মহাসাংঘিক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাঁচীর সিংহ মূর্তি। এই অঞ্চলে চৈতিক মহাসাংঘিক উপসম্প্রদায়ের প্রাধান্য ছিল।

মহাসাংঘিক (সংস্কৃত: महासांघिक mahāsāṃghika; ঐতিহ্যগত চীনা: 大眾部; পিনয়িন: Dàzhòng Bù, আক্ষরিক অর্থে "মহৎ সংঘ,") ছিল প্রাচীন ভারতের একটি আদি বৌদ্ধ সম্প্রদায়

মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ের উত্থানের অন্যতম কারণ ছিল এদের সংশোধিত বিনয় সাহিত্য প্রাচীন সংস্করণগুলিকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছিল। অনেক গবেষকের মতে, মহাযান বৌদ্ধধর্মের আদি বিকাশের সঙ্গে মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ের যোগসূত্র রয়েছে।

স্থান[সম্পাদনা]

মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ের আদি কেন্দ্র ছিল মগধ। কিন্তু তাঁরা মথুরাকারলির মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রেও অবস্থান করতেন।[১] কুক্কুটিকগণ বারাণসীপাটলীপুত্র সহ পূর্ব ভারতে অবস্থান করতেন।[২] একব্যহারকলোকোত্তরবাদ উপসম্প্রদায়ের অবস্থান ছিল পেশোয়ার (খ্রিস্টপূর্ব ২০০ অব্দ) এবং বাহুশ্রুতীয় উপসম্প্রদায়ের অবস্থান ছিল কোশল

চৈতিক শাখার কেন্দ্র ছিল অন্ধ্র অঞ্চল (বিশেষত অমরাবতীনাগার্জুনকোন্ডা। পূর্বশৈল, অপরশৈল, রাজগিরিক ও সিদ্ধার্থিকেরা ছিল এই শাখার অন্তর্গত। শেষপর্যন্ত মধ্যদেশ প্রজ্ঞাপ্তিবাদীদের অবস্থানস্থল হয়ে ওঠে।[৩] অমরাবতী, নাগার্জুনকোন্ডা ও যজ্ঞায়াপেটা সহ নিম্ন কৃষ্ণা উপত্যকার প্রাচীন বৌদ্ধ কেন্দ্রগুলি সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর।[৪]

অজন্তা গুহা, ইলোরা গুহাকরলা গুহার গুহামন্দিরগুলির মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত।[৫]

উৎস[সম্পাদনা]

অধিকাংশ সূত্রের মতে, মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ের উৎস দ্বিতীয় বৌদ্ধ সঙ্গীতি। দ্বিতীয় সঙ্গীতি সম্পর্কে প্রথাগত মতগুলি অস্পষ্ট। তবে সকলেই মনে করেন, এই সঙ্গীতির সামগ্রিক ফলস্রুতি সংঘের প্রথম বিভাজন। এই সঙ্গীতিতেই বৌদ্ধ সংঘ স্থবির ও মহাসাংঘিকে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। যদিও বিভাজনের কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায় না।[৬] অ্যান্ড্রু স্কিলটনের মতে, পরস্পরবিরোধী গল্পগুলির সমস্যা সমাধান করা যায় মহাসাংঘিক শারিপুত্রপরিপ্রচ্ছা-র মাধ্যমে। এটিই বিভাজন সম্পর্কে সবচেয়ে পুরনো বিদ্যমান গল্প।[৭] এই গল্প অনুসারে, বিনয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে পাটলিপুত্রে আয়োজিত হয় এই সঙ্গীতি। মহাসংঘ বা সিংহভাগ সদস্য স্থবির বা সংখ্যালঘু অংশের বিনয়ের শাসন মানতে অস্বীকার করলে এই বিভাজন ঘটে।[৭] মহাসাংঘিকরা তাই স্থবিরদের একটি বিচ্ছিন্ন শাখা মনে করে। মহাসাংঘিকদের মতে, স্থবিররা মূল বিনয়ে পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন।[৮]

গবেষকরা সাধারণত বিনয়কে কেন্দ্র করে মতবিরোধের তত্ত্বটি মেনে নেন এবং বলেন মহাসাংঘিকদের গল্পটি তাদের বিনয় ধর্মগ্রন্থগুলি সমর্থন করে। স্থবিরদের বিনয়গুলিতে মহাসাংঘিক বিনয়ের থেকে অনেক বেশি নিয়মাবলি রয়েছে।[৭] আধুনিক গবেষকরা তাই মহাসাংঘিকদের বিনয়কে প্রাচীনতম বিনয় মনে করেন।[৭] স্কিলটনের মতে, ভবিষ্যতের গবেষকেরা হয়তো দেখবেন থেরবাদ সম্প্রদায়ের থেকে মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থগুলি থেকেই প্রাচীন ধর্ম-বিনয় অনুধাবনে বেশি সাহায্য করছে।[৮]

রূপ ও ভাষা[সম্পাদনা]

রূপ[সম্পাদনা]

