আর্নেস্ট ডি সিলভা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্যার

আর্নেস্ট ডি সিলভা
জন্ম(১৮৮৭-১১-২৬)২৬ নভেম্বর ১৮৮৭
মৃত্যু৯ মে ১৯৫৭(1957-05-09) (বয়স ৬৯)
জাতীয়তাসিলনীয়
অন্যান্য নামস্যার এ.ই. ডি সিলভা
শিক্ষাক্লেয়ার কলেজ, কেমব্রিজ,
রয়েল কলেজ, কলম্বো
দাম্পত্য সঙ্গীসিনেটর লেডি ইভ্যাডনি ডি সিলভা

অ্যালবার্ট আর্নেস্ট ডি সিলভা (২৬শে নভেম্বর,১৮৮৭— ৯ই মে,১৯৫৭) ছিলেন একজন সুপরিচিত ধনাঢ্য সিলনীয় ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও আইনজীবী। তাকে বিংশ শতাব্দীর প্রসিদ্ধতম জনহিতৈষী সিলনীয় বিবেচনা করা হয়।[১]একজন ধনাঢ্য এবং প্রভাবশালী বহুপণ্ডিত ছাড়াও তিনি ছিলেন সিলনের(বর্তমান শ্রীলঙ্কা) বৃহত্তম ব্যাংক—সিলন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান[২],রাষ্ট্রীয় মর্টগেজ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা গভর্নর এবং সিলন সর্বদলীয় পরিষদের চেয়ারম্যান। সিলনীয় সমাজ তার বহু অবদানে সমৃদ্ধ।সিলনের ইতিহাসে তাকে প্রধান ফিলাটেলিস্ট(ডাকটিকিট সংগ্রহ ও তদ্সংশ্লিষ্ট ইতিহাসবিষয়ক বিদ্যাবিশারদ) বিবেচনা করা হয়। সিলনের স্বাধীনতার পর তাকে প্রথম সিলনীয় গভর্নর জেনারেলের(বৃটিশ-রাজের প্রতিনিধি এবং কার্যত রাষ্ট্রপ্রধান) পদগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো,যে সম্মান তিনি ব্যক্তিগত কারণে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।[৩]ডি সিলভার অবস্থান ছিল উচ্চবিত্তশ্রেণির শীর্ষে এবং তার প্রজন্মের সবচেয়ে ধনবান ব্যক্তি হিসেবে দ্বীপটির শাসক শ্রেণিতেও তার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ছিলো।স্মৃতিসারক ও স্মরণিকাগুলোতে সততা ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য তাকে অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।[১]

বেড়ে ওঠা[সম্পাদনা]

স্যার আর্নেস্ট ডি সিলভা সিলনের অন্যতম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতামাতা এবং পিতামহ অত্যন্ত ধনবান ছিলেন এবং পুরো দেশজুড়ে তাদের ভূসম্পত্তি ছিলো। তার পিতামহ এস.ডি.এস গুনাসেকারা এবং প্রপিতামহ ইম্যান্স ডি সিলভা গুনাসেকারা হয়ে তার পিতা এ.ই.ডি সিলভা প্রভূত সম্পদের মালিকানা লাভ করেন। তিনিও সিলনের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীতে পরিণত হন এবং আপন সন্তানের নামকরণ করেন অ্যালবার্ট আর্নেস্ট ডি সিলভা জুনিয়র। রয়েল কলেজ,কলম্বোতে পড়াশোনা শেষ করে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন কেমব্রিজের ক্লেয়ার কলেজ থেকে এবং আইনচর্চার স্বীকৃতি অর্জন করেন ইনার টেম্পল থেকে।[৪] কেমব্রিজে পড়াকালীন সময়ে তার বন্ধু ছিলেন জওহরলাল নেহেরু,যিনি পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৩০ সালে নেহেরু সিলনে আসলে তাদের পুনর্সাক্ষাৎ হয়‌।

বিবাহ এবং পরিবার[সম্পাদনা]

স্যার আর্নেস্ট ডি সিলভার পত্নী,ইভ্যাডনি(আর্নেস্ট ডি সিলভার নাইটহুড প্রাপ্তির পর যিনি লেডি ইভ্যাডনি ডি সিলভা বলে পরিচিত হন),নিজেও ছিলেন একজন সুপরিচিত জনহিতৈষী এবং স্বাধীনতার পর সিলনীয় সিনেটের প্রথম নারীসদস্যদের মধ্যে একজন।তাদের ছয় সন্তান ছিলো। তার এক মেয়ে,সীতা'র বিবাহ হয় সেসময়ের আরেক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ইউ.এন.গুনাসেকারার সাথে। গুনাসেকারা ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম বিশিষ্ট ও প্রভাবশালী বাস্তু প্রকৌশলী এবং জনহিতৈষী,যার হাতে তৈরি হয় দেশটির প্রথম পাঁচতারা হোটেলসহ অসংখ্য বহুতল ভবন। তাদের অপর কন্যা স্বর্ণপলির বিবাহ হয় কলম্বো সাধারণ হাসপাতালের এমিরিটাস কনসাল্টেশন চিকিৎসক ও.আর. ম্যাডোনজার সাথে।

