সরস্বতী নদী (প্রাচীন ভারত)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্লিফট এবং অন্যান্য (২০১২)খোণ্ডে এবং অন্যান্য (২০১৭) কর্তৃক প্রস্তাবিত তত্ত্ব অনুযায়ী আর্যাবর্ত/কুরু রাজ্যের মানচিত্রে বৈদিক ও বর্তমান গগ্ঘর-হকরা নদীর গতিপথ এবং (প্রাক্-)হরপ্পা হকক্রা/শতদ্রু-যমুনা নদীর প্রত্ন-জলপথ।[ক] আরও দেখুন: this উপগ্রহ চিত্র।
১ = প্রাচীন নদী
২ = বর্তমান নদী
৩ = বর্তমান থর মরুভূমি
৪ = প্রাচীন উপকূল
৫ = বর্তমান উপকূল
৬ = বর্তমান শহর
৭ = শুকিয়ে-যাওয়া হরপ্পা-যুগীয় হাকক্রা নদীপথ এবং প্রাক্-হরপ্পা শতদ্রু প্রত্ন-গতিপথ (ক্লিফট ও অন্যান্য (২০১২))
সমাধিক্ষেত্র এইচ, পরবর্তী হরপ্পা-যুগীয়, ওসিপি, তাম্র সঞ্চয় ও চিত্রিত ধূসর পণ্যসামগ্রীর ক্ষেত্র

সরস্বতী নদী হল ঋগ্বেদে ও পরবর্তী বৈদিক সাহিত্য এবং বেদ-পরবর্তী সাহিত্যে উল্লিখিত একটি দেবত্বারোপিত নদী।[১] বৈদিক ধর্মে এই নদীটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নদী। ঋগ্বেদের চতুর্থ মণ্ডল ছাড়া সব ক’টি মণ্ডলে এই নদীর নাম উল্লিখিত হয়েছে।

বাস্তব নদী হিসেবে ঋগ্বেদের প্রাচীনতম অংশগুলিতে সরস্বতী নদীটিকে বর্ণনা করা হয়েছে "উত্তর-পশ্চিম ভারতের একটি বৃহৎ ও পবিত্র নদী" হিসেবে।[২] কিন্তু ঋগ্বেদেরই মধ্যকালীন ও পরবর্তীকালে রচিত অংশগুলিতে এটিকে "একটি প্রান্তিক হ্রদে (সমুদ্রে)" গিয়ে মেশা ছোটো নদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।[৩][খ] দেবী সরস্বতী ও "সরস্বতী" শব্দের অন্যান্য দ্যোতক শব্দগুলি বেদ-পরবর্তীযুগে স্বাধীন পরিচয়ে বিকাশ লাভ করেছিল।[৪] বেদে অবশ্য দেবী সরস্বতীকে এক শক্তিশালী নদী ও মহতী বন্যার রূপেও বর্ণনা করা হয়েছে।[৫] হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, সরস্বতী নদী এখনও বিমূর্ত রূপে বিদ্যমান এবং এই রূপেই তা ত্রিবেণী সঙ্গমে অপর দুই পবিত্র নদী গঙ্গাযমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে।[৬] মাইকেল উইটজেলের মতে, "অমরত্ব ও স্বর্গীয় পরলোকের পথ" হিসেবে দৃষ্ট স্বর্গীয় নদী আকাশগঙ্গা বৈদিক সরস্বতী নদীর উপরিস্থাপিত হয়েছে।[৭]