বৌদ্ধধর্মের অষ্টমঙ্গল বা আটটি পবিত্র চিহ্ন

১৪৮ থেকে ১৭০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পার্থিয়ান সন্ন্যাসী অ্যান শিগাও চীনে এসেছিলেন। তিনি একটি গ্রন্থ অনুবাদ করেছলেন যেখানে সন্ন্যাসীদের বস্ত্রের রঙের (সংস্কৃত: কষায়)। এই বস্ত্র পাঁচটি প্রধান ভারতীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায় ব্যবহার করত। এর নাম ছিল “দা বিকুই সাঙ্কিয়ান ওয়েই” (চীনা:大比丘三千威儀).[৯] পরবর্তীকালে অনূদিত শারিপুত্রপরিপ্রচ্ছ নামে অন্য একটি গ্রন্থে একই তথ্যসম্বলিত একই ধরনের পঙ্‌ক্তি দেখা যায়।[৯] উভয় সূত্রেই মহাসাংঘিকদের হলুদ বস্ত্রধারী বলা হয়েছে।[৯] শারিপুত্রপরিপ্রচ্ছ অনুরূপ পংক্তিটি হল:[১০]

মহাসাংঘিক সম্প্রদায় মনোযোগ-সহকারে সংকলিত সূত্রাবলি পাঠ করে এবং সেগুলির সত্য অর্থ শিক্ষা দেয়। কারণ, তারাই সূত্র ও কেন্দ্র। তারা হলুদ বস্ত্র পরিধান করে।

হলুদ কাপড়ের নিম্নাংশ আঁটোসাঁটোভাবে বাঁদিকে তোলা থাকে।[১১]

তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের দুজোম রিংপোচের মতে, মহাসাংঘিক সন্ন্যাসীর বস্ত্র সাতটির বেশি অংশে সেলাই করা থাকে। তবে এই অংশের সঙ্গে তেইশের বেশি হয় না।[১২] কাপড়ে শ্রীবৎস বা অন্তহীন গিঁট এবং শঙ্খের প্রতীক আঁকা থাকে। এটি বৌদ্ধধর্মে অষ্টমঙ্গল বা আটটি পবিত্র চিহ্নের দুটি চিহ্ন।[১২]

ভাষা[সম্পাদনা]

তিব্বতি ঐতিহাসিক বুটন রিংচেন ড্রাব (১২৯০-১৩৬৪) লিখেছিলেন যে, মহাসাংঘিক সম্প্রদায় প্রাকৃত, সর্বাস্তিবাদীরা সংস্কৃত, স্থবিরবাদীরা পৈশাচীসম্মিতীয়রা অপভ্রংশ ব্যবহার করে।[১৩]

মতবাদ ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

বোধিসত্ত্ব-পরিবেষ্টিত গৌতম বুদ্ধ। চতুর্থ গুহা, অজন্তা
হাতির মোটিফের উপর বুদ্ধ। কারলা গুহা, মহারাষ্ট্র, ভারত
প্রথম গুহা, অজন্তা, মহারাষ্ট্র, ভারত।

প্রাকৃত ও অতিপ্রাকৃত[সম্পাদনা]

মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ের মতে, বুদ্ধের শিক্ষাকে সত্যের দুটি প্রধান ধাপে বুঝতে হবে: একটি আপেক্ষিক বা গতানুগতিক (সংস্কৃত: সংবৃতি) সত্য, এবং অন্যটি চরম (সংস্কৃত: পরমার্থ) সত্য।[১৪] মহাসাংঘিকরা মনে করে, বুদ্ধের শিক্ষার পরমার্থ অর্থ ছিল “বাক্যের অতীত” এবং বাক্য শুধুমাত্র ধর্মের গতানুগতিক প্রকাশ মাত্র।[১৫] কে. ভেঙ্কট রামানন লিখেছেন:[১৬]

অস্তিত্বের মৌলিক উপাদানগুলির অনিত্যতার (ধর্ম-শূন্যতা) দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে স্বতঃস্ফুর্ত বাস্তবতার পরমত্বের উপর গুরুত্ব আরোপের অভ্যাসটি জিইয়ে রাখার কৃতিত্ব মহাসাংঘিকদেরই প্রাপ্য। এই সম্প্রদায়ের প্রতিটি শাখা স্পষ্টভাবে প্রাকৃত ও অতিপ্রাকৃতের পার্থক্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং প্রাকৃতের পরমত্ব অস্বীকারের মাধ্যমে পরমের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণের উপর গুরুত্ব দিয়েছে।

বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বগণ[সম্পাদনা]

মহাসাংঘিক সম্প্রদায় বুদ্ধগণবোধিসত্ত্বগণের তুরীয় ও অতিপ্রাকৃত প্রকৃতি এবং অর্হৎদের ভ্রান্তির কথা বলে।[১৪] মহাসাংঘিক, একব্যাবহারিক, লোকত্তরবাদ ও কুক্কুটিকদের সময়ভেদোপরচনচক্র-এ উল্লিখিত এই ধরনের ৪৮টি বিশেষ সত্ত্বার ২০টিই বুদ্ধগণ ও বোধিসত্ত্বগণের অতিপ্রাকৃত প্রকৃতিসম্পন্ন।[১৭] সময়ভেদোপরচনচক্র অনুসারে, এই চারটি গোষ্ঠী মনে করে বুদ্ধ মনে এক মুহুর্তে সকল “ধর্ম” অবগত হতে পারতেন।[১৮] ইয়াও জিহুয়া লিখেছেন:[১৮]

