১৯৪৭-এ পাকিস্তান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ফেডারেল সরকার[সম্পাদনা]

ঘটনাবলী

আগস্ট

জিন্নাহ এবং তার বোন ৭ই আগস্ট, দিল্লির মৌরিপুর বিমানবন্দরে পৌঁছান। দেশভাগ কমিটির মুসলিম সদস্য চৌধুরী মুহাম্মদ আলী ৯ই আগস্ট করাচী আসেন। তার এই একদিনের জন্য করাচী আসার কারণ ছিল প্যাটেলের ঋণ নিষ্পত্তির প্রস্তাবে জিন্নাহের অনুমোদন নেয়া। লিয়াকত আলী খান দিল্লির লর্ড ইসমের কাছে আলীকে পাঠালেন এই বলে যে জিন্নাহ পাঞ্জাব সীমান্ত নিয়ে সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিরক্তিকর রিপোর্ট পেয়েছেন।

১০ ই আগস্ট, কাঁদানে বিদ্রোহ! দেশভাগ কমিটির একজন মুসলিম সদস্য চৌধুরী মুহাম্মদ আলী পূর্ব পাঞ্জাব সীমান্তের সিদ্ধান্তকে গরমিল করার বিষয়ে বিরক্তিকর প্রমাণ পেয়েছিলেন। আজ, যখন তিনি লর্ড ইসমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের জন্য জিন্নাহ থেকে বার্তা প্রকাশ করতে এসেছিলেন, তখন তাকে বলা হয় যে ইসমে স্যার সিরিল রেডক্লিফ যিনি সীমানা কমিশনের চেয়ারম্যান তার সাথে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। শেষ পর্যন্ত চৌধুরী তা দেখেছিলেন যে, ইসমে প্রস্তাবিত পাঞ্জাব সীমান্তের যে কোন জ্ঞান সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন। একই সময়ে চৌধুরী ইসমের ঘরের মানচিত্রে একটি পেন্সিল লাইন আবিষ্কার করেছিলেন যা প্রস্তাবিত পাঞ্জাব সীমানার অনুরূপ ছিল যেরকম জিন্নাহর কাছে আগেই দেখেছিলেন। চৌধুরী মুহম্মদ আলী বলেন, "ইসমে এসময় ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল," এবং “তার ম্যাপের সাথে এরকম কে করেছে তা জিজ্ঞাসাও করেছিল”।

১৪ই আগস্ট পাকিস্তানকে সার্বভৌম রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল হন এবং ১৯৪৭ সালের আগস্টে পাকিস্তান জাতীয় ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতা হন। লিয়াকত আলী খান পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলেন এবং ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তানের কমিউনিটির নেতা বার কায়দায়-ই-মিলাত (জাতির নেতা) নামেও পরিচিত হন।

প্রায় ১০ লাখ মানুষ পাকিস্তানে ও ভারতে স্থানান্তরিত হয়। হিন্দুশিখরা ভারতে এবং পাকিস্তানে মুসলমানরা স্থানান্তরিত হয়। ১৮ই আগস্ট, নবাব মোহাম্মদ মহাবত খানজি তৃতীয়, জুনাগড়ে রাজ্যের শাসক, যারা ১৮০৭ সাল থেকে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল, তারা জনসংখ্যার সামগ্রিক হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের অধিনে যোগদানে সম্মত হয়। এছাড়াও বান্তভা, মানভাদরসরদারগড়ের অন্যান্য ছোট রাজ্যগুলি এবং কাথিয়াওয়ের উপদ্বীপের অধিবসিীরা, যারাও ১৮৪২ সাল থেকে ব্রিটিশরাজের অধীনে ছিল, তারাও পাকিস্তানে যোগদান করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত দাবি করে যে এই অভিযুক্ত অবৈধ ছিল কারণ রাজ্যগুলি ভারত দ্বারা বেষ্টিত ছিল। ভারত জুনাগড়ের এবং মানভাদরের ভবিষ্যত নিয়ে একটি গণভোটের দাবি করে। পাকিস্তান রাজি হয় এই এই শর্তে যে, হায়দ্রাবাদ এবং কাশ্মীরজম্মুতেও ভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে। ভারত এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং গণভোটের ক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকারের কোনও ভূমিকা পালন করাকে প্রত্যাখান করে। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের মধ্যে প্রথম গুরুতর সংকট ছিল এই বিবাদটি।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

  1. "When Muslims left Pakistan for India"
  1. "The 'bloody' Punjab partition — VIII". 2018-09-27.