তিমিশোয়ারা

স্থানাঙ্ক: ৪৫°৪৫′৩৫″ উত্তর ২১°১৩′৪৮″ পূর্ব / ৪৫.৭৫৯৭২° উত্তর ২১.২৩০০০° পূর্ব / 45.75972; 21.23000
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তিমিশোয়ারা
পৌরসভাকাউন্টি আসন
তিমিশোয়ারার প্রতীক
প্রতীক
ডাকনাম: লিটল ভিয়েনা (রোমানীয়: Mica Vienă), গোলাপের শহর (রোমানীয়: Orașul florilor), উদ্যানের শহর (রোমানীয়: Orașul parcurilor)[১]
তিমিশোয়ারার অবস্থান
তিমিশোয়ারা রোমানিয়া-এ অবস্থিত
তিমিশোয়ারা
তিমিশোয়ারা
তিমিশোয়ারা ইউরোপ-এ অবস্থিত
তিমিশোয়ারা
তিমিশোয়ারা
স্থানাঙ্ক: ৪৫°৪৫′৩৫″ উত্তর ২১°১৩′৪৮″ পূর্ব / ৪৫.৭৫৯৭২° উত্তর ২১.২৩০০০° পূর্ব / 45.75972; 21.23000
রাষ্ট্র রোমানিয়া
উন্নয়ন অঞ্চলপশ্চিম
কাউন্টিতিমিশ কাউন্টি
প্রথম দাপ্তরিক নথি১২১২ (রাজকীয় দুর্গের থিম হিসাবে)[২]
সরকার
 • মেয়র (২০২০–২০২৪)ডমিনিক ফ্রিৎজ[৩] (ইউএসআর প্লাস)
 • সহকারি মেয়ররুবেন লাৎসক্যউ (ইউএসআর প্লাস)
কসমিন তাবারা (পিএনএল)
আয়তন[৪]
 • পৌরসভাকাউন্টি আসন১২৯.২৭ বর্গকিমি (৪৯.৯১ বর্গমাইল)
 • মহানগর২,৬৩৫.৪৭ বর্গকিমি (১,০১৭.৫৬ বর্গমাইল)
উচ্চতা৯০ মিটার (৩০০ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১-এর আদমশুমারি)[৬]
 • পৌরসভাকাউন্টি আসন৩,১৯,২৭৯
 • আনুমানিক (২০১৬)[৭]৩,৩২,৯৮৩
 • ক্রম৩য় (ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৮০তম)
 • জনঘনত্ব২,৫০০/বর্গকিমি (৬,৪০০/বর্গমাইল)
 • মহানগর৪,৬৮,১৬২ [৫]
বিশেষণtimișoreantimișoreancă (রোমানীয়)
temesvári (হাঙ্গেরীয়)
temeswarertemeswarin (জার্মান)
সময় অঞ্চলইইটি (ইউটিসি+০২:০০)
 • গ্রীষ্মকালীন (দিসস)ইইএসটি (ইউটিসি+৩)
পোস্টাল কোড৩০০০০১–৩০০৯৯০
টেলি. কোড০২৫৬/০৩৫৬
কার প্লেটটিএম
জলবায়ুসিএফব
ওয়েবসাইটwww.primariatm.ro

তিমিশোয়ারা হল তিমিশ কাউন্টির রাজধানী শহর এবং পশ্চিম রোমানিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বেগা নদীর তীরে অবস্থিত, তিমিশোয়ারাকে ঐতিহাসিক বানাতের অনানুষ্ঠানিক রাজধানী শহর হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যেটিকে আজকাল ট্রান্সিলভেনিয়ার একটি উপ-অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত করা হয়। এটি ১৮৪৮ সাল থেকে ১৮৬০ সাল পর্যন্ত সার্বীয় ভোজভোডিনার রাজধানী এবং সার্বীয় ভয়ভোডশিপ ও তেমেশওয়ারের বানাতের ছিল। তিমিশোয়ারা ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ৩,১৯,২৭৯ জন বাসিন্দার সঙ্গে বুখারেস্টক্লুজ-নাপোকার পরে দেশের তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল শহর ছিল। শহরটির মহানগর অঞ্চল প্রায় অর্ধ মিলিয়ন বাসিন্দার আবাসস্থল, যখন টিমিশোয়ারা-আরাদ শহুরে অঞ্চলে টিমিশ ও আরাদ কাউন্টির জনসংখ্যার ৭০% এরও বেশি কেন্দ্রীভূত রয়েছে। তিমিশোয়ারা একটি বহুসংস্কৃতির শহর, যেখানে ২১ টি ভিন্ন জাতিসত্তা ও ১৮ টি ধর্মের উপস্থিতি রয়েছে।[৮] আন্তঃসাংস্কৃতিকতা দীর্ঘদিন ধরে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের জন্য একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। স্পা রিসর্ট বুজিয়াশ ও ব্যইলে ক্যলাচা শহর থেকে যথাক্রমে ৩০ কিমি ও ২৭ কিমি দূরে অবস্থিত, স্থান দুটি রোমান সময় থেকে আরোগ্য জলের বৈশিষ্ট্যের জন্য উল্লেখ করা হয়েছে।