তাঁদের মতে বুদ্ধের এই সকল অলৌকিক ক্ষমতাগুলি ছিল: তুরীতত্ব (“লোকোত্তর”), শুচিতা, তাঁর সকল বাণী, সকল ধর্মপ্রচার ও শিক্ষার ব্যাখ্যা একটি বাক্যে করার ক্ষমতা, তাঁর সকল উক্তির সত্যতা, তাঁর শরীরের অসীমত্ব, তাঁর অসীম শক্তি (“প্রভাব”), তাঁর জীবনের সীমার অসীমত্ব, সংবেদী সত্ত্বাগুলির বোধি জাগরণে ও তাঁদের মধ্যে শুদ্ধ বিশ্বাস আনয়নে অনলসতা, নিদ্রা ও স্বপ্নশূন্যতা, প্রশ্নের উত্তরে না থামা এবং সর্বদা ধ্যান (সমাধি)।

মহাসাংঘিকদের বর্ণনা দিতে গিয়ে একটি মতবাদ বলে, “তথাগতগণের ক্ষমতা অসীম এবং বুদ্ধগণের জীবন অসীম।”[১৯] গুয়াং জিংয়ের মতে, মহাসাংঘিকদের শিক্ষায় বুদ্ধের দুটি প্রধান দিক দেখা যায়: সত্যকারের বুদ্ধ সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান, এবং তাঁর রূপগুলির মাধ্যমে তিনি সংবেদী সত্ত্বাগুলিকে সুচারুভাবে নির্বাণলাভে সাহায্য করেন (সংস্কৃত: উপায়)।[২০] মহাসাংঘিকরা মনে করেন, ঐতিহাসিক গৌতম বুদ্ধ এই নির্বাণদাতা শরীরগুলির (সংস্কৃত: নির্মাণকায়) একটি মাত্র। আদি ও প্রকৃত বুদ্ধ ছিলেন ধর্মকায়[২১]

মহাযান মতের মতো, মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ও দশ দিকে একাধিক সমসাময়িক বুদ্ধের অস্তিত্বের মতবাদে বিশ্বাস করে।[২২] মহাসাংঘিক লোকানুবর্তন সূত্র-এ বলা হয়েছে, “বুদ্ধ দশ দিকে পরিব্যাপ্ত অসংখ্য বুদ্ধের সকল ধর্ম জানেন।”[২২] আরও বলা হয়েছে, “সকল বুদ্ধ একটি শরীর ধরেন, সেটি হল ধর্মের শরীর।”[২২]

মহাসাংঘিকের মতে, উন্নত বোধিসত্ত্বেরা কর্মের কঠিন বন্ধনে আবদ্ধ। তাঁরা তাঁদের নিজস্ব স্ব-ইচ্ছায় নিম্নমানের সত্ত্বা গ্রহণ করে জন্মগ্রহণ করেন (সংস্কৃত: দুর্গতি)। এই জন্মগ্রহণের উদ্দেশ্য সংবেদী সত্ত্বাদের নির্বাণ লাভে সহায়তা করা। আকিরা হিরাকাওয়া বলেছেন:[২৩]

সর্বাস্তিবাদীরাও শিক্ষা দেয় যে, বোধিসত্ত্ব কর্মের নিয়মের অধীনত্ব। অর্হতত্ব পেলে তিনি কর্মের বন্ধন থেকে মুক্ত হন এবং যখন একজন অর্হৎ মারা যান, তিনি নির্বাণ প্রাপ্ত হন। তিনি আর সংসারে ফিরে আসেন না। কিন্তু সংসারে থাকতে বোধিসত্ত্বকে কর্মের বন্ধন স্বীকার করতেই হয়। অন্যদিকে মহাসাংঘিক সম্প্রদায় মনে করে, বোধিসত্ত্ব আগেই কর্মের বন্ধন থেকে বিচ্ছিন্ন হন। তাই দুর্গতিতে জন্মগ্রহণ করা তাঁর সম্পূর্ণ স্ব-ইচ্ছায়, তাঁর নির্বাণের গভীর প্রতিজ্ঞায় (“প্রণিধান”)।

একাধিক বোধিসত্ত্ব একসঙ্গে বুদ্ধত্বলাভের পথে অগ্রসর হন, এই ধারণা মহাসাংঘিক মতবাদেও পাওয়া যায়। যার প্রমাণ সময়ভেদোপরচনচক্র। এখানে মহাসাংঘিক মতবাদের বর্ণনা রয়েছে।[২৪] সমসাময়িক বোধিসত্ত্বগণ ও সমসাময়িক বুদ্ধগণ একই ধারায় যুক্ত হবার ধারণাটি মহাপ্রজ্ঞাপারমিতা শাস্ত্র-এর মতো গ্রন্থেও পাওয়া যায়। এখানে সমসাময়িক বোধিসত্ত্বদের ধারণাটিকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে সমসাময়িক বুদ্ধদের দশ দিকে অবস্থানের প্রয়োজনীয়তার দৃষ্টিকোণ থেকে।[২৫] আরও মনে করা হয় যে, সমসাময়িক বুদ্ধগণের মতবাদটি আদি মহাযান ধর্মগ্রন্থগুলি রচনার সময় প্রাচীন ও সুপ্রচলিত একটি মতবাদ ছিল। আদি মহাযানী গ্রন্থ অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা শাস্ত্র-এ এর উল্লেখ আছে।[২৪]

পাণ্ডুলিপি সংকলন[সম্পাদনা]