মানবপ্রেম[সম্পাদনা]

স্যার আর্নেস্ট ডি সিলভা ছিলেন তর্কসাপেক্ষে বিংশ শতাব্দীর সিলনের মহত্তম মানবপ্রেমী।বহু দাতব্য কার্যক্রমে তিনি অকুণ্ঠহস্তে দান করেছেন।[৫]তার মানবহিতৈষী কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে প্রধান চারটি বিদ্যালয় (দেবপতিরাজা বিদ্যালয়,দিমাতাগদা ভেলুভানারামা বিদ্যালয় এবং লক্ষ্মী কলেজ) প্রতিষ্ঠা এবং সেখানে বিনামূল্যে শিক্ষার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা।সিলনে অবৈতনিক শিক্ষা প্রচলনের ২৩ বছর আগে তার প্রতিষ্ঠিত দেবপতিরাজা বিদ্যালয় ছিল দক্ষিণের প্রথম অবৈতনিক বৌদ্ধ ইংরেজি বিদ্যাপীঠ। বিনা মূল্যে শিক্ষার প্রচলন এবং সফল প্রয়োগের জন্য তাকে 'অবৈতনিক শিক্ষার পিতামহ' বলা হয়ে থাকে‌।

তিনি এবং তার স্ত্রী,সিনেটর ইভ্যাডনি ডি সিলভা কাটুনায়েকে'তে ৯ একর(৩৬,০০০ বর্গমিটার) জমি দান করেন,যার ওপর নির্মিত হয় সিলনের প্রথম এতিমখানা। কন্ডানায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সিলনের প্রথম যক্ষ্মা-নিরাময় কেন্দ্র। সংগঠনটির খরচ বহন করতে তিনি বহু-একরবিশিষ্ট দারুচিনি ও নারকেলের তালুক দান করেন। সিলন ন্যাশনাল এসোসিয়েশন ফর দা প্রিভেনশন অফ টিউবারকুলোসিস (সিএনএপিটি)'র প্রেসিডেন্ট হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।স্বাস্থ্যসেবায় তার বহুমুখী অবদানের মধ্যে রয়েছে পিতা এ.ই. ডি সিলভা সিনিয়র—এর স্মরণে সিলন জাতীয় হাসপাতালে আধুনিক এক্সরে মেশিনসহ রেডিওলজি বিভাগ উদ্বোধন।

সিলন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে তিনি রাষ্ট্রীয় মর্টগেজ ব্যাংকেরও গভর্নর হন,যার প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো দ্বীপরাষ্ট্রটির নিম্ন-আয়ের মানুষদের অর্থনৈতিক সাহায্য দিতে। এছাড়াও তার জনহিতৈষী কাজের মধ্যে রয়েছে অ্যাঞ্জেলা শিশুনিবাস,পরাক্রম হোম,নেগম্বো,ওয়ালানা,বিয়াগামা,কন্ডানা,হেনাতিয়ানা প্রভৃতি স্থানে শিশুসদন,বকান্ডায় মাতৃপরিচর্যা কেন্দ্র,সালগোলায় মঠ,রাজাগিরিয়াতে আশ্রম,ভান্নি আতপাত্তু কুরুনেগালায় ওয়েলিসারা শিশু হাসপাতাল ও পূর্ণ হাসপাতাল নির্মাণ।গামিনি মাথা বৃদ্ধনিবাস,মল্লিকা হোম,হরিশ্চন্দ্র বিদ্যালয়ের মতো যোগ্য দাতব্য সংগঠন প্রতিষ্ঠায় তিনি সহায়তা করেছেন।এতিমখানা,হাসপাতান,মন্দির,বিদ্যালয়,সামাজিক প্রতিষ্ঠান কিংবা আশ্রম নির্মাণে তিনি তার বহু তালুক,অট্টালিকা এবং অর্থ দান করেছেন,কোনোরকম ধুমধাম কিংবা প্রচার ছাড়াই।[১]

ধর্মবিশ্বাস[সম্পাদনা]