বর্তমান কালের নদনদীগুলিকে অথবা প্রাচীন নদীখাতগুলিকে চিহ্নিতকরণের প্রস্তাব দেওয়ার কাজে ঋগ্বৈদিক ও পরবর্তী বৈদিক গ্রন্থগুলি ব্যবহৃত হয়। ঋগ্বেদের নদীস্তুতি সূক্তে (১০.৭৫) বলা হয়েছে সরস্বতী নদীটি পূর্বে যমুনা ও পশ্চিমে শতদ্রু নদীর মধ্যভাগে অবস্থিত; অন্যদিকে সপ্তম মণ্ডলে (৯৫.১-২) বলা হয়েছে যে সরস্বতী নদী সমুদ্রে গিয়ে পতিত হয়েছে। বর্তমানে সমুদ্র শব্দটির "সাগর" করা হলেও[গ] বৈদিক সংস্কৃতে এটির অপর অর্থ ছিল "হ্রদ"।[৩][৮][৯][১০][ঘ] তাণ্ড্য ব্রাহ্মণজৈমিনীয় ব্রাহ্মণের মতো পরবর্তীকালীন বৈদিক সাহিত্যে এবং মহাভারতেও উল্লিখিত হয়েছে যে সরস্বতী নদী একটি মরুভূমিতে শুকিয়ে গিয়েছে।

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে অসংখ্য গবেষক এই তত্ত্ব উপস্থাপনা করেন যে সরস্বতী নদীটি হল অধুনা উত্তরপশ্চিম ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ঘগ্গর-হকরা নদী ব্যবস্থা। এই নদীটি যমুনা ও শতদ্রুর মধ্যবর্তী ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে থর মরুভূমিতে সমাপ্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক ভূপদার্থবৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলে জানা গিয়েছে যে ঘগ্গর-হকরা প্রত্ন-গতিপথের কথিত ভাটিটি প্রকৃতপক্ষে শতদ্রুর প্রত্ন-গতিপথ, যা গিয়ে মিশত সিন্ধু নদের বদ্বীপ প্রণালী নর নদীতে। ১০,০০০-৮,০০০ বছর আগে শতদ্রু গতিপথ পরিবর্তন করলে এই প্রণালীটি পরিত্যক্ত হয় এবং তার ফলে ঘগ্গর-হকরা নদী ব্যবস্থাটি শুধুমাত্র বর্ষার জলে পুষ্ট এমন এক নদী ব্যবস্থায় পরিণত হয় যা সমুদ্রে পৌঁছায় না।[১১][১২][১৩][১৪]

প্রায় ৫,০০০ বছর আগে যখন নদীগুলিকে পরিপুষ্টকারী বর্ষার অবনতি ঘটে তখনই সিন্ধু সভ্যতার শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছিল।[১১][১৩][১৫][ঙ] ইসরোর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী সিন্ধু সভ্যতার কালীবঙ্গা (রাজস্থান), বনাবলীরাখীগঢ়ী (হরিয়াণা), ধোলাবীরালোথাল (গুজরাত) প্রভৃতি নগরকেন্দ্রগুলি এই নদীগুলির অববাহিকাতেই অবস্থিত ছিল।[১৬][web ১] প্রায় ৪,০০০ বছর আগে নদীগুলিকে পরিপুষ্টকারী বর্ষার আরও অবনতি ঘটলে হকরা শুকিয়ে গিয়ে একটি সবিরাম নদীতে পরিণত হয় এবং নগরাঞ্চলীয় হরপ্পা সভ্যতার পতন ঘটে স্থানীয় স্তরে ছোটো ছোটো কৃষিজীবী জনগোষ্ঠীর উদ্ভব ঘটে।[১১][চ][১৩][১২][১৪]

ঋগ্বেদ রচিত হওয়ার বহু আগেই ঘগ্গর-হকরা শুকিয়ে গিয়েছিল বলে একটি প্রকাণ্ড বাস্তব ঋগ্বৈদিক সরস্বতী নদীকে ঘগ্গর-হকরা নদী ব্যবস্থা হিসেবে চিহ্নিত করতে অসুবিধা হয়।[১৭][১৮][চ][১৩][১২][১৪] উইলকে ও মোবাসের কথায়, যে সময়ে বৈদিক জাতি উত্তর-পশ্চিম ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল সেই সময় সরস্বতী "মরুভূমিতে একটি ছোটো নিরানন্দময় ক্ষীণধারা"-য় পরিণত হয়েছিল।[১৯] তাছাড়া বাস্তব নদী হিসেবে ঋগ্বেদে সরস্বতীর উল্লেখ এটাই ইঙ্গিত করে যে নদীটি "ইতিমধ্যেই জলের প্রধান প্রবাহটিকে হারিয়েছিল এবং মোটামুটি ৩০০০ বছর আগেই নিশ্চয় একটি প্রান্তিক হ্রদে (সমুদ্র) গিয়ে মিলিত হয়েছিল[৩][খ] [এবং] আধুনিক কালের পরিস্থিতির বিচারে সরস্বতী তার জলধারার অধিকাংশটাই হারিয়েছে।" [২০][খ][২১] ঘগ্গর-হকরার নদীপথের সঙ্গে সরস্বতীর ঋগ্বৈদিক বিবরণ সামঞ্জস্যপূর্ণও নয়।[২২][২৩]