চীনা বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হিউয়েন সাং অধুনা আফগানিস্তানের বামিয়ানে একটি মহাসাংঘিক-লোকোত্তরবাদী মঠ দর্শন করেছিলেন খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে। পুরাতাত্ত্বিকরা এই মঠের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছেন।[২৬] এই মঠে ভূর্জপত্র ও তালপাতার পুথিতে মহাযান সূত্রাবলি সহ বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের যে পাণ্ডুলিপি রক্ষিত ছিল তাও আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলি এখন শোয়েন সংগ্রহে রক্ষিত আছে। কিছু কিছু বই গান্ধারী ভাষায় খরোষ্টী লিপিতে লেখা ছিল। অন্যগুলি সংস্কৃত ভাষায় গুপ্ত লিপিতে লেখা ছিল। পাণ্ডুলিপিতে ও খণ্ডিত আকারে এই মঠের যে ধর্মগ্রন্থগুলি পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম:[২৬]

  • মহাসাংঘিক-লোকত্তরবাদী সম্প্রদায়ের প্রতিমোক্ষ বিভঙ্গ (মহাযান সূত্র ২৩৮২/২৬৯)
  • মহাপরিনির্বাণ সূত্র, একটি আগম সূত্র (মহাযান সূত্র ২১৭৯/৪৪)
  • চামগী সূত্র, একটি আগম সূত্র (মহাযান সূত্র ২৩৭৬)
  • বজ্রচ্ছেদিকা প্রজ্ঞাপারমিতা সূত্র, একটি মহাযান সূত্র (মহাযান সূত্র ২৩৮৫)
  • ভৈসজ্যগুরু সূত্র, একটি মহাযান সূত্র (মহাযান সূত্র ২৩৮৫)
  • শ্রীমালাদেবী সিংহনাদ সূত্র, একটি মহাযান সূত্র (মহাযান সূত্র ২৩৭৮)
  • প্রবারণ সূত্র, একটি মহাযান সূত্র (মহাযান সূত্র ২৩৭৮)
  • সর্বধর্মপ্রবর্ত্তিনির্দেশ সূত্র, একটি মহাযান সূত্র (মহাযান সূত্র ২৩৭৮)
  • অজাতশত্রুকৌকৃত্যবিনোদন সূত্র, একটি মহাযান সূত্র (মহাযান সূত্র ২৩৭৮)
  • শারিপুত্র অভিধর্ম শাস্ত্র (মহাযান সূত্র ২৩৭৫/০৮)

অভিধর্ম[সম্পাদনা]

কোনো কোনো তথ্যসূত্র অনুসারে, মহাসাংঘিক সম্প্রদায় অভিধর্মকে আনুশাসনিক ধর্মগ্রন্থ হিসেবে গ্রহণ করেনি।[২৭] উদাহরণ স্বরূপ, থেরবাদী দীপবংশ লিখেছে, মহাসাংঘিকদের কোনো অভিধর্ম নেই।[২৮] ৫ম শতাব্দীর প্রথম ভাগে চীনা তীর্থযাত্রী ফাহিয়েন লিখেছেন, পাটলীপুত্রের একটি মঠে তিনি একটি মহাসাংঘিক অভিধর্ম পেয়েছিলেন।[২৮] হিউয়েন সাং যখন ধান্যকটকে এসেছিলেন, তখন তিনি লেখেন যে এই অঞ্চলের ভিক্ষুরা মহাসাংঘিক। তিনি বিশেষভাবে পূবশীলগুলির উল্লেখ করেছিলেন।[২৯] ধান্যকটকের কাছে তিনি দুই মহাসাংঘিক ভিক্ষুর সন্ধান পান এবং তাঁদের কাছ থেকে কয়েক মাস থেকে তিনি মহাসাংঘিক অভিধর্ম শিক্ষা করেন। এঁরা আবার হিউয়েন সাঙের কাছে কয়েকটি মহাযান শাস্ত্রও শিক্ষা করেছিলেন।[২৮][২৯] নাগার্জুনকোন্ডার শিলালিপি এবং ধর্মগ্রন্থের প্রমাণের ভিত্তিতে জোসেফ ওয়ালসের বলেছেন, অন্তত কয়েকটি মহাসাংঘিক উপসম্প্রদায়ের একটি অভিধর্ম সংগ্রহ ছিল। এটিতে সম্ভবত পাঁচটি অথবা ছয়টি বই সংকলিত ছিল।[৩০]

মহাযান বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে সম্পর্ক[সম্পাদনা]

বুদ্ধমূর্তি, মথুরা। খ্রিস্টীয় ৫ম বা ৬ষ্ঠ শতাব্দী।

মহাযান মত অনুমোদন[সম্পাদনা]

খ্রিস্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে পরমার্থ নামে মধ্যভারতের উজ্জয়িনীর এক বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাযান বৌদ্ধধর্মে মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ের বিশেষ অনুমোদনের কথা লেখেন। তিনি মহাযান সূত্রাবলির প্রাথমিক রচনা ও বৌদ্ধধর্মের মহাযান শাখায় এই সম্প্রদায়ের অনুমোদনের কথা লেখেন।[৩১] তিনি লিখেছেন, বুদ্ধের পরিনির্বাণের ২০০ বছর পরে মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ের অধিকাংশ রাজগৃহের উত্তরে সরে আসে এবং মহাযান শিক্ষাবলি তাদের ত্রিপিটকের অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত কিনা সেই প্রশ্নে ভিক্ত হয়ে যায়। এই আখ্যান অনুসারে, মহাসাংঘিক সম্প্রদায় তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। এই বিভাজনের মূল ভিত্তি ছিল মহাযান গ্রন্থাবলি এরা কীভাবে গ্রহণ করেছিল তা।[৩২] পরমার্থ বলেছেন, কুক্কুটিক শাখাটি মহাযান সূত্রাবলিকে বুদ্ধবচন হিসেবে গ্রহণ করেনি। কিনতি লোকোত্তরবাদ ও একব্যাবহারিক শাখাদুটি মহাযান সূত্রগুলিকে বুদ্ধবচন হিসেবে গ্রহণ করে।[৩৩]