স্যার আর্নেস্ট ডি সিলভা ছিলেন একজন একনিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।বৌদ্ধধর্মের প্রচার ও প্রসারে তিনি ভূমিকা পালন করেছেন।এর উদাহরণ পাওয়া যায় একটি ঘটনায়—১৯১১ সালে তিনি একটি দ্বীপ(পোলগাসদুয়া) ক্রয় করে বিখ্যাত জার্মান সন্ত ভেন.নানাতিলক'কে দান করেন,বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের জন্য একটি আশ্রম তৈরি করার জন্য।আশ্রমটির প্রতিষ্ঠাতা-সন্ন‌্যাসী ছিলেন পূর্বে-বার্মায়-নিযুক্ত একজন নামকরা জার্মান অধ্যাপক। তার সুযোগ্য পরিচালনায় জার্মানি,ফ্রান্স,হল্যান্ড,যুগোস্লাভিয়া,ইংল্যান্ড,আমেরিকাসহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ থেকে বহু পণ্ডিত ও চিন্তকেরা পূর্বের এই ধর্মযজ্ঞে আকৃষ্ট হন এবং বিশ্বে বৌদ্ধধর্মের পুনর্জাগরণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এভাবে ধর্মদর্শনের বিশ্ব মানচিত্রে সিলনকে তুলে ধরতে স্যার আর্নেস্ট ডি সিলভা নিয়ামক ভূমিকা পালন করেন।

একদা আশ্রমটির একজন বিশিষ্ট শিষ‌্য ভেন.নয়নপনিকা সন্ন্যাসবেশ ত্যাগ করে মাতৃভূমি জার্মানিতে ফিরতে চাইলেন। তার অভিলাষ ছিলো জার্মানিতে চলমান নাৎসি-সহিংসতা থেকে তার ইহুদী-মা'কে রক্ষা করে আনা। স্যার আর্নেস্ট তখন তার প্রভাব খাটিয়ে এবং নিজে সাক্ষ্য দিয়ে শিষ্যটির মা এবং অন্যান্য স্বজনদের সিলনে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন। তাদের কেউ কেউ পরবর্তীতে তার আশ্রয়ে বসবাস করেছে। এই মা'টিকে নিয়ে তিনি "ভেলুভানারামায়া" নামে একটি মন্দিরও নির্মাণ করেন।


তিনি ছিলেন ওয়াইএমবিএ(ইয়ং মেন'স বুদ্ধিস্ট এসোসিয়েশন) এবং কালুতারা বোধি ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট‌ এবং তার স্ত্রী ছিলেন সিলন উইমেন'স বুদ্ধিস্ট কংগ্রেস—এর প্রথম প্রেসিডেন্ট। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সিলনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা রণসিংহে প্রেমাদাসা তার সম্পর্কে বলেন,"যদি এমন কোনো বৌদ্ধ মন্দিরের বা বিদ্যালয়ের কথা বলো যেখানে তিনি সাহায্য করেননি,তাহলে নিশ্চিতভাবেই সেটা সিলনের বাইরে।"[৬]

ধনসম্পদ[সম্পাদনা]

স্যার আর্নেস্ট ছিলেন তার সময়ের সর্বোচ্চ এবং বিংশ শতাব্দীর অন্যতম ধনবান সিলনীয় নাগরিক।[১]বংশানুক্রমে প্রাপ্তি ছাড়াও তিনি বহু-একরব্যাপী চা,রাবার,নারকেল তালুক এবং কলম্বোর কয়েকটি প্রসিদ্ধ এলাকা ক্রয় করেন। এরকম একটি বিখ্যাত তালুক ছিল ১২০০ একরব্যাপী(৫ বর্গকিলোমিটার) সালাওয়া তালুক,যেখানে রাবার চাষ হতো এবং বিঙ্গিরিয়ায় অবস্থিত রুক্কাত্তানা তালুক,যেখানে নারকেল চাষ হতো। দারুচিনি উদ্যানের(কলম্বো ৭) মতো ব্যয়বহুল এলাকায় তার ছেচল্লিশ একর জমি ছিল,২০১০ সালের অর্থনৈতিক হিসেবে যার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ছয়শো মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অধিকাংশ সিলনী পণ্য বাণিজ্যের সাথেই তার কোম্পানি যুক্ত ছিলো,যদিও প্রধান পণ্যগুলো ছিলো গ্রাফাইট,শুকানো নারকেল,আঁশ,রাবার,দারুচিনি,চা এবং কোকো। লন্ডন,হ্যামবার্গ এবং অন্যান্য ইউরোপীয় বন্দরগুলোতে তার ফার্মের প্রতিনিধিদের দ্বারাই মহাদেশের সাথে বৃটেনের রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন হতো।[৭]আস্তাবল এবং টেনিস কোর্টসহ তার নিবাস."সিরিমাথিপায়া ম্যানশন", বর্তমানে শ্রীলঙ্কান প্রধানমন্ত্রীর অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৮]

শখ[সম্পাদনা]

রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক কাজের বাইরে ডি সিলভার প্রধান শখ ছিলো ডাকটিকিট সংগ্রহ।তার সিলনীয় টিকিটের সংগ্রহ ছিলো বিশ্বমানের,যার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারতেন রাজা পঞ্চম জর্জ[৯]তাকে তার সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ 'ফিলাটেলিস্ট' গণ্য করা হয়। তার সংগ্রহে ছিল সেসময়ের দুর্লভতম এবং মহার্ঘ্য ডাকটিকিট কমলা-লাল মরিশাস "পোস্ট অফিস"।তার দাতব্য কাজের অংশ হিসেবে তিনি সেই ডাকটিকিটটি তার আত্মীয় স্যার সিরিল ডি জয়সাকে দান করে দেন,ওয়াইএমবিএ প্রধান কার্যালায় ভবন নির্মাণের জন্য। পরবর্তীতে ডাকটিকিটটি ১৯৯৩ সালে এক নিলামে এক দশমিক এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যে বিক্রি হয়।[১০]


স্যার এ.ই.ডি সিলভা সিলনীয়দের ভেতর সেরা বিলিয়ার্ড খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন এবং সিলন অ্যামেচার বিলিয়ার্ডস এসোসিয়েশনের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।[১১]ক্লাবে এবং নিজের বাসভবনে তিনি সেসময়ের বিশ্ববিজেতা খেলোয়াড়দের সাথে রাউন্ড খেলতেন।তিনি সিলন টার্ফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং তার পছন্দের লভেলো ও এল-এলেগ্রো'কে নিয়ে সিলনে দুই-দুইবার এবং কোলকাতায় একবার গভর্নর কাপ জেতার বিরল গৌরব অর্জন করেছিলেন।প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি "স্পোর্ট অফ কিংস"—এ কার্যকর সংহতি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।রোলস রয়েস গাড়ির মালিক গুটিকয় সিলনীয়দের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন।

সম্মাননা[সম্পাদনা]

আর্নেস্ট ডি সিলভা সিলনে তার জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ১লা জানুয়ারি,১৯৪৬ তারিখে রাজা ষষ্ঠ জর্জ কর্তৃক নাইট উপাধিতে ভূষিত হন।[১২][১৩] তার কার্যক্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ,ফ্লাওয়ার রোড(যেখানে তিনি বাস করতেন)কে 'স্যার আর্নেস্ট ডি সিলভা মাওয়াথা' নামকরণ করা হয় এবং তার নামে পৃথক স্ট্যাম্প তৈরি করা হয়। তার প্রজন্মের সর্বোচ্চ সম্মান এবং বিত্তের অধিকারী হিসেবে তাকে প্রথম সিলনীয় গভর্নর জেনারেল(সিলনে বৃটিশ রাজের প্রতিনিধি এবং কার্যত রাষ্ট্রপ্রধান) পদগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়,যা তিনি ব্যক্তিগত কারণে প্রত্যাখান করেন।[১] তার বহুল কাঙ্ক্ষিত সিলনীয় স্বাধীনতার প্রায় দশ বছর পর,ব্যক্তিগত ৭০ বছর বয়সে স্যার আর্নেস্ট ডি সিলভা'র মৃত্যু হয়। বহু রাষ্ট্রনেতা ও প্রশাসনিক ব্যক্তির সমাগম হয় তার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে। তাকে "একজন আপাদমস্তক সজ্জনব্যক্তি" হিসেবে উল্লেখ করে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী এস.ডব্লিউ.আর.ডি. বন্দরনায়েকে শোকপ্রকাশ করেন এবং শ্রীলঙ্কার জন্য তার জনহিতৈষী কর্মকাণ্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Ratnayake, Shanika. "He owned much but gave away even more: Remembering Sir Ernest de Silva (1887–1957)", The Sunday Times Online, v. 41 no. 51 (20 May 2007).
  2. Sunday Times Online, vol. 42, no. 09 (29 July 2007)
  3. Ratnayake, Shanika. "He owned much but gave away even more: Remembering Sir Ernest de Silva (1887–1957)", The Sunday Times Online, v. 41 no. 51 (20 May 2007)
  4. "Sir Ernest de Silve - Profile" (পিডিএফ)। Inner Temple Library। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২০ 
  5. [১][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. The Buddhist Channel
  7. "A. E. De Silva & Co.", 20th century Impressions of Ceylon, on line.
  8. "Official Website of the Prime Minister's Office of Sri Lanka"। ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০০৮ 
  9. "History of the Royal Philatelic Collection" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে
  10. Morgan, Helen. Blue Mauritius Research Site
  11. "The Morning Leader : Home Page"। ২৯ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০০৮ 
  12. United Kingdom list (1): "নং. 37407"দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ ডিসেম্বর ১৯৪৫। 
  13. United Kingdom list (2): "নং. 37412"দ্যা লন্ডন গেজেট (সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ ডিসেম্বর ১৯৪৫।