অটোমান তুর্কিদের কাছ থেকে অস্ট্রীয়দের দ্বারা ১৭১৬ সালে জয়লাভ করা, তিমিশোয়ারা পরবর্তী শতাব্দীতে দুর্গের সঙ্গে ও চারপাশে অবস্থিত শহুরে কেন্দ্রে বিকশিত হয়েছিল। ১৯তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে, সামরিক প্রযুক্তিতে অনেক উন্নয়নের কারণে দুর্গটি তার উপযোগিতা হারাতে শুরু করে। প্রাক্তন দুর্গ ও সামরিক স্থানসমূহ ভেঙে ফেলা হয় এবং নতুন বুলেভার্ড ও উপকণ্ঠের সঙ্গে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল।[৯] তিমিশোয়ারা হ্যাবসবার্গ রাজতন্ত্রের প্রথম শহর হিসাবে রাস্তার আলো (১৭৬০) এবং রাস্তার বৈদ্যুতিক বাতি দ্বারা ১৮৮৪ সালে আলোকিত প্রথম ইউরোপীয় শহর।[১০] এই শহরে হ্যাবসবার্গ রাজতন্ত্রে প্রথম পাবলিক লাইব্রেরি খোলা হয় এবং এখানে ভিয়েনার ২৪ বছর আগে পৌর হাসপাতাল তৈরি করা হয়।[১০] এছাড়াও, এটি দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে প্রথম জার্মান সংবাদপত্র প্রকাশ করে (টেমসওয়ারের নাচরিচটেন)। তিমিশোয়ারা রোমানীয় বিপ্লবের সূচনা বিন্দু ছিল।[১১]

তিমিশোয়ারা হল রোমানিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকেন্দ্রসমূহের মধ্যে একটি, শহরের ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪০,০০০ জন শিক্ষার্থী নথিভুক্ত রয়েছে। রোমানিয়ার অন্যান্য অনেক বড় শহরের মতো, তিমিশোয়ারা বিশেষ করে দাঁতের যত্ন ও কসমেটিক সার্জারির জন্য একটি চিকিৎসা পর্যটন পরিষেবা প্রদান করে।[১২] তিমিশোয়ারা রোমানীয় চিকিৎসায় বেশ কিছু অগ্রগতি করেছে, যার মধ্যে প্রথম ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন, প্রথম লেজার হৃৎপিণ্ডের অস্ত্রোপচার ও প্রথম স্টেম সেল প্রতিস্থাপন[১০] একটি প্রযুক্তি কেন্দ্র হিসাবে, শহরটিতে বুখারেস্ট, ক্লুজ-নাপোকা, ইয়াসি এবং ব্রাসভের পাশাপাশি রোমানিয়ার অন্যতম শক্তিশালী আইটি খাত রয়েছে। তিমিশোয়ারাতে ২০১৩ সালে বিশ্বের দ্রুততম ইন্টারনেট ডাউনলোড গতি ছিল।[১৩]

"লিটল ভিয়েনা" বা "ফুলের শহর" ডাকনামের সঙ্গে তিমিশোয়ারা বিপুল সংখ্যক ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ এবং ৩৬ টি উদ্যান ও সবুজ স্থানের জন্য সুপরিচিত।[১৪] ওরাদিয়ার সঙ্গে তিমিশোয়ারা আর্ট নুউভু ইউরোপীয় রুটের অংশ।[১৫] শহরটি ইউরোসিটিসের সদস্য।[১৬] শহরের তিনটি রাষ্ট্রীয় থিয়েটার, অপেরা, ফিলহারমোনিক এবং অন্যান্য অনেক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের জন্য তিমিশোয়ারার একটি খুব সক্রিয় সাংস্কৃতিক দৃশ্য রয়েছে। শহরটি ২০২৩ সালে পরবর্তী ইউরোপীয় সংস্কৃতির রাজধানী হবে।[১৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Strutz, Rudolf J. (২০১৩)। Timișoara। JR-Design। 
  2. "Timișoara"Arcanum 
  3. "Results of the 2020 local elections"। Central Electoral Bureau। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২১ 
  4. "Studiu de potențial privind dezvoltarea la nivelul municipiilor Timișoara și Arad" (পিডিএফ)Fonduri UE। পৃষ্ঠা 8–9। 
  5. https://adi-pct.ro/
  6. "Tab3. Populația stabilă pe sexe și grupe de vârstă – județe, municipii, orașe, comune"Institutul Național de Statistică। ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০২১ 
  7. "Populația României pe localități la 1 ianuarie 2016 (după domiciliu)" (পিডিএফ)Institutul Național de Statistică। ২০১৬। আইএসএসএন 2066-2181 
  8. "Strategia de dezvoltare integrată a polului de creștere Timișoara 2015-2020" (পিডিএফ)Primăria municipiului Timișoara। ২০১৬। 
  9. Glăvan, Ciprian (২০১৩)। "Defortificarea cetății Timișoara" (পিডিএফ)Analele Banatului, Arheologie–IstorieXXI: 421–430। ১৬ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০২১ 
  10. "Premiere ale orașului Timișoara"Timisoara-Info.ro। ১৬ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০২১ 
  11. Chapple, Amos (১৮ ডিসেম্বর ২০১৮)। "Romania's Revolution, Then And Now"Radio Free Europe/Radio Liberty 
  12. Deaconescu, Roxana (২৮ অক্টোবর ২০১৪)। "Turism medical în Timișoara: cât de pregătiți suntem să primim bolnavi străini și ce le putem oferi? FOTO!"Opinia Timișoarei 
  13. "Romanian city comes out first in the world in Internet download speed ranking"Romania-Insider.com। ৩ জুলাই ২০১৩। 
  14. Deaconescu, Roxana (৫ মে ২০১৪)। "Parcurile din Timișoara, promovate pe Youtube. Tu știi câte parcuri există în capitala Banatului?"Opinia Timișoarei 
  15. "Cities"Art Nouveau European Route 
  16. "Timișoara"Eurocities 
  17. "Coronavirus: Commission proposes to extend 2020 European Capitals of Culture into 2021"European Commission। ১৮ আগস্ট ২০২০।