পরমার্থ মহাযান শিক্ষা গ্রহণের সূত্রে বহুশ্রুতীয় শাখার উত্থানের কথাও লিখেছেন। তাঁর আখ্যান অনুসারে, বহুশ্রুতীয় শাখার প্রতিষ্ঠাতার নাম যাজ্ঞবল্ক্য।[৩৪] পরমার্থের আখ্যান অনুসারে, যাজ্ঞবল্ক্য ছিলেন বুদ্ধের সমসাময়িক। তিনি বুদ্ধের কথোপকথন শুনেছিলেন কিন্তু বুদ্ধের পরিনির্বাণের সময় তিনি ছিলেন গভীর সমাধিতে মগ্ন।[৩৪] ২০০ বছর পর যাজ্ঞবল্ক্য সমাধি থেকে ব্যুত্থিত হন। তিনি দেখেন মহাসাংঘিক মতবাদ সূত্রাবলির অস্পষ্ট অর্থ মাত্র। তাই তিনি সূত্রগুলির পূর্ণাঙ্গ অর্থ ব্যাখ্যা করার জন্য বহুশ্রুতীয় শাখা স্থাপন করেন।[৩৪] পরমার্থের মতে, বহুশ্রুতীয় শাখা স্থাপিত হয়েছিল "প্রথাগত সত্য" ও "সর্বোচ্চ সত্যে"র মধ্যে সম্পূর্ণ মিলন ঘটানোর জন্য।[৩৫] শ্রীপদ্ম ও অ্যান্টনি বার্বারের মতে, বহুশ্রুতীয় শিক্ষার এই সম্পূর্ণ প্রকাশের মধ্যে মহাযান শিক্ষাও অন্তর্ভুক্ত।[৩৬]

প্রজ্ঞাপারমিতা[সম্পাদনা]

অনেক গবেষকই মনে করেন যে, মহাযান প্রজ্ঞাপারমিতা শিক্ষা প্রথম বিকাশলাভ করেছিল মহাসাংঘিকদের চৈতিক উপসম্প্রদায়ে। তাঁরা মনে করেন যে অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা সূত্র রচিত হয়েছিল কৃষ্ণা নদীর তীরবর্তী অন্ধ্র অঞ্চলের দক্ষিণী মহাসাংঘিক সম্প্রদায়গুলিতে।[২৪] গুয়াং জিং বলেছেন, "অনেক গবেষক বলেছেন, প্রজ্ঞাপারমিতা সম্ভবত দক্ষিণ ভারতের কৃষ্ণা নদীর তীরবর্তী অন্ধ্র দেশের মহাসাংঘিকদের মধ্যে।"[২৫] এই মহাসাংঘিকদের দুটি বিখ্যাত মঠ ছিল। একটি অমরাবতীর কাছে এবং অপরটি দণ্ডকারণ্যে। এর থেকে এই শাখাদুটি পূর্বশীল ও অপরশীল নামে পরিচিত হয়।[২৪] প্রত্যেক শাখারই প্রাকৃতে অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা সূত্র-এর একটি করে গ্রন্থ ছিল।[২৪] গুয়াং জিং মনে করেন, এই গ্রন্থে বুদ্ধের সম্পর্কে যে দৃষ্টিকোণ প্রতিফলিত হয়েছে তা মহাসাংঘিকের অনুসারী।[২৪] এডওয়ার্ড কোঞ্জের মতে, এই সূত্রটি খ্রিস্টপূর্ব ১০০ অব্দের রচনা।[২৪]

তথাগতগর্ভ[সম্পাদনা]

মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ের একট গুহা চত্বর। কারলা গুহা, মহারাষ্ট্র, ভারত

তথাগতগর্ভ মতবাদ-বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান এডওয়ার্ড ব্রাউন লিখেছেন যে, ৩য় শতাব্দীতে ইক্ষবাকু রাজবংশের শাসনকালে অন্ধ্র অঞ্চলের মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ে (অর্থাৎ, চৈতিক শাখা) শ্রীমালাদেবী সিংহনাদ সূত্র রচিত হয়।[৩৭] মহাসাংঘিকদের সঙ্গে এই গ্রন্থের সম্পর্কের সমর্থনে ওয়েম্যান এগারোটি যুক্তি উত্থাপন করেছিলেন। তার মধ্যে চারটি যুক্তি হল প্রধান যুক্তি।[৩৮] অ্যান্টনি বারবারও মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তথাগতগর্ভ সূত্র-এর প্রথম বিকাশের সম্পর্ক দেখিয়েছেন। তাঁর সিদ্ধান্ত এই যে, অন্ধ্র অঞ্চলের মহাসাংঘিকরাই তথাগতগর্ভ মতবাদের জন্মদাতা।[৩৯]

