লন্ডন ভিক্টোরিয়া স্টেশন

স্থানাঙ্ক: ৫১°২৯′৪৩″ উত্তর ০°০৮′৩৯″ পশ্চিম / ৫১.৪৯৫২° উত্তর ০.১৪৪১° পশ্চিম / 51.4952; -0.1441
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভিক্টোরিয়া জাতীয় রেল
লন্ডন ভিক্টোরিয়া
ভিক্টোরিয়া স্টেশনের প্রবেশমুখ
ভিক্টোরিয়া মধ্য লন্ডন-এ অবস্থিত
ভিক্টোরিয়া
ভিক্টোরিয়া
মধ্য লন্ডনে ভিক্টোরিয়ার অবস্থান
অবস্থানবেলগ্রাভিয়া
স্থানীয় কর্তৃপক্ষসিটি অব ওয়েস্টমিনিস্টার
পরিচালনা করেনেটওয়ার্ক রেল
মালিকনেটওয়ার্ক রেল
স্টেশন কোডভিআইসি
ডিএফটি শ্রেণি
প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা১৯
প্রবেশযোগ্যহ্যাঁ[১]
ভাড়া অঞ্চল
ওএসটিভিক্টোরিয়া London Underground
সাইকেল পার্কিংহ্যাঁ – প্ল্যাটফর্ম ৭-৮ ও ১৭-১৮
টয়লেট সুবিধাদিহ্যাঁ
জাতীয় রেলে বার্ষিক প্রবেশ এবং প্রস্থান
২০১৫-১৬হ্রাস ৮১.১৫১[২] মিলিয়ন[৩]
– পরিবর্তন হ্রাস ৫.৬২১ মিলিয়ন[৩]
২০১৬-১৭হ্রাস ৭৫.৮৮৯ মিলিয়ন[৩]
– পরিবর্তন বৃদ্ধি ৫.৭৩৪ মিলিয়ন[৩]
২০১৭-১৮হ্রাস ৭৪.৯৫৫ মিলিয়ন[৩]
– পরিবর্তন বৃদ্ধি ৬.১২৬ মিলিয়ন[৩]
২০১৮–১৯হ্রাস ৭৪.৭১৬ মিলিয়ন[৩]
– পরিবর্তন হ্রাস ৫.৮০০ মিলিয়ন[৩]
২০১৯–২০হ্রাস ৭৩.৫৫৯ million[৩]
– পরিবর্তন হ্রাস ৫.৭৫৬ মিলিয়ন[৩]
প্রধান দিনগুলো
১ অক্টোবর ১৮৬০ভিক্টোরিয়া স্টেশন অ্যান্ড পিমলিকো রেলওয়ে দ্বারা খোলা হয়
১৮৬০লন্ডন ব্রাইটন অ্যান্ড সাউথ কোস্ট রেলওয়েকে ইজারা দেওয়া হয়
২৫ আগস্ট ১৮৬২লন্ডন, চ্যাথাম ও ডোভার এবং গ্রেট ওয়েস্টার্ন রেলওয়ের জন্য পৃথক স্টেশন খোলা হয়
অন্যান্য তথ্য
বহিঃসংযোগ
ডব্লিউজিএস৮৪৫১°২৯′৪৩″ উত্তর ০°০৮′৩৯″ পশ্চিম / ৫১.৪৯৫২° উত্তর ০.১৪৪১° পশ্চিম / 51.4952; -0.1441

লন্ডন ভিক্টোরিয়া নামেও পরিচিত ভিক্টোরিয়া স্টেশন হল নেটওয়ার্ক রেল দ্বারা পরিচালিত একটি কেন্দ্রীয় লন্ডন রেলওয়ে প্রান্তিকসিটি অব ওয়েস্টমিনিস্টারের ভিক্টোরিয়ায় অবস্থিত লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন। স্টেশনটি নিকটবর্তী ভিক্টোরিয়া স্ট্রিটের (রাণী নয়[৪]) নামে নামকরণ করা হয়েছে, এই প্রধান রেলপথ স্টেশনটি গ্যাটউইক এয়ারপোর্টব্রাইটন পর্যন্ত বিস্তৃত ব্রাইটন প্রধান রেলপথ এবং চ্যাথাম হয়ে রামসগেটডোভার পর্যন্ত বিস্তৃত চ্যাথাম প্রধান রেলপথের একটি প্রান্তিক। ট্রেনগুলি প্রধান রেলপথ থেকে ক্যাটফোর্ড লুপ লাইন, ডার্টফোর্ড লুপ লাইন এবং ইস্ট গ্রিনস্টেডউকফিল্ড পর্যন্ত বিস্তৃত অক্সটেড রেলপথের সঙ্গে সংযোগ করতে পারে। সাউদার্ন দক্ষিণ লন্ডন, সাসেক্স ও পূর্ব সারির কিছু অংশে বেশিরভাগ কমিউটার ও আঞ্চলিক পরিষেবা পরিচালনা করে, যখন সাউথইস্টার্ন দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডন ও কেন্টে ট্রেন পরিচালনা করে। গ্যাটউইক এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি সরাসরি গ্যাটউইকে চলে। আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনটি স্লোয়েন স্কোয়ারসেন্ট জেম'স পার্কের মাঝে সার্কেলডিস্ট্রিক্ট লাইনে এবং পিমলিকোগ্রিন পার্কের মাঝে ভিক্টোরিয়া লাইনে অবস্থিত। স্টেশনের আশেপাশের এলাকাটি অন্যান্য ধরনের পরিবহনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান কেন্দ্র। স্টেশনটির সম্মুখে একটি স্থানীয় বাস স্টেশন এবং নিকটে ভিক্টোরিয়া কোচ স্টেশন রয়েছে।

