new constitution ahead of election" People's Daily Online, last accessed 5 October 2010
  3. "Online Burma Library > Main Library > Law and Constitution > Constitutional and parliamentary processes > National constitutions, draft constitutions, amendments and announcements (texts)"www.burmalibrary.org। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  4. "တိုင်းခုနစ်တိုင်းကို တိုင်းဒေသကြီးများအဖြစ် လည်းကောင်း၊ ကိုယ်ပိုင်အုပ်ချုပ်ခွင့်ရ တိုင်းနှင့် ကိုယ်ပိုင်အုပ်ချုပ်ခွင့်ရ ဒေသများ ရုံးစိုက်ရာ မြို့များကို လည်းကောင်း ပြည်ထောင်စုနယ်မြေတွင် ခရိုင်နှင့်မြို့နယ်များကို လည်းကောင်း သတ်မှတ်ကြေညာ"Weekly Eleven News (বর্মি ভাষায়)। ২০১০-০৮-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২৩ 
  5. "Measles death toll reaches 44 in Naga | Eleven Myanmar"www.elevenmyanmar.com। ১৯ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৬ 
  6. "WHO doctors in Myanmar's Naga areas identify 'mystery disease' – Eastern Mirror"www.easternmirrornagaland.com। ৬ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৬ 
  7. "Myanmar (02): (SA) fatal, measles conf"www.promedmail.org (Archive Number: 20160806.4398118)। International Society for Infectious Diseases। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৬ 
  8. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২২ 
  9. "Nagaland: A frontier, for now"। ৯ এপ্রিল ২০১৯। 
  10. ပြည်ထောင်စုသမ္မတမြန်မာနိုင်ငံတော် ဖွဲ့စည်းပုံအခြေခံဥပဒေ (၂၀၀၈ ခုနှစ်) (বর্মি ভাষায়)। ২০০৮। ২০১৫-১১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  11. "Naga zone expansion plan sparks protests, petitions | The Myanmar Times"। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২২ 
  12. "The Naga tribes of Myanmar - The Boston Globe"The Boston Globe। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]