স্টিফেন হোজের মতে, অঙ্গুলিমালীয় সূত্র, মহাভেরিহারক পরিবর্ত সূত্রমহাযান মহাপরিনির্বাণ সূত্র-এর আভ্যন্তরিণ পুস্তকগত প্রমাণ এই যে, এই গ্রন্থগুলি প্রথমে দক্ষিণ ভারতে প্রচারিত হয় ও পরে ধীরে ধীরে উত্তরপশ্চিম ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। কাশ্মীর ছিল এদের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। অঙ্গুলিমালীয় সূত্র থেকে একটি আরও বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। এই বিবরণ অনুযায়ী, দক্ষিণ ভারত, বিন্ধ্য পর্বতমালা, ভারুচ ও কাশ্মীরে এর ছড়িয়ে পড়ার উল্লেখ আছে।[৪০]

মহাযান মহাপরিনির্বাণ সূত্র এবং সম্পর্কিত গ্রন্থে ব্যবহৃত ভাষা দেখে মনে হয় এগুলি দক্ষিণ ভারতে সাতবাহন রাজবংশের রাজত্বকালে রচিত। সাতবাহন রাজারা ছিলেন বৌদ্ধধর্মের বিশেষ পৃষ্ঠপোষক। তাঁদের রাজত্বকালেই কারলা ও অজন্তার গুহা ও অমরাবতীর বিশাল স্তুপ নির্মিত হয়। এই সময় সাতবাহন রাজবংশ কুষান সাম্রাজ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলত।[৪০]

মহাযান মহাপরিনির্বাণ সূত্র ও সম্পর্কিত গ্রন্থগুলির প্রমাণ ব্যবহার করে স্টিফেন হোজ বলেছেন, প্রথমোক্ত গ্রথটি ১০০ থেকে ২২০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত। তিনি লিখেছেন:[৪০]

[T]here are strong grounds based on textual evidence that the MPNS (Mahāyāna Mahāparinirvāṇa Sūtra), or a major portion of it, together with related texts were compiled in the Deccan during the second half of the 2nd century CE, in a Mahāsāṃghika environment, probably in one of their centres along the western coastal region such as Karli, or perhaps, though less likely, the Amaravatī-Dhanyakaṭaka region.

৬ষ্ঠ শতাব্দীতে পরমার্থ লিখেছেন মহাসাংঘিকরা সূত্রগুলিকে তথাগতগর্ভ শিক্ষার জন্য সম্মান করত।[৪০]

বোধিসত্ত্ব পিটক[সম্পাদনা]

কথিত আছে, মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ে বহুশ্রুতীগণ তাঁদের আনুশাসনিক ধর্মগ্রন্থে একটি বোধিসত্ত্ব পিটক যুক্ত করেছিলেন। পরমার্থ লিখেছেন যেম বহুশ্রুতীয়গণ হীনযান ও মহাযান উভয় সম্প্রদায়ের শিক্ষাই গ্রহণ করেছিলেন।[১৪] খ্রিস্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে ভাববিবেক বিদ্যাধার পিটক ব্যবহারকারী সিদ্ধার্থিকদের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, পূর্বশীল ও অপরশীল উভয় শাখাই বোধিসত্ত্ব পিটক ব্যবহার করতেন। তাঁরা মহাযান ধর্মগ্রন্থের একটি সংগ্রহ মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করেন।[৪১] একই সময়ে অবলোকিতব্রত বলেছেন যে মহাসাংঘিকরা একটি ‘মহৎ আগম পিটক’ ব্যবহার করেন। এটি প্রজ্ঞাপারমিতাদশভূমিক সূত্র-এর মতো মহাযান সূত্রগুলির সঙ্গে যুক্ত।[৪১]

গবেষকদের মতামত[সম্পাদনা]

জাপানে অন্তত মেইজি যুগ থেকে কোনো কোনো বৌদ্ধধর্ম-বিশারদ মহাসাংঘিকদের মহাযান বৌদ্ধধর্মের জন্মদাতা মনে করে আসছেন।[৪২] আকিরা হিরাকাওয়ার মতে, আধুনিক গবেষকরা প্রায়শই মহাসাংঘিকদের মহাযান বৌদ্ধধর্মের জনক বলে থাকেন।[৪৩]

এ. কে. ওয়ার্ডারের মতে, ‘স্পষ্টতই’ মহাযান শিক্ষা বৌদ্ধধর্মের মহাসাংঘিক শাখা থেকে এসেছে।[৪৪] ওয়ার্ডার মনে করেন, “মহাযানের উদ্ভব দক্ষিণ ভারতে। নিশ্চিতভাবে অন্ধ্র অঞ্চলে এই মতবাদ জন্ম নিয়েছিল।”[৪৫] অ্যান্টনি বারবার ও শ্রীপদ্ম বলেছেন, “বৌদ্ধ দর্শনের ঐতিহাসিকগণ দীর্ঘকাল যাবৎ জানেন যে, নাগার্জুন, দিগনাগ, চণ্ডকীর্তি, আর্যদেবভববিবেক প্রমুখ মহাযান বৌদ্ধ দর্শনের প্রধান প্রধান দার্শনিকগণ আন্ধ্র অঞ্চলের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে বসবাসকালে তাঁদের মতবাদ প্রকাশ করেছিলেন।”[৪৬]