ভিক্টোরিয়া ব্রাইটন প্রধান রেলপথ ও চ্যাথাম প্রধান রেলপথ উভয় পরিষেবার জন্য নির্মিত হয়েছিল এবং দুটি পৃথক স্টেশন হওয়ার জন্য সর্বদা একটি "বিভক্ত" অনুভূতি ছিল। ব্রাইটন স্টেশনটি ১৮৬০ সালে খোলার দুই বছর পরে চ্যাথাম স্টেশনটি খোলা হয়েছিল। এটি পিমলিকোতে একটি অস্থায়ী টার্মিনাস প্রতিস্থাপন করে এবং টেমস নদীর উপর গ্রোসভেনর ব্রিজ নির্মাণের সাথে জড়িত ছিল। এটি লন্ডন টার্মিনাস বা প্রান্তিক হিসাবে অবিলম্বে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, যার ফলে বিলম্ব হয় এবং আপগ্রেড ও পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন হয়। এটি বিলাসবহুল পুলম্যান ট্রেন পরিষেবা ও মহাদেশীয় নৌকা-ট্রেন ভ্রমণের জন্য সুপরিচিত ছিল এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈন্যদের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল।

অন্যান্য লন্ডন টার্মিনীর মতো, ১৯৬০-এর দশকে ভিক্টোরিয়া থেকে বাষ্পচালিত ট্রেনগুলিকে পর্যায়ক্রমে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যার পরিবর্তে শহরতলির বৈদ্যুতিক ও ডিজেল মাল্টিপল-ইউনিট পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। চ্যানেল টানেল খোলার পর আন্তর্জাতিক পরিষেবার সমাপ্তি হওয়া সত্ত্বেও, ভিক্টোরিয়া এখনও লন্ডনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হিসাবে রয়ে গেছে এবং বিশেষ করে ভূগর্ভস্থ সুবিধাগুলি অতিরিক্ত ভিড়ের শিকার। গ্যাটউইক এক্সপ্রেস পরিষেবা আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য কেন্দ্রীয় লন্ডনও গ্যাটউইক বিমানবন্দরের মধ্যে সহজ প্রবেশযোগ্যতা প্রদান করে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

পটভূমি[সম্পাদনা]

লন্ডন থেকে দক্ষিণের গন্তব্যে পরিষেবা প্রদানকারী রেলওয়েতে ১৮৫০ সালের মধ্যে তিনটি টার্মিনি উপলব্ধ ছিল – লন্ডন ব্রিজ, ব্রিকলেয়ার্স' আর্মসওয়াটারলু। তিনটিই কেন্দ্রীয় লন্ডনের জন্য অসুবিধাজনক ছিল, কারণ তারা টেমস নদীর দক্ষিণে সমাপ্ত হয়ে গিয়েছিল, যেখানে জনসংখ্যা, ব্যবসা ও সরকারের প্রধান কেন্দ্রগুলি নদীর উত্তরে তীরে সিটি অব লন্ডন, ওয়েস্ট এন্ড এবং ওয়েস্টমিনস্টার ছিল।[৫]

এই সমস্যাটি মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য লন্ডন ব্রাইটন অ্যান্ড সাউথ কোস্ট রেলওয়ে (এলবিঅ্যান্ডসিআর) ও লন্ডন চ্যাথাম অ্যান্ড ডোভার রেলওয়ের (এলসিঅ্যান্ডডিআর) ক্ষেত্রে ভিক্টোরিয়া স্টেশনটি টুকরো টুকরো ডিজাইন করা হয়েছিল। স্টেশনটি দুটি সংলগ্ন প্রধান রেলপথ রেলওয়ে স্টেশন নিয়ে গঠিত, যা যাত্রীদের দৃষ্টিকোণ থেকে সংযোগহীন ছিল।[৬]

পরিষেবা[সম্পাদনা]

২০১৫/১৬ সালে ৮১ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রী প্রবেশ ও প্রস্থান সহ ভিক্টোরিয়া স্টেশনটি ওয়াটারলুয়ের পরে লন্ডনের (এবং গ্রেট ব্রিটেন) দ্বিতীয় ব্যস্ততম স্টেশন। আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন ও জাতীয় রেল স্টেশনের আদান-প্রদানের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে লন্ডন ভিক্টোরিয়া ২০১৫ সালে প্রায় ১৭০ মিলিয়ন যাত্রী পরিচালনা করেছিল।

যাত্রীদের সঠিক পরিষেবা বেছে নিতে সাহায্য করার জন্য, ভিক্টোরিয়ার মূল কনকোর্সের মেঝে বিভিন্ন রঙের রেখা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল। যাত্রীরা তাদের প্রয়োজনীয় রেল পরিষেবার জন্য সঠিক স্থানে পৌঁছানোর জন্য নির্দিষ্ট রঙ দিয়ে চিহ্নিত রেখা অনুসরণ করতে পারে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. টেমপ্লেট:Citation step free south east rail
  2. 1.719 million of this decrease was caused by methodological changes. Without these changes, the figure would have been 82.870 million.
  3. "Estimates of station usage"রেল স্ট্যাটিসটিক্সঅফিস অব রেল রেগুলেশন  অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন: কিছু পদ্ধতি বছরে পরিবর্তিত হতে পারে।
  4. "The history of London Victoria station"Network Rail। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২১ 
  5. Jackson 1984, পৃ. 268।
  6. Jackson 1984, পৃ. 267–268।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]