"সরস্বতী" নদীটিকে দক্ষিণ আফগানিস্তানের হেলমান্দ বা হরাক্ষবতী নদী হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।[২৪] বৈদিক জাতিগোষ্ঠীগুলি পাঞ্জাব অঞ্চলে বসতি স্থাপনের পর এই নদীটির নামই সম্ভবত ঘগ্গর-হকরা নদীর নামকরণের সময় সংস্কৃত ভাষায় পুনঃব্যবহৃত হয়েছিল।[২২][২৪][ছ] এছাড়াও ঋগ্বেদে সরস্বতী বলতে সম্ভবত দু’টি স্বতন্ত্র নদীকে বোঝানো হয়েছে, পারিবারিক মণ্ডলগুলিতে (দ্বিতীয়-সপ্তম মণ্ডল) সরস্বতী অর্থে হেলমান্দ নদীকে বুঝিয়েছে, অপর দিকে অধিকতর সাম্প্রতিক দশম মণ্ডলে সরস্বতী অর্থে বুঝিয়েছে ঘগ্গর-হাকরা নদীকে।[২৪]

ঘগ্গর-হকরা নদী ব্যবস্থাটিকে সরস্বতী নদী হিসেবে চিহ্নিতকরণের বিষয়টি একবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে নতুন তাৎপর্য বহন করে আনে।[২৫] এই সূত্র ধরে কেউ কেউ মনে করে ঋগ্বেদ আরও পূর্ববর্তী যুগে রচিত হয়েছিল। তাঁরা মনে করেন, সিন্ধু সভ্যতার নাম রাখা উচিত "সরস্বতী সংস্কৃতি", "সরস্বতী সভ্যতা" বা "সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতা",[২৬][২৭][২৮] যা এমন ইঙ্গিত বহন করে যে সিন্ধু উপত্যকা ও বৈদিক সংস্কৃতিকে এক সূত্রে আবদ্ধ করা যায়।[২৯] এই গবেষকেরা এই মতের প্রেক্ষিতেই ইন্দো-আর্য অভিপ্রায়ণ তত্ত্বটিকে অস্বীকার করেন, যে তত্ত্ব মতে ইন্দো-ইউরোপীয়-ভাষী জাতিগোষ্ঠী আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৯০০ ও ১৪০০ অব্দের মধ্যবর্তী সময়ে দক্ষিণ এশিয়া ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছিল।[জ][ঝ]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. See Clift et al. (2012) map and Honde te al. (2017) map.
  2. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Witzel1 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; 95.1-2 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; samudra নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  5. In contrast to the mainstream view, Chatterjee et al. (2019) suggest that the river remained perennial till 4,500 years ago.
  6. Giosan et al. (2012):
    • "Contrary to earlier assumptions that a large glacier-fed Himalayan river, identified by some with the mythical Sarasvati, watered the Harappan heartland on the interfluve between the Indus and Ganges basins, we show that only monsoonal-fed rivers were active there during the Holocene."
    • "Numerous speculations have advanced the idea that the Ghaggar-Hakra fluvial system, at times identified with the lost mythical river of Sarasvati (e.g., 4, 5, 7, 19), was a large glacier fed Himalayan river. Potential sources for this river include the Yamuna River, the Sutlej River, or both rivers. However, the lack of large-scale incision on the interfluve demonstrates that large, glacier-fed rivers did not flow across the Ghaggar-Hakra region during the Holocene
    • "The present Ghaggar-Hakra valley and its tributary rivers are currently dry or have seasonal flows. Yet rivers were undoubtedly active in this region during the Urban Harappan Phase. We recovered sandy fluvial deposits approximately 5;400 y old at Fort Abbas in Pakistan (SI Text), and recent work (33) on the upper Ghaggar-Hakra interfluve in India also documented Holocene channel sands that are approximately 4;300 y old. On the upper interfluve, fine-grained floodplain deposition continued until the end of the Late Harappan Phase, as recent as 2,900 y ago (33) (Fig. 2B). This widespread fluvial redistribution of sediment suggests that reliable monsoon rains were able to sustain perennial rivers earlier during the Holocene and explains why Harappan settlements flourished along the entire Ghaggar-Hakra system without access to a glacier-fed river."