আন্দ্রে বারের মতে, মহাযান তত্ত্ববিদ্যা সম্ভবত মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ে গড়ে উঠেছিল। তিনি তাঁর মতের সপক্ষে একাধিক যুক্তি দেখিয়েছেন।[৪৭] বারে ওড়িশা, কোশল, কোঙ্কন ও সংলগ্ন অঞ্চলের মহাসাংঘিক সম্প্রদায়গুলিতে মহাযান মতবাদের উৎপত্তির কথা বলেছেন। এরপর তিনি বলেছেন মহাসাংঘিকদের দুটি উপসম্প্রদায় বহুশ্রুতীয় বহুশ্রুতীয় ও প্রজ্ঞপ্তিবাদীরা সম্ভবত যথাক্রমে উত্তর ও দক্ষিণের মহাসাংঘিক শাখার মহাযান শিক্ষার মধ্যে যোগসূত্রের কাজ করেছিল।[৪৭]

আন্দ্রে বারে আরও বলেছেন, হিউযেন সাংইজিঙের মতে খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে মহাসাংঘিক সম্প্রদায় কার্যত বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। তার পরিবর্তে তাঁরা যে সম্প্রদায় দেখেছিলেন, তাকে তাঁরা ‘মহাযান’ বলে বর্ণনা করেন। মহাসাংঘিক সম্প্রদায় যে অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করেছিল, উক্ত সময়ে সেই সব অঞ্চলগুলি মহাযান বৌদ্ধধর্মের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়।[৪৭] বারের মতে, মহাযান বৌদ্ধধর্মের জনক মহাসাংঘিক সম্প্রদায়গুলি। মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ভুক্ত বৌদ্ধরাও মহাযান শিক্ষা গ্রহণ করেছিল।[৪৭] তাছাড়া খ্রিস্টীয় ৫ম শতাব্দীর প্রথম দিকে ফাহিয়েন পাটলিপুত্রের একটি মঠে মহাসাংঘিক বিনয় রক্ষিত হত। উক্ত মঠটিকে তিনি মহাযান মঠ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।[৪৮]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Potter, Karl. Encyclopaedia of Indian Philosophies, Vol. 8: Buddhist Philosophy 100-350 AD. 2002. p. 23
  2. Warder, A.K. Indian Buddhism. 2000. p. 281
  3. Elizabeth Cook. Light of Liberation: A History of Buddhism in India. Dharma Publishing, 1992. p. 242-243
  4. Padma, Sree. Barber, Anthony W. Buddhism in the Krishna River Valley of Andhra. SUNY Press 2008, pg. 2.
  5. Gadkari, Jayant. Society and Religion: From Rgveda to Puranas. 1996. p. 198
  6. Skilton, Andrew. A Concise History of Buddhism. 2004. p. 47
  7. Skilton, Andrew. A Concise History of Buddhism. 2004. p. 48
  8. Skilton, Andrew. A Concise History of Buddhism. 2004. p. 64
  9. Hino, Shoun. Three Mountains and Seven Rivers. 2004. p. 55
  10. Bhikkhu Sujato. Sects & Sectarianism: The Origins of Buddhist Schools. 2006. p. i
  11. Baruah, Bibhuti. Buddhist Sects and Sectarianism. 2008. p. 47
  12. Dudjom Rinpoche. Perfect Conduct: Ascertaining the Three Vows. 1999. p. 16
  13. Yao, Zhihua. The Buddhist Theory of Self-Cognition. 2012. p. 9
  14. Baruah, Bibhuti. Buddhist Sects and Sectarianism. 2008. p. 48
  15. Buescher, John. Echoes from an Empty Sky: The Origins of the Buddhist Doctrine of the Two Truths. 2005. p. 46
  16. Ramanan, K. Venkata. Nāgārjuna's Philosophy. 1998. pp. 62-63
  17. Sree Padma. Barber, Anthony W. Buddhism in the Krishna River Valley of Andhra. 2008. p. 56
  18. Yao, Zhihua. The Buddhist Theory of Self-Cognition. 2005. p. 11
  19. Tanaka, Kenneth. The Dawn of Chinese Pure Land Buddhist Doctrine. 1990. p. 8
  20. Guang Xing. The Concept of the Buddha: Its Evolution from Early Buddhism to the Trikaya Theory. 2004. p. 53
  21. Sree Padma. Barber, Anthony W. Buddhism in the Krishna River Valley of Andhra. 2008. pp. 59-60
  22. Guang Xing. The Concept of the Buddha: Its Evolution from Early Buddhism to the Trikaya Theory. 2004. p. 65
  23. Williams, Paul. The Origins and Nature of Mahāyāna Buddhism. 2004. p. 182
  24. Guang Xing. The Concept of the Buddha: Its Evolution from Early Buddhism to the Trikaya Theory. 2004. p. 66
  25. Guang Xing. The Concept of the Buddha: Its Evolution from Early Buddhism to the Trikaya Theory. 2004. pp. 65-66
  26. "Schøyen Collection: Buddhism"। ১০ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১২ 
  27. "Abhidhamma Pitaka." Encyclopædia Britannica. Ultimate Reference Suite. Chicago: Encyclopædia Britannica, 2008.
  28. Walser, Joseph. Nāgārjuna in Context: Mahāyāna Buddhism and Early Indian Culture. 2005. p. 213
  29. Baruah, Bibhuti. Buddhist Sects and Sectarianism. 2008. p. 437
  30. Walser, Joseph. Nāgārjuna in Context: Mahāyāna Buddhism and Early Indian Culture. 2005. pp. 212-213
  31. Walser, Joseph. Nāgārjuna in Context: Mahāyāna Buddhism and Early Indian Culture. 2005. p. 50
  32. Walser, Joseph. Nāgārjuna in Context: Mahāyāna Buddhism and Early Indian Culture. 2005. p. 51
  33. Sree Padma. Barber, Anthony W. Buddhism in the Krishna River Valley of Andhra. 2008. p. 68.
  34. Warder, A.K. Indian Buddhism. 2000. p. 267
  35. Walser, Joseph. Nāgārjuna in Context: Mahāyāna Buddhism and Early Indian Culture. 2005. p. 52
  36. Sree Padma. Barber, Anthony W. Buddhism in the Krishna River Valley of Andhra. 2008. p. 61
  37. Brown, Brian Edward. The Buddha Nature: A Study of the Tathāgatagarbha and Ālayavijñāna. 2010. p. 3
  38. Sree Padma. Barber, Anthony W. Buddhism in the Krishna River Valley of Andhra. 2008. pp. 153-154
  39. Sree Padma. Barber, Anthony W. Buddhism in the Krishna River Valley of Andhra. 2008. pp. 155-156
  40. Hodge, Stephen (২০০৬)। "On the Eschatology of the Mahaparinirvana Sutra and Related Matters" (পিডিএফ)। lecture delivered at the University of London, SOAS। 
  41. Walser, Joseph. Nāgārjuna in Context: Mahāyāna Buddhism and Early Indian Culture. 2005. p. 53
  42. Williams, Paul. The Origins and Nature of Mahāyāna Buddhism. 2004. p. 380
  43. Williams, Paul. The Origins and Nature of Mahāyāna Buddhism. 2004. pp. 181-2
  44. Warder, A.K. Indian Buddhism. 2000. p. 11
  45. Warder, A.K. Indian Buddhism. 2000. p. 313
  46. Padma, Sree. Barber, Anthony W. Buddhism in the Krishna River Valley of Andhra. 2008. p. 1
  47. Ray, Reginald. Buddhist Saints in India: A Study in Buddhist Values and Orientations. 1999. p. 426
  48. Walser, Joseph. Nāgārjuna in Context: Mahāyāna Buddhism and Early Indian Culture. 2005. p. 40

