দেউলপোতা

স্থানাঙ্ক: ২২°১২′০২.৪″ উত্তর ৮৮°৯′৩০.৫″ পূর্ব / ২২.২০০৬৬৭° উত্তর ৮৮.১৫৮৪৭২° পূর্ব / 22.200667; 88.158472
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দেউলপোতা
দেউলপোতা পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
দেউলপোতা
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
অবস্থানপশ্চিমবঙ্গ, ভারত
অঞ্চলদক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
স্থানাঙ্ক২২°১২′০২.৪″ উত্তর ৮৮°৯′৩০.৫″ পূর্ব / ২২.২০০৬৬৭° উত্তর ৮৮.১৫৮৪৭২° পূর্ব / 22.200667; 88.158472
ধরনজনবসতি
ইতিহাস
প্রতিষ্ঠিতখ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দী

দেউলপোতা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নস্থল। এটি ওই জেলার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার ডায়মন্ড হারবার ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত।

ভূগোল[সম্পাদনা]

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার পশ্চিমাঞ্চলের (ফলতা, ডায়মন্ড হারবার ১ ও ২, কুলপি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক সহ) শহরাঞ্চল
পু: পুরসভা / শহর, জন: জনগণনা নগর, গ্রা: গ্রামীন/ শহরাঞ্চলীয় কেন্দ্র, অ: অঞ্চল, ঐ: ঐতিহাসিক স্থান/ ধর্মীয় কেন্দ্র
ছোটো মানচিত্রে স্থান সংকুলান হেতু বৃহত্তর মানচিত্রে প্রকৃত অবস্থানের সামান্য হেরফের হতে পারে

অবস্থান[সম্পাদনা]

দেউলপোতার স্থানাংক ২২°১২′০২.৪″ উত্তর ৮৮°৯′৩০.৫″ পূর্ব / ২২.২০০৬৬৭° উত্তর ৮৮.১৫৮৪৭২° পূর্ব / 22.200667; 88.158472। এই স্থানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭ মিটার গড় উচ্চতায় অবস্থিত।[১]

প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য[সম্পাদনা]

জেলা জনগণনা হ্যান্ডবুক, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা অনুযায়ী, হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত দেউলপোতা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল। এই স্থানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য শুরু হয় ১৯৬৩-৬৪, ১৯৬৪-৬৫ ও ১৯৭২-৭৩ সালে। গুপ্ত ও আদি মধ্যযুগের অনেক শিল্পকর্ম এখান থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে। এই দ্রব্যগুলির মধ্যে রয়েছে কারুকার্যশোভিত পোড়ামাটির পাত্র, বহুমূল্য ও প্রায়-বহুমূল্য পাথরের তৈরি গয়না, যক্ষিণীমূর্তি সহ নারীমূর্তি, গজলক্ষ্মী ফলক, পোড়ানো পালিশ করা বা পালিশ না করা মৃৎপাত্র, চীনামাটির পাত্র ইত্যাদি।[২]

পূর্ব ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিদ্যা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শর্মি চক্রবর্তীর মতে, এখান থেকে শুঙ্গ-কুষাণ যুগের রুলেট-যুক্ত পণ্যসামগ্রী সহ মৃৎপাত্রও আবিষ্কৃত হয়েছে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Chakraborty, Sharmi। "Archaeological Sites of Lower Deltaic Region of West Bengal and Their Context: Some Preliminary Observations"। Academia.edu। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২০ 
  2. "District Census Handbook South Twentyfour Parganas, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)Pages 134-135: Places of Archaeological Importance। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২০