    Valdiya (2013) dispute this, arguing that it was a large perennial river draining the high mountains as late as 3700–2500 years ago. Giosan et al. (2013) have responded to, and rejected, Valdiya's arguments.
  7. The Helmand river historically, besides Avestan Haetumant, bore the name Haraxvaiti, which is the Avestan form cognate to Sanskrit Sarasvati.
  8. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; IE নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  9. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; scale নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>-এ সংজ্ঞায়িত "tectonics" নামসহ <ref> ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Kinsley 1998, পৃ. 11, 13।
  2. Wilke ও Moebus 2011, পৃ. 310।
  3. Witzel 2001, পৃ. 93।
  4. Kinsley 1998, পৃ. 10, 55-57।
  5. Ludvík 2007, পৃ. 11-13।
  6. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; EB-Sarasvati নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  7. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Witzel 2012 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  8. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Klaus নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  9. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; DOW নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  10. Bhargava, M.L. (১৯৬৪)। The Geography of Rigvedic India। Lucknow। পৃষ্ঠা 5। 
  11. Giosan et al. 2012
  12. Maemoku এবং অন্যান্য 2013
  13. Clift et al. 2012
  14. Singh 2017
  15. Singh et al. 2017
  16. Sankaran 1999
  17. Wilke ও Moebus 2011
  18. Giosan et al. 2012, পৃ. 1688-1689।
  19. Wilke ও Moebus 2011, পৃ. 310–311।
  20. Witzel 2001, পৃ. 81।
  21. Mukherjee 2001, পৃ. 2, 8-9।
  22. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Thapar2004 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  23. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Kocchar নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  24. Kochhar, Rajesh (১৯৯৯), "On the identity and chronology of the Ṛgvedic river Sarasvatī", Roger Blench; Matthew Spriggs, Archaeology and Language III; Artefacts, languages and texts, Routledge, আইএসবিএন 978-0-415-10054-0 
  25. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; EB নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  26. Upinder Singh (২০০৮)। A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century। Pearson Education India। পৃষ্ঠা 137–8। আইএসবিএন 978-81-317-1677-9 
  27. Charles Keith Maisels (১৬ ডিসেম্বর ২০০৩)। "The Indus/'Harappan'/Sarasvati Civilization"। Early Civilizations of the Old World: The Formative Histories of Egypt, The Levant, Mesopotamia, India and China। Routledge। পৃষ্ঠা 184আইএসবিএন 978-1-134-83731-1 
  28. Denise Cush; Catherine A. Robinson; Michael York (২০০৮)। Encyclopedia of Hinduism। Psychology Press। পৃষ্ঠা 766আইএসবিএন 978-0-7007-1267-0 
  29. Danino 2010, পৃ. 258।

উল্লেখপঞ্জি[সম্পাদনা]

মুদ্রিত গ্রন্থাবলি
ওয়েব-সূত্র
  1. Mythical Saraswati River, Press Informaton Bureau, Government tof India, 20 March 2013. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

  • Chakrabarti, D. K., & Saini, S. (2009). The problem of the Sarasvati River and notes on the archaeological geography of Haryana and Indian Panjab. New Delhi: Aryan Books International.
  • An archaeological tour along the Ghaggar-Hakra River by Aurel Stein

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Hydrography of Uttar Pradesh