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • "Arya-Mahasamghika-Lokuttaravadin Bhiksuni-Vinaya"; edited by Gustav Roth, 1970.
  • Mahasamghika and Mahasamghika-Lokuttaravadin Vinayas in Chinese translation; CBETA Taisho digital edition.[পূর্ণ তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
  • "The Earliest Vinaya and the Beginnings of Buddhist Literature"; Frauwallner, Serie Orientale Roma, 8. Rome: Istituto Italiano per il Medio ed Estremo Oriente.
  • "Vinaya-Matrka — Mother of the Monastic Codes, or Just Another Set of Lists? A Response to Frauwallner's Handling of the Mahasamghika Vinaya"; Shayne Clarke. Indo-Iranian Journal 47: 77-120, 2004.
  • "A Survey of Vinaya Literature"; Charles Prebish. Originally, Volume I of The Dharma Lamp Series. Taipei, Taiwan: Jin Luen Publishing House, 1994, 157 pages. Now published by Curzon Press.
  • "The Fundamental Teachings of Early Buddhism: a comparative study based on the Sūtrāṅga portion of the Pali Saṃyutta-Nikāya and the Chinese Saṃyuktāgama", Choong Mun-Keat, Wiesbaden : Harrassowitz, 2000. (Contains an account of Master Yin-Shun's theory that the Samyukt'Agama is the oldest collection, by a student of Prof. Rod Bucknell.)
  • "History of Mindfulness"; Bhikkhu Sujato, Taipei, Taiwan: the Corporate Body of the Buddha Educational Foundation, 2006. (Gives further evidence for the Anga-theory of Master Yin-Shun and the theory that the Samyukta-/ Samyutta- is the oldest organising principle.)
  • "Buddhist Monastic Discipline: The Sanskrit Pratimoksa Sutras of the Mahasamghikas and Mulasarvastivadins"; Charles Prebish. Volume I of the Institute for Advanced Studies of World Religions Series. University Park: The Pennsylvania State University Press, 1975, 156 pages. First Indian Edition, Delhi: Motilal Banarsidass, 1996. (This is only a translation of a small part of the Vinayas, on its own it is nearly useless.)
  • "Mahasamghika Origins: The Beginnings of Buddhist Sectarianism"; Charles Prebish and Janice J. Nattier. History of Religions, 16, 3 (February, 1977), 237-272.
  • "The Pratimoksa Puzzle: Fact Versus Fantasy"; Charles Prebish. Journal of the American Oriental Society, 94, 2 (April–June, 1974), 168-176.
  • "A Review of Scholarship on the Buddhist Councils"; Charles Prebish. Journal of Asian Studies, XXXIII, 2 (February, 1974), 239-254.
  • "Theories Concerning the Skandhaka: An Appraisal"; Charles Prebish Journal of Asian Studies, XXXII, 4 (August, 1973), 669-678.
  • "Saiksa-dharmas Revisited: Further Considerations of Mahasamghika Origins"; Charles Prebish. History of Religions, 35, 3 (February, 1996), 